যারা দিল্লি তে ঘুরতে যান তাদের জন্য করনীয় । যেই ধরনের সমস্যা গুলো আমার কাছে মনে হয়েছে সেগুল তুলে ধরলাম ।
এমনি কোলকাতার মানুষদের চেয়ে ওরা অনেক হেল্পফুল যেটা আমার কাছে মনে হয়েছে । পৃথিবীর ব্যস্ততম শহর এর মদ্ধে দিল্লি হচ্ছে অন্যতম আরেকটি শহর। পুরনো দিল্লি দেখে আপনি পুরো দিল্লি বিচার করতে পারবেন না মেইন দিল্লি দেখলে মাঝে মাঝে মনে করবেন আমি মনে হয় ইউরোপ এ আছি, সরকারি যতো ইমারত দেখবেন মাথা খারাপ হয়ে যাবে কতো সুন্দর করে সাজান গুছানো । পাহারগঞ্জ এই জাগাকে আপনি সেন্ট্রাল দিল্লি বলতে পারেন অল ইন্ডিয়ান সবাই যারা দিল্লি তে যে কোনো কাজে আসে এখানেই থাকে বাংলাদেশিরা ও এখানেই থাকে কারন এখান থেকে সব কিছু কাছে । (NDRS) rail station টা এখানেই কলকাতা সিয়ালদাহ ও হাওড়া থেকে যেসব ট্রেন ছারে এখানেই এসে থামে । এই station এ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টা প্লাটফর্ম মাথা খারাপ হয়ে যায় এত বড় station.
পাহারগাঞ্জ এর সব হোটেল এ বাংলাদেশি এলাও না ।কারন অনেক হোটেলএ ফরেনারদের পারমিসন নাই । সিঙ্গেল ৬০০ রুপি থেকে ৩০০০ রুপি পর্যন্ত রুম পাবেন । কেন জানি হোটেল এর লোকেরা বাংলাদেশীদের খুব একটা পছন্দ করে না , কেন করে না পরে এটা বিস্তারিত বলবো । পুরান দিল্লি পাহারগাঞ্জ এ দালাল দের প্রচুর উৎপাত সাবধান এরা আপনাকে বিপদে ফালাবে এদের থেকে দূরে থাকবেন , এরা আপনাকে অনেক প্রশ্ন করবে আপনি কোন উত্তর দিবেন না তাহলে দেখবেন চলে যাবে । হোটেল এর আশেপাশে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি আছে তারা খুব চালাক ভুলে ও তাদের মিষ্টি কথায় গলে যাবেন না । দিল্লি সাইড সিন করার জন্য আপনাকে ট্র্যাভেল Agency তে জেতে হবে আগ্রা ,মাথুরা, জয়পুর এসব জাগায় যেতে হলে আপনাকে বিভিন্ন প্যাকজ নিতে হবে সাবধান বলবে ভলবো বাস দিয়ে দিবে নন ব্রান্ড এসি গাড়ি আগে থেকে সব কিছু শিউর হয়ে নিবেন।
কেনো বাংলাদেশীদের পছন্দ করে না তার কারণ হচ্ছে অনেক বাংলাদেশি আছে যারা দিল্লি তে আসে ইউরোপ এর ভিসার জন্য পৃথিবীর অলমোস্ট সব দেশের এম্বাসি ওখানে আছে । ওরা মনে করে সব বাঙালি এখানে আসে ইউরোপ এ যাবার জন্য ওরা মনে করে বাংলাদেশ এ কোন কাজ নাই তাই সবাই ইউরোপএ চলে যায় এই জিনিষ গুলো খুব ভালো চোখে দেখে না। যারা ভিসার জন্য দিল্লি যাবেন তারা ix ভিসা নিয়ে যাবেন ভিসা সঙ্ক্রান্ত কাজে অই ভিসা ন্যে যেতে হয় যদি ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে অই কাজ করতে যান তাহলে বাংলাদেশ ইম্মিগ্রেসন এ আপনাকে বড় মাপের ঘুস দিয়ে ইম্মিগ্রেসন থেকে বের হয়ে আসতে হবে নাহলে আপনার পাসপোর্ট জব্দ করে ঢাকার স্পেসাল ব্রাঞ্চ এ পাঠায় দিবে মনে করবেন ওই পাসপোর্ট এর আসা বাদ , কারণ আপনি যা করছেন তা আইনের পরপন্থি বা মনে করেন ওটা ইলিগাল কাজ । যাই করেন বুঝে শুনে করবেন কারণ এরকম অনেক কেস আমি ইম্মিগ্রেসন এ দেখেছি অনেকের পাসপোর্ট জব্দ করে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে এবং বলেছে SB তে গিয়ে যোগাযোগ করুন ।
আপনি যদি মানালি বা শিমলা বা জাম্মু কাশ্মির যান দয়া করে কোন ট্রাভেল এজেন্সির কাছে যাবেন না । কারন দিল্লি পাহারগাঞ্জ থেকে কাশ্মির গেট ৪ কিলোমিটার ওখানে গিয়ে ডিরেক্ট টিকেট কেটে যেতে পারবেন কোনো ঝামেলা নেই । ট্রান্সপোর্ট এর জন্য মেট্রো বেষ্ট খুচরো করে টিকেট করতে গেলে বেশী টাকা লাগবে আমার কাছে মনে হয়েছে প্রতিদিনের বেসিক কার্ড করে নিবেন ১০০ রুপির মতো লাগে সারাদিন ব্যাবহার করতে পারবেন । আমরা ৪ জন ছিলাম আমরা ওলা ও উবার ব্যাবহার করতাম ওটা আমাদের কাছে একটু সস্তা মনে হয়েছে কারন আমরা ৪ জন ছিলাম বলে । অনেক গেঞ্জামপূর্ণ একটা শহর সবাই নিজেকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত তারপর ও সবাই অনেক friendly । আমরা কাছে পারসনালি দিল্লি অনেক ভালো লেগেছে । যারা নন ভেজ খাবার পছন্দ করেন তারা জামা মাসজিদ এর দিকে চলে যাবেন কোন খাবার নাই ওখানে, খাবারের মেলা বলা যায় । কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি আমি অনেক ভোজনরসিক একটা মানুষ, কিন্তু আমার মন পরে ছিল পুরান ঢাকার খাবার এর প্রতি । আমার কাছে খুব একটা খাবার ভালো লাগে নাই মিষ্টি জাতিয় খাবার ছাড়া । একান্ত আমার বেক্তিগত মতামত কেউ আবার ভুল বুঝবেন না ।
দিল্লি টু কলকাতা রাজধানি ট্রেন এসেছি অসাধারন সার্ভিস ছিলো খাবার দাবার ফ্রী ছিলো। ফরেন কোঠায় টিকেট পাবেন সবসময়। আর একটা কথা দিল্লির ভিতরে যখন ঘুরবেন তখন আপনি আপনার পাসপোর্ট হোটেল এ জমা দিয়ে হোটেল এর কার্ড নিয়ে ঘুরবেন বাইরে পুলিশ বা কেউ পাসপোর্ট চাইলে বলবেন হোটেল এ আছে , কেনো বললাম এই কথা কারন অনেকে ওখানে গিয়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলে । পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলা যে কি ঝামেলা কতো থানা পুলিশ মন্ত্রণালয় যেতে হয় যা বলার মতো না । মনে রাখবেন আপনার সব হারিয়ে যাক কিন্তু পাসপোর্ট সাবধান ।
যারা খুব ব্রান্ড এর প্রডাক্ট ফ্রিক তাদের জন্য সাকেত সিটি মল সাউথ দিল্লি তে মেট্রো তে ও যেতে পারেন উবের এ নিবে ২৫০ রুপি । কোন ব্রান্ড নাই এই মলএ (ভ্যান হুসন) থেকে (লুই ভুটন) আরমানি , গুচি, জারা , কেল্ভিন ক্লেন , পুমা, উডল্যান্ড আডিডাস সব ব্রান্ড পাবেন কপাল ভালো থাকলে ডিসকাউনট ও পেতে পাড়েন আমি পেয়েছি । ব্রান্ড ওর নন ব্রান্ড এর জুতা ছেলে ও মেয়েদের জন্য কারলবাগ চলে যাবেন কি নাই সব পাবেন । পাহারগাঞ্জ থেকে উবের এ ১২০ রুপি নিবে কারল্বাগ । যারা কফি লাভার দয়া করে স্টারবাক্স মিস করবেন না কফির দাম শুরু ৪০০ রুপি থেকে । বারগার কিং আর ম্যাকডনালডস মিস করবেন না একদম সস্তা টেস্ট আমর কাছে ভালো লাগসে।
ডোমেস্তিক বিমানের মদ্ধে ইনডিগো এর সার্ভিস ভালো ছিলো । মনে হচ্ছিলো একদম নতুন বিমান । খুব চকচক করছিল একদম পরিস্কার পরিপাটি ছিলো আমার কাছে ভালো লেগেছিল । বাই রোড এ যদি বাংলাদেশ এ আসেন দয়া করে ডলার এর রিছিট টা দয়া করে নিয়ে আসবেন নাহলে ইন্ডিয়ান কাস্টমস ২০০ বা ৩০০ রুপি চেয়ে নিবে । ইন্ডিয়ান কোনো টাকা যেনো আপনার কাছে না থাকে যা থাকবে নিয়ে নিবে আগে থেকে বর্ডার থেকে বাংলা করে নিবেন । বাংলাদেশ ইমিগ্রেশেন এ ছাত্র হলে আই ডি কার্ড, চাকুরী করলে ছাড়পত্র নিয়ে যাবেন নাহলে ৫০০ টাকা ঘুস নিবে । যারা ইন্ডিয়ান সিম কিনবেন কলকাতা থেকে, একটু সাবধান ধান্দাবাজ থেকে ওরা বলবে সিম একটিভেট হতে ২ দিন সময় লাগবে কেউ ৬০০ টাকা বলবে কেউ ৫০০ বলবে কেউ ৪০০ বলবে আমি ৩০০ টাকা দিয়ে করসিলাম এবং সাথে সাথে একটিভেট করে দিবে । আমি ভোদাফোন সিম নিতে বলবো কারণ সিম কিনা থেকে ১ থেকে ২৮ দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ১ জিবি করে ফ্রি ইন্টারনেট পাবেন সাথে ৪জি নেটওয়ার্ক খুব ভালো সার্ভিস পেয়েছি । ওরা বলবে বাংলাদেশে কথা বলার জন্য পাওয়ার করে দেই ২ টাকা মিনিট এ কথা বলতে পারবেন ফেসবুক এর যুগে এখন আর পাওয়ার এর দরকার হয় না সবাই এখন ফেসবুক থাকে । আগে ও বলছি পারলে দিল্লি থেকে সিম কিনে নিয়েন কলকাতার লোকেরা আমাদের সাথে খুব ভালো একটা ব্যাবহার করতে চায় না ঠিক মতো ইনফরমেসন দিতে চায় না আমার কাছে বিরক্ত লেগেছে আমি ভুক্তবোগী তাই বললাম আপনি না ও হতে পারেন আমার মতো ।
সাবধান পকেটমার থেকে আপনার পাসে এমন সুন্দরি বা এত স্মার্ট লোক বসবে কল্পনা করতে পারবেন না যে আপনার পকেট এ যা ছিল সব শেষ। আমার এক পরিচিত বাংলাদেশি ভাই এর ২১ হাজার রুপি এভাবে চলে গেসে । অপরিচিত সুন্দরি দের কাছ থেকে হাজার মাইল দূরে থাকবেন । হোটেল এ খাবার এর আগে দাম জিজ্ঞাস করে নিবেন বলবেন হাফ প্লেট ভাত এর কথা বিল করবে ফুল প্লেট এর খুব সাবধান । কোন কিছু কিনতে গেলে বিশেষ করে পাহারগাঞ্জ এ খুব দামাদামি করে নিবেন ৫০০ টাকার জিনিষ দামাদামি করে ২০০ টাকায় আনতে পারবেন । তাজমহল এ গেলে মিথ্যা কথা বলে ইন্ডিয়ান বলে টিকেট কিনতে যাবেন না যদি ধরা খান কোনো ভাবে ৫০০০ রুপি ফাইন আর বাংলাদেশীদের নাম তো দুর্নাম হবেই । একটু সাবধান কোন ভাবেই নিজের দেশ কে ছোট করে আসবেন না । কারণ একজন বাংলাদেশীর জন্য সারা বাংলাদেশ এর নাম খারাপ করার দায়িত্ব আপনাকে কেউ আমরা দেই নাই । এরকম অনেক বাংলাদেশি করেছে তাই বললাম ।
আমি বাংলা লিখতে পারি না অনেক ভুল হতে পারে ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন ।চেষ্টা করলাম ভালো ও খারাপ দিক ফুল তুলে ধরতে ।আমরা চাই না কোনো বাংলাদেশি ভাই বা বোন যেনো ওখানে গিয়ে বিপদে না পরে তারা যেন সঠিক তথ্য মাথায় নিয়ে ঘুরতে যায় ।
source: Rozen Rezaul <Travelers of Bangladesh (ToB)