সিকিম যেভাবে যাবেন ও তথ্যবলী

আমি তেমন ভালো লিখতে পারিনা তাও চেষ্টা করছি কিছু লিখার। আপাতত পারমিশন নিয়ে লিখছি পরে ভ্রমণ কাহিনি নিয়ে লিখবো।

১। সিকিমের পারমিশন নির্দেশাবলী।
২। সিকিমে ঢুকার পর কিভাবে পারমিশন গুলো নিতে হয়।

৩।যারা সিকিম যাওয়ার জন্য পারমিশন নিতে চাচ্ছেন তারা ৩ পেইজের ফরমটি ফিলাপ করে এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, পাসপোর্ট ও ভিসা থাকলে ভিসার স্কেন কপিসহ যমুনা ফিউচার পার্কে IVAC জমা দিবেন।ওয়েবসাইটের বাদিকের অন্যান্য ফর্ম টি ক্লিক করলে “সুরক্ষিত/সীমাবদ্ধ স্থানে অনুমতির আবেদনপত্র” নামের প্রথম ফর্ম টা সঠিকভাবে পূর্ন করে জমা দিতে হবে।)

সব কিছু ঠিক থাকলে জমা দেয়ার ৭ দিন পর, ৭-১০ দিনের জন্য সিকিমের পারমিশন পেয়ে যাবেন।পারমিশন চার্জ – ৩০০ টাকা
সিকিম, অরুণাচল প্রদেশসহ ভারতের সীমাবদ্ধ বা সংরক্ষিত এলাকাসমূহে পারমিশন কিভাবে নিতে হবে তার একটা নির্দেশাবলী ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের (IVAC) ওয়েবসাইটে দেয়া আছে। নির্দেশাবলীর লিংক নিচে দেয়া হলো।

৪। সিকিমে ঢুকার পর কিভাবে পারমিশন গুলো নিতে হয়।

সিকিম যাবার পথে সিকিম গেট-এ সব গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। সিকিমিজ ও ভারতীয় নাগরিক বাদে সবার সিকিমে ঢোকার জন্য Foreigners Reporting Office থেকে “Inner line permite/ Respected area permite” নিতে হয়। বর্তমানে যেটা বাংলাদেশে IVAC (Indian Visa Application Center) থেকে দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে যে পারমিশন পেপার দেয়া হচ্ছে ওটা শো করলে তারা পাসপোর্টে একটি ছিল মেরে দিবে। তারপর আপনি সিকিমে ঢুকে যেতে পারবেন।

মনে রাখবেন এটা শুধু সিকিমে ঢুকা, গ্যাংটক শহর এবং আশেপাশের থাকা-ঘুরার পারমিশন। এই পারমিশন দিয়ে আপনি নাথুলা পাস, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু লেক, লাচেন, গুরুদগমার লেক, লাচুং, জিরোপয়েন্ট, ইয়ামিথ্যাং ভ্যালি যেতে পারবেননা। এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা পারমিশন নিতে হবে গ্যাংটক শহর থেকে। গ্যাংটক শহরে সরকার অনুমোদিত অনেক এজেন্সি আছে যাদের দিয়ে এই পারমিশন গুলো নিতে হয় এবং গাড়ি ভাড়া করতে হয়। প্রতিটা পারমিশন এর সময় ৩কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, ১টি পাসপোর্টের ফটোকপি ও ১টি ভিসার ফটোকপি জমা দিতে হয়। সাধারণত এজেন্সিগুলো প্রতিটা পারমিশনের জন্য ১০০-২০০ রুপি নিয়ে থাকে।

Share:

Leave a Comment