শ্রীনগর ,জ্বীরো ব্রীজ,বোট হাউজ,সোনমার্গ ,ইউস্মার্গ ,গুলমার্গ,পেগেলগাম,মিনি সুইর্টজারলেন্ড, কাশ্মীর ভ্রমণ

প্রথম দিন আমারা চট্রগ্রাম থেকে কোলকাতার যাই বাই এয়ারে ওয়ান ওয়ে ছলো তাই টিকিট প্রাইজ ৬,৯০০ টাকা ছিলো রিজেন্ট এয়ারওয়েজ। যাইহোক আমরা ২:১০ এ রওনা দিয়ে ২:৩৫ এ কোলকাতা পৌঁছালাম তারপর ইমিগ্রেশন শেষ করে কিছু ডলার রুপি করে নিলাম তারপর চলে গেলাম হোটেলে কারণ আমাদের কোলকাতা থেকে শ্রীনগর এর ফ্লাইট ছিলো পরের দিন সকাল ৯:৩০ টায়।

১.#শ্রীনগরঃ যথারিতি সকাল ৮ টায় আমরা আবার এয়ারপোর্ট চলে এলাম তারপর ১১:৫০ এ আমরা দিল্লী নামি কারণ আমাদের ৩:০৫ ঘন্টা র্টানজীট ছিলো সেটা শেষ করে আবার আমরা দিল্লী থেকে শ্রীনগর এর উদ্দেশে রওনা দিলাম বিকাল ৫ টায় পৌঁছে গেলাম আর সেখানে গিয়ে সুলতান ভাইয়ের সাথে পরিচয় হলো উনার বেশ কয়েকটা বোট হাউজ আছে যা উনি ভাড়া দিয়ে থাকে তো উনাকে আমদের থাকার খাওয়ার ঘুড়ার প্যান বল্লাম ৭ দিন ৮ রাত উনি আমদের সব ৩৮,০০০ হাজার রুপি তে ঠিক করে দিলো। এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার পর এতো সুন্দর পরিবেশ ঠাণ্ডা ও না আবার গরম ও না এমন পরিবেশের যে কেউ প্রেমে পড়েই যেতে পারেন আমি ও গিয়েছিলাম। চারদিকে সবুজ আর উঁচু উঁচু বরফে ঘেড়া পাহাড় আর ঠাণ্ডা একটা পরিবেশ। আর আমদের টিকেট প্রাইজ ছিলো ১৮০০০ হাজার টাকা কোলকাতা টু শ্রীনগর টু কোলকাতা।

২.#জ্বীরো_ব্রীজঃ খুব সুন্দর একটা কাঠের ব্রীজ খুব সকালে উঠে হাঁটতে বের হওয়া আর বিকেলের পরিবেশ উপভোগ করার মতন একাটা জায়গা অনেক লোকাল মানুষের আড্ডা চলতে থাকে ব্রীজের উপর।

৩. #বোট_হাউজঃ যাক চলে এলাম বোটহাউজে সেখানে ছিলো ২টা মাস্টার বেডরুম ১টা ড্রয়িং ১টা ডাইনিং ২টা বারান্দা যেখানে দাড়াঁলে লেক দেখা যায় বেশ সাজানো গোছানো একাটা ফ্ল্যাট বাড়ী মনে হলো।

৪.#সোনমার্গঃ পরের দিন আমাদের ড্রাইভার সকাল ৯টায় চলে আসে আমরা সোনমার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দেই আর ১২টার মধ্যে যথারিতি পৌঁছে গেলাম বেশ মনোরম পরিবেশ সেখানে গিয়ে যদি বরফ না দেখি তাইলে আর কি দেখলাম ঠিক করলাম ঘোড়া ৭০০ রুপি দিয়ে কিন্তু মনে রাখবেন ওরা আপনার থেকে অনেক রুপি চাইবে ১৫০০/২০০০ আপনাকে অনেক বারগ্যানিং করতে হবে আর যেতে যেতে আরো অনেক সুন্দর কিছু স্পট পাবেন চাইলে নেমে ছবি তুলে নিতে পারেন।

৫.#ইউস্মার্গঃ এই জায়গাটাতে মানুষ কম যায় তেমন দেখার মতো কিছু নেই তবে চারপাশটা সবুজে ভরা ওখানে দুধ নাঙগা, চ্যারি বাগান কিছু জায়গা আছে সময় থাকলে ঘুড়ে আসতে পারেন না হলে এই জায়গাটা বাদ দিতে পারেন ৩/৪ ঘন্টার মতন লাগে যেতে। আমারা দুধ নাঙগা গিয়েছিলাম ১৫০ রুপি দিয়ে ঘোড়া করে আর পরে আশেপাশে ঘুড়াঘুড়ি করে চলে আসলাম তবে যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন তারা বেশ ভালো ছবি তুলতে পারবেন।

৬.#গুলমার্গঃ নিয়ে বলার কিছু নেই ছবির মত দেখতে চারদিকের পরিবেশ আমরা বরফ দেখার জন্য ঘোড়া ঠিক করলাম ৭০০ আর বুট ভাড়া ১০০ রুপি দিয়ে তবে বলে রাখি ঘোড়ার রাইডটা আপনার জীবনের সেটা রাইড হতে পারে ১:৩০ ঘন্টার মত লাগে কিন্তু চারদিকের এতো সুন্দর পরিবেশ আপনার চোখ তাক লাগিয়ে দিবে।

৭.#পেহেলগামঃ পরের দিন আমরা চলে গেলাম পেগেলগাম সেখানে একরাত হোটেলে ছিলাম ঠিক একটা ছোট লেকের পাশে চারদিকে পাহাড় আহ্ মনে হলো এক টুকরা স্বর্গ। তারপর ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম খেতে আর ঘুড়তে।

৮.#মিনি_সুইর্টজারল্যান্ডঃ পেহেলগাম থেকে ঘোড়া নিয়ে আপনাকে যতে হবে মিনি সুইর্টজারল্যান্ড আমরা যতারিতি ঘোড়া নিলাম ৭০০ রুপি করে ১:৩০ ঘন্টার মতন লাগলো চার পাশের পরিবেশ দেখেই মন ভরে গেলো তারপর যখন পৌঁছালাম মিনি সুইর্টজারল্যান্ড সত্যি মনে হলো আমি এখন সুইর্টজারল্যান্ড।

৯. আপনার কাছে সময় থাকলে আপনি #আপেল বাগান #শালিমার বাগান #নিশাত বাগান #পরিমহল আর #ডাল লেক এগুলা একদিনে ঘুড়তে পারবেন আর এই জায়গা গুলো শেষ দিন ঘুড়বেন তাহলে মজা পাবেন পুরো শ্রীনগর টা ওই দিন ঘুড়ে একটু শপিং করে রাতে খেয়ে হোটেলে চলে আসবেন ব্যাগ গুছিয়ে সকালে চলে আসবেন।

আমরা ৬ জন গিয়েছিলাম আমাদের ট্যুরটা বেশ আনন্দ করেছি ৭ দিন আর ৮ রাত। আসার সময় এতো মায়া লাগছিলো মনেহচ্ছিলো আমার অনেক টাকা থাকলে ওখানে একটা বাড়িঘর বানিয়ে থেকে যেতাম। আর কাশ্মীরি মানুষের ব্যাবহার খুব ভালো আর ওরা বাংলাদেশের মানুষ কে খুব পছন্দ করে।

Source: Shaheen Chowdhury Neel‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment