ঘুরে এলাম বান্দরবন
মেঘলা Gold Tample নীলগিরি
চিম্বুক পাহাড় নীলাচল
দুই বন্ধু হটাত বেরিয়ে পরলাম।
তিন দিন আগে কুমিল্লা শহর থেকে পাদুয়ার বাজার। রাত ২ টার বাসে রওনা করলাম। রাত ৪ টায় চট্রগ্রাম। সেখান থেকে হোটেল মিডওয়ে সকালের নাস্তা করে এফবিতে পরিচয় সাহজাহান ভাই এর এগ্রো প্রজেক্ট দেখতে মটর সাইকেলে করে রওয়ানা হলাম। ভাই এর কলা লেবু আম কাঠাল বাগান গরু ছাগল মাছের প্রজেক্ট দেখলাম। বেশ গুছানো। বাগানের কারবাইড মুক্ত কলা খেলাম।
সেখান থেকে বান্দরবন সদর এর বাসে চেপে বসলাম দুই বন্ধু। মেঘলা তে গেলাম এন্ট্রি ৪০ টাকা + কেবল কার ৫০ টাকা।বেশ কিছু সিড়ি ভেঙে নিচে নামতে হয়।ঝুলন্ত ব্রিজ আছে দেখার মত। কেবল কারে চেপে বস্লাম দুই বন্ধু। তেমন ভাল লাগে নাই।সিড়ি বেয়ে উপরে উঠতে গিয়ে দম ফুরিয়ে আসছিল। আর ঘামে গেঞ্জি চুপচুপে।সেখান থেকে লোকাল বাসে চেপে বান্দরবন সদর আসি।
জুমার নামাজ পড়ে নীলগিরি যাওয়ার বাহন খুজতেসি। সিএঞ্জি ভাড়া চাইলো ৪০০ বাইক ২০০০/ বাসে যাব ঠিক করলাম। কাউন্টারে এসে দেখি টিকেট নেই।ফিরে এসে হোটেল নিলাম। বিকেলে ফ্রেস হয়ে কাছেই gold tample দেখতে গেলাম অটো রিক্সা তে করে। মন্দির অনেক উচুতে প্রায় ৬০-৮০ টা সিড়ি বেয়ে উঠতে হয়।
যাবার পথে চাকমা মারমা সুন্দ্রি ললনা দের দেখছিলাম 🙂
ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ঘুম।
সকাল ৪ টায় ঘুম ভেঙে যায়।নামাজ পড়ে রেডি হয়ে পাসের হোটেলে নাস্তা করে সাথে আরো ৮ জনের দল নিয়ে আমরা নীলগিরির পথে রওয়ানা দেই।মাঝে সেনাবাহিনী নাম ঠিকানা ফোন নাম্বার এন্ট্রি করে। খুব ভোরে রওয়ানা হয়ে বাম ডান যেদিকে তাকাই মুঘধতা যেন কমছিল না। মনে হচ্ছিল যেন মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছি।
১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটে নীলগিরি পউছে যাই। চা পান করে ৫০ টাকা টিকেট কেটে নীলগিরি তে প্রবেশ করি।
খুব সাজানো গোছানো পরিপাটি।
সেনাবাহিনী এর জন্য স্পেশাল থেনক্স পেতেই পারে। প্রচুর ছবি তুলেছি। মেঘ ছিল আমাদের বেশ নিচে কারন আমরা ছিলাম ৩৫০০ ফুট উচুতে।
১ ঘণ্টা ঘুরাঘুরি করে আমরা রওয়ানা হই চিম্বুক পাহাড় এর উদ্দেশ্যে। চিম্বুক এর টিকেট ২০ টাকা। আমরা ছিলাম ২০ মিনিট।পাসে দোকান থেকে সবাই পাকা পেপে খরিদ করলো প্রতি কেজি ৪০ টাকা।
আমরা ১১ টার কিছু পর পথে একটা ঝরনার দেখা পাই।কেডস গেঞ্জি খুলে নেমে যাই। বেশ পিচ্ছিল পাথর। ৩ চারটা গোল বাথ ট্যাব এর মত। বহু দূর হতে পানি পড়ছে অবিরত। ২৫ মিনিট পর ফ্রেস হয়ে স্থানীয় পাহাড়ি দের হাতে বোনা মাফ্লার কিনলাম আম্মার জন্য।কলা খেলাম ৪ টা ১২ টাকা।
সদরে এসে হোটেল থেকে বেগেজ নিয়ে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাচল দেখার জন্য রওয়ানা করলাম। সিএনজি ভাড়া করে ৩০-৩৫ মিনিটে নিলাচল পউছে গেলাম। ৫০ টাকা এন্ট্রি টিকেট করে ভিতরে প্রবেশ করলাম। আমাদের সাথে কিছু স্কুল এর ছেলে মেয়ে প্রবেশ করে। বেশ সুন্দর ছিমছাম সাজানো। ছবি তুলতে তুলতে আমার মোবাইল এর চারজ শেষ এর দিকে। ৪০ মিনিট পর চট্রগ্রাম এর বাসের টিকেট করে সন্ধ্যা ৭ টায় চট্রগ্রাম পউছি। সেখান থেকে কুমিল্লা রাত ১১:৩০।
নেক্সট কেওকারাডং বগালেক ক্রেমারি নাফাখুম
Post Copied From:Syful Tonmoy Choudhury>Travelers of Bangladesh (ToB