সাগর কন্যা উপাখ্যান

ব্যাপ্তিঃ-৩ রাত ২ দিন (বাসে ২ রাত, ১রাত হোটেল)

সমুদ্র সৈকত বলতে শুধু কক্সবাজার ই জানি অনেকে। খুব কম সংখ্যক লোকই গিয়েছে মনে হয় কক্সবাজারের তুলনায় । 
কুয়াকাটা সে এক স্বপ্নপুরীর গল্প। ভ্রমন পিপাসুদের কাছে হতে পারে
উপযুক্ত স্থান ।
রাতের ১০টায় সাভার নবীনগর থেকে (সাকুরা বেস্ট) বাসে উঠলাম ।
লঞ্চেও যাওয়া যায়। প্রথমে পটুয়াখালী তারপর পটুয়াখালি টু কুয়াকাটা বাস যায় ১০০টাকা ভারা। আমি বাস প্রিফার করব।

ঘন্টাখানেক পর বাস থামল পাটুরিয়া ফেরীঘাটে । অল্পকিছুক্ষনের মধ্যে বাস ফেরিতে উঠল। ফ্রেশ হয়ে ১লিটার পানি নিয়ে বাসে উঠে ঘুম । সকালে ঘুম যখন ভাঙল তখন সকাল ৭ টা সি বিচ এর সামনে । হোটেল চেক ইন দিলাম । ফ্রেশ হয়ে ব্যাগ রেখে গেলাম নাস্তা(খিচুরী ৬০ টাকা পানি ২০ টাকা খেতে ।
বাস টিকিট ৬৫০টাকা+ আনুসাঙ্গিক ৫০টাকা + হোটেল ৫০০ টাকা (কুয়াকাটা ইন)
টোটাল=১২৮০টাকা।

আশেপাশে দেখার মত অনেক যায়গা আছে । বাইক আছে অনেক ওরাই আপনাকে সব ঘুরিয়ে দেখাবে।
১১টা পর্যন্ত ঘুরেঘুরি করলাম আশেপাশে তারপর সমুদ্রে দাপাদাপি করলাম । হোটেলে গিয়ে গোসল করে দুপুরের খাবার খেলাম (ভাত মাছ ভর্তা ১৩০ টাকা)
একটা বাইক নিলাম ৪০০ টাকা দিয়ে আমি আর একজন । সুর্যস্ত দেখতে যাব। পাশাপাশি লেবুর বন ,লাল কাঁকড়ার চর ,সুন্দরবনের এক অংশ। আরো অনেক কিছু দেখালো ।
সন্ধ্যায় বিচে এসে বসে বসে সাগরকন্যার গর্জন শুনলাম । ফিশ ফ্রাই /কাকড়া ফ্রাই খেতে পারেন । আমি ফিশ ফ্রাই খেয়েছিলাম ২০০টাকা (শেষ করতে পারিনি)
রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে ৯ টায় আগে আগে চলে যাই কারন সুর্য উদয় দেখতে হলে অনেক আগে উঠে যেতে হবে ।

টোটাল-১৩০+২০০+২০০=৫৩০টাকা
চিন্তার কোন কারন নেই বাইক ওয়ালা কল দিয়ে সকালে উঠিয়ে নিয়ে যাবে । সুর্যদয় ,মিরচিপারা বোদ্ধ মন্দির,গঙ্গামতির চর কুপ সবকিছু দেখে আসতে আসতে বেলা দুপুর ।
হোটেলে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে চেক আউট করে খাবার খেলাম।
৭টা ৩০ মিনিটে ঢাকার বাস ছাড়ে টিকিট কেটে ঢুকে পরলাম গ্রামের ভিতর । মানুশেরটে বসে থাকলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত । কেনাকাটা করলাম ।

টোটাল -বাইক ২০০টাকা খাবার ১২০ টাকা। টিকিট ৬৫০টাকা=৯৭০ টাকা

বিঃদ্রঃ- কম বেশী ১৮টা স্পট আছে সবগুলা ভুইলা গেছি 
– সূর্যাস্ত আর সূর্যদয় দেখার মজাটাই আসল এখানে কেউ মিস করবেন না ।
-বিচ ফটো গ্রাফার অনেক রিকুয়েস্ট করতে পারে ছবি তোলার জন্য খারাপ ব্যবহার করবেন না তাদের সাথে।
-ডাবের খোসা সমুদ্রে ফেলবেন না ।
প্রকৃতিকে ভালবাসুন ।
Post Copied From: Abdulla Al Jabed to Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment