রেইনবো ফলস
আমাদের বেশীর ভাগ মানুষের প্ল্যান থাকে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি, শিলং আর স্নোনেংপেডেং ঘুরা। তবে আমার মতে আর একটু কষ্ট করে তৃর্না ভিলেজের (Tyrna Elaka) নংরিয়াত গ্রামে (Nongriat) ডাবল ডেকার, কিছু দূর সামনে ন্যাচারাল সুমিংফুল এবং আরো কিছু দূরে রেইনবো ফলস থেকেও ঘুরে আসা যায়। এখন পর্যন্ত আমি এতো নীল এবং স্বচ্ছ পানি কোথাও দেখি নাই। যেমন নীল এবং স্বচ্ছ পানি ছিল রেইনবো ফলসে তেমন নীল এবং স্বচ পানি ছিল ন্যাচারাল সুইমিংফুলে। বর্ষা এখনো শুরু হয়নাই বলে পানি এতো নীল ছিল। তবে বর্ষায় গেলে পাবেন আর এক ভয়ংকর পানির দৃশ্য। রেইনবো ফলস দেখার জন্য আপনাকে কিছুটা কষ্ট করতেই হবে আর কোন উপায় নাই। কারন তৃর্না গ্রাম থেকে ডাবল ডেকার পর্যন্ত যেতে হলে আপনাকে প্রায় ৩০০০ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে (কেউ বলে ৩৪০০ সিঁড়ি) তবেই পেয়ে যাবেন ডাবল ডেকার ব্রীজ যা নংরিয়াত গ্রামে অবস্তিত। সেখান থেকে আরও ২০০০/২২০০ সিঁড়ি পার হলেই রেইনবো ফলস।
আমরা আগের দিন চেরাপুঞ্জি ঘুরে সন্ধ্যা হয়ে যায় তৃর্না গ্রামে যেতে যেতে, আমাদের প্ল্যান ছিল নংরিয়াত গ্রামে থাকা কিন্তু আমাদের পৌঁছাতে ৬টা বেজে যায় তাই গ্রামের লোকজন সিঁড়ির কাছে টানানো সাইনবোর্ড দেখায় যেখানে লেখা আছে ৫.০০ টার পর থেকে ভিসিটর প্রবেশ নিষেধ। এবং নংরিয়াত গ্রামে কোন হোমস্টেতে বুকিং না থাকলে যাওয়া যাবে না তাই আমরা তৃনা গ্রামেই একটা হোমস্টেতে উঠে যাই। রাতে ঘুরাফিরা করে আড্ডা দিয়ে ঘুম থেকে উঠতে ৮টা বেজে যায়। আমরা ৮.৪৫ এর দিকে ট্রেকিং শুরু করি। ১২টার মধ্যে রেইনবো ফলস এ চলে যাই। রেইনবো ফলসে গিয়ে নীল পানি দেখে আর লোভ সামলাতে পাড়ি নাই। গোসলের জন্য নেমে গেলাম তবে পানি অনেক স্বচ্ছ এবং শীতল যা নিমিষেই ক্লান্ত দূর করে দেয়। আর ন্যাচারাল সুইমিংফুলে তো পানিতে নামার জন্য আগে থেকেই রেডি হয়ে গেছি। আমাদের ব্যাক করতে করতে ৫টা বেজে যায়। পরের দিন স্নোনেংপেডেং এ উমগট নদীর পাড়ে ক্যাম্পিং করে সকালে ক্রাংসুরি ঘুরে বিকালে বর্ডার ক্রস।
কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে সিলেট তামাবিল-ডাউকি বর্ডার।
ডাউকি টু তৃর্না গ্রাম। (আমরা ডাউকি থেকে সরাসরি ট্যাক্সি করে চেরাপুঞ্জি ঘুরে তৃর্না গ্রামে চলে যাই)