শিলিগুড়ি জংশন আকাশের জানালায় বাতাসের ডানা ঝাপটানি শব্দ

আজ আকাশের মন খারাপ। শিলিগুড়ি জংশন মোড়ের স্বস্তিক রিজেন্সী’র ১০৪ নম্বর কক্ষের জানালায় বাতাসের ডানা ঝাপটানি শব্দ। অসময়ের শিলা বৃষ্টিতে শীত জেকে বসেছে তীব্র। আমি মুসাফির, হোটেলে অবরুদ্ধ। টেলিভিশন দেখতেও ইচ্ছে করে না। বাক্স খুললেই ইমরান-মোদী’র যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ঘন্টাখানেক বাদে বৃষ্টি কিছুটা কমতেই আকাশে সূর্যের হাসি। গুটিগুটি পায়ে হোটেল থেকে বেড়িয়ে পরলাম। কিন্ত গন্তব্য অজানা।

মহানন্দা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে ডান/বাম দেখছি। বাম দিকটা বস্তির মত। মহিষের খামারের অসহ্য গোমূত্রের গন্ধ। ডান দিকে শবদেহ বারনিং পয়েন্ট। ব্রীজের নীচে চোখ পরতেই গা গুলিয়ে গেলো। এযে পঁচা/নোংরা পানির মহানন্দা। পঁচা/নোংরা পানিতেই চলছে কিছু মানুষের গোসলসহ প্রত্যাহিক কাজ। শিলিগুড়ি শহরের সাথে আমার প্রিয় ঢাকা’র আছে অদ্ভুত কিছু সাদৃশ্য। এখানে ম্যানহোলে ঢাকনা নেই, ড্রেন উপচানো ময়লা পানি, তীব্র যানজট, আর গাড়ির হর্ণ। শিলিগুড়ি, তুমি ঢাকা’র মাসতুতো ভাই….। আমার সামনে দিয়ে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের জীপগুলো চলে যাচ্ছে। যদিও এবারে হালের ক্রেজ সিকিমে যাবার প্লান ছিলো। কিন্ত ব্লু- পাসপোর্টের বেড়াজালে সিকিম যাওয়া আর হলোনা।


এই সেবক… সেবক মোড়…..শব্দ কানে এলো।
টোটো ড্রাইভার যাত্রী তুলছে। সেবক এর কথা এক দিদির মুখে শুনেছিলাম। জায়গাটি নাকি অনেক সুন্দর। কিছু না ভেবেই টোটোতে উঠলাম। ১০ রুপি ভাড়ায় পানির ট্যাংকি পেড়িয়ে সেবক মোড় হয়ে পি.সি.মিত্তাল। এখান থেকে কালিম্পংগামী লোকাল বাসে চেপে বসলাম। আমার গন্তব্য সেবক ব্রীজ। যা শিলিগুড়ি থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে।
মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বাস ছেড়ে দিল। সামনের বেশ কয়েকটি আসনে দিদিদের উচ্চস্বরে কথাবার্তার বিষয়বস্ততে ওনারা কোনো স্কুল/কলেজের শিক্ষিকা বলেই মনে হলো। ভাটা মাছের ঝোল দিয়ে শুরু করে পাকিস্তানে ৩০০ জঙ্গি নিহতের ঘটনা কোনো কিছুই বাদ ছিলো না দিদিদের আলাপনে। আমি নাদান বান্দা, ২৫ রুপি ভাড়ার বিনিময়ে পাহাড়ি সৌন্দর্য আর আঁকাবাঁকা পথ দেখতে দেখতে ৪০/৪৫ মিনিটে পৌঁছে গেলাম কালীমন্দির। 


বাস থেকে নামতেই ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা চোখমুখে। পাহাড়ের উপরে কালীমন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে হলো না। অগত্যা পাহাড়ি রাস্তার এক বাঁক পেড়িয়ে মিনিট দুই হেঁটেই পেলাম সুন্দর একটা ব্রীজ। পাহাড়ি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত এ ব্রীজটি সেবক ব্রীজ নামে ব্যাপক পরিচিত। এখানের সোজা রাস্তাটি চলে গেছে গ্যাংটকের দিকে। দিক নির্দেশনায় দেখলাম গ্যাংটক এখান থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরে। ব্রীজ পেড়িয়ে ডান দিকের রাস্তাটি চলে গেছে কালিম্পংয়ের দিকে। এখান থেকে কালিম্পংয়ের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার।
ব্রীজ এবং রাস্তা দেখে আমার চেনাচেনা মনে হলো। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এ পথ দিয়েই প্যারাগ্লাইডিং এবং রাফটিং করার জন্য কালিম্পং গিয়েছিলাম।
ব্রীজে দাঁড়িয়ে ডান ও বাম দিকের দৃশ্যে আমি অভিভূত। সৃষ্টা নিজ হাতে সৃষ্টি না করলে তার সৌন্দর্য বুঝি এমন হয়না!!! অসাধারণ…. অবর্ননীয় সে অনুভূতি। নীচে তিস্তার সবুজাভ জল আর পাহাড়ের গা বেয়ে মেঘের লুকোচুরি খেলা। আহা!……..। 


এবার পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভিজতে ভিজতে মনের গহীনকোনে আবার এপথে আসার আকুতি নিয়ে গ্যাংটক থেকে আসা লোকাল বাসে ৩০ রুপিতে জংশন মোড়ে নেমে পরলাম।
বি.দ্র. যেখানেই যাই পরিবেশ সুন্দর রাখি।
আজ আকাশের মন খারাপ। শিলিগুড়ি জংশন মোড়ের স্বস্তিক রিজেন্সী’র ১০৪ নম্বর কক্ষের জানালায় বাতাসের ডানা ঝাপটানি শব্দ। অসময়ের শিলা বৃষ্টিতে শীত জেকে বসেছে তীব্র। আমি মুসাফির, হোটেলে অবরুদ্ধ। টেলিভিশন দেখতেও ইচ্ছে করে না। বাক্স খুললেই ইমরান-মোদী’র যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ঘন্টাখানেক বাদে বৃষ্টি কিছুটা কমতেই আকাশে সূর্যের হাসি। গুটিগুটি পায়ে হোটেল থেকে বেড়িয়ে পরলাম। কিন্ত গন্তব্য অজানা।

মহানন্দা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে ডান/বাম দেখছি। বাম দিকটা বস্তির মত। মহিষের খামারের অসহ্য গোমূত্রের গন্ধ। ডান দিকে শবদেহ বারনিং পয়েন্ট। ব্রীজের নীচে চোখ পরতেই গা গুলিয়ে গেলো। এযে পঁচা/নোংরা পানির মহানন্দা। পঁচা/নোংরা পানিতেই চলছে কিছু মানুষের গোসলসহ প্রত্যাহিক কাজ। শিলিগুড়ি শহরের সাথে আমার প্রিয় ঢাকা’র আছে অদ্ভুত কিছু সাদৃশ্য। এখানে ম্যানহোলে ঢাকনা নেই, ড্রেন উপচানো ময়লা পানি, তীব্র যানজট, আর গাড়ির হর্ণ। শিলিগুড়ি, তুমি ঢাকা’র মাসতুতো ভাই….। আমার সামনে দিয়ে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের জীপগুলো চলে যাচ্ছে। যদিও এবারে হালের ক্রেজ সিকিমে যাবার প্লান ছিলো। কিন্ত ব্লু- পাসপোর্টের বেড়াজালে সিকিম যাওয়া আর হলোনা।
এই সেবক… সেবক মোড়…..শব্দ কানে এলো।
টোটো ড্রাইভার যাত্রী তুলছে। সেবক এর কথা এক দিদির মুখে শুনেছিলাম। জায়গাটি নাকি অনেক সুন্দর। কিছু না ভেবেই টোটোতে উঠলাম। ১০ রুপি ভাড়ায় পানির ট্যাংকি পেড়িয়ে সেবক মোড় হয়ে পি.সি.মিত্তাল। এখান থেকে কালিম্পংগামী লোকাল বাসে চেপে বসলাম। আমার গন্তব্য সেবক ব্রীজ। যা শিলিগুড়ি থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে।
মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বাস ছেড়ে দিল। সামনের বেশ কয়েকটি আসনে দিদিদের উচ্চস্বরে কথাবার্তার বিষয়বস্ততে ওনারা কোনো স্কুল/কলেজের শিক্ষিকা বলেই মনে হলো। ভাটা মাছের ঝোল দিয়ে শুরু করে পাকিস্তানে ৩০০ জঙ্গি নিহতের ঘটনা কোনো কিছুই বাদ ছিলো না দিদিদের আলাপনে। আমি নাদান বান্দা, ২৫ রুপি ভাড়ার বিনিময়ে পাহাড়ি সৌন্দর্য আর আঁকাবাঁকা পথ দেখতে দেখতে ৪০/৪৫ মিনিটে পৌঁছে গেলাম কালীমন্দির। 


বাস থেকে নামতেই ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা চোখমুখে। পাহাড়ের উপরে কালীমন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছে হলো না। অগত্যা পাহাড়ি রাস্তার এক বাঁক পেড়িয়ে মিনিট দুই হেঁটেই পেলাম সুন্দর একটা ব্রীজ। পাহাড়ি তিস্তা নদীর উপর নির্মিত এ ব্রীজটি সেবক ব্রীজ নামে ব্যাপক পরিচিত। এখানের সোজা রাস্তাটি চলে গেছে গ্যাংটকের দিকে। দিক নির্দেশনায় দেখলাম গ্যাংটক এখান থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরে। ব্রীজ পেড়িয়ে ডান দিকের রাস্তাটি চলে গেছে কালিম্পংয়ের দিকে। এখান থেকে কালিম্পংয়ের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার।
ব্রীজ এবং রাস্তা দেখে আমার চেনাচেনা মনে হলো। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে এ পথ দিয়েই প্যারাগ্লাইডিং এবং রাফটিং করার জন্য কালিম্পং গিয়েছিলাম।
ব্রীজে দাঁড়িয়ে ডান ও বাম দিকের দৃশ্যে আমি অভিভূত। সৃষ্টা নিজ হাতে সৃষ্টি না করলে তার সৌন্দর্য বুঝি এমন হয়না!!! অসাধারণ…. অবর্ননীয় সে অনুভূতি। নীচে তিস্তার সবুজাভ জল আর পাহাড়ের গা বেয়ে মেঘের লুকোচুরি খেলা। আহা!……..।
এবার পাহাড়ি সৌন্দর্যে ভিজতে ভিজতে মনের গহীনকোনে আবার এপথে আসার আকুতি নিয়ে গ্যাংটক থেকে আসা লোকাল বাসে ৩০ রুপিতে জংশন মোড়ে নেমে পরলাম।
বি.দ্র. যেখানেই যাই পরিবেশ সুন্দর রাখি।

source: AL Mamunur Rashid <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment