স্বল্প খরচে ঘুরে আসুন নিঝুম দ্বীপ

সদস্য সংখ্যা : ৬ জন।
যাত্রা শুরু : চট্টগ্রাম
বাঁধন / রেসালাহ পরিবহনের রাতের শেষ বাসে করে চেয়ারম্যান ঘাটা , ২০০/=
ভোরে পৌঁছে যাবেন ,রেসালাহ তুলনামূলক ভাল। ভোর ৫ :৩০ এর দিকে ব্রেকফাস্ট করেই ঘাটে যাবেন। লঞ্চ ছাড়বে ৮ টায়। স্পীডবোট আছে দাম বেশি। আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে যায় এরকম একটা ট্রলারে দরদাম করে উঠেছি জন প্রতি ৩০০/= ,মোটামুটি ৪ ঘন্টার পথ। তবে অসম্ভব ভাল কাটবে যাত্রাসময়টুকু। শীতকাল হওয়াতে রোদের তেজ কম পাবেন। 🙂ট্রলার একেবারে নিঝুম দ্বীপ এর ঘাটেই নামাবে। সুতরাং ট্রলার ই আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। লঞ্চে গেলে ভেঙ্গে যেতে হবে।
সবুজ ভাইয়ের সাথে আগেই যোগাযোগ করে রুম বুক করে রাখা হয়েছিল। সমস্য হয় নি। এক রাতের জন্য ১০০০/= . ১ টা ডবল ও ৪ টি সিঙ্গেল বেড। দুইটি বাথরুম , সন্ধ্যা থেকেই জেনারেটর পাবেন। আবার সন্ধ্যায় আপনি চাইলে ২০০/= এক্সট্রা দিলে উনারাই বারবিকিউ করে দিবেন। আমরা মুরগী কিনে দিয়েছিলাম। রুটির অর্ডার ও দিয়েছিলাম। বারবিকিউ ভাল হয়েছিল।
দুপুরের খাবার বাজারের যে কোন হোটেলে খেতে পারেন। বা চাইলে যেখানে থাকবেন ওখানে রান্নার ব্যবস্থা আছে। আপনারা করে নিতে পারেন। হোটেলে খেলে ভাই ভাই হোটেল ই ভাল। 🙂
বিকালে ওদের হোটেলে নিজেদের বানানো রসগোল্লা পাওয়া যায়। মাত্র ১০/=
দুপুরে খেয়ে স্থানীয় বাজারের ডানপাশের পথ দিয়ে একটু গেলেই বীচ চোখে পড়বে। হয়তো কক্সবাজারের ঢেউ পাবেন না। কিন্তু কান পেতে থাকলে শো শো আওয়াজ আপনাকে উত্তাল করে তুলবেই। সাথে নিঝুম দ্বীপের নীরবতা আপনাকে একটু হলেও রোমাঞ্চিত ও শিহরিত করবেই।
আপনি চাইলে রাতে বীচ এই তাবু টেনে ঘুমাতে পারেন। কোন সমস্য হবে ন। সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় অবশ্যই এই বীচ থেকেই দেখে যাবেন। 🙂
যতক্ষন ইচ্ছা রাতে থেকে আমি ও দলের অন্য দুজন মিলে ট্রলার ঘাটের সোজা হেঁটে একটু দুর গাছের ফাঁকে হাঁটতেই সুন্দর একটা খোলা জায়গায় এসে পৌছলাম। এখানে আপনি পূর্নিমার সময় অসম্ভব ভাল জোছনা দেখতে পাবেন। লাকিলি আমরা পূর্নিমার আগের দিন ই গিয়েছিলাম। সাথে দু পাশের বনের নিস্তব্ধতা চিড়ে ঝি ঝি পোকার আওয়াজ ফ্রী। 🙂
রাতে তেমন একটা ঘুমাইনি বললেই চলে। ভোর ৫ টার দিকে আমি ও দলের একজন স্থানীয় একটা পিচ্চিকে নিয়ে বেরলাম। পিচ্চির কথা মতো একটা ছড়া পেরিয়ে বনে ঢুকলেই হরিন এবং হরিন শাবক দেখতে পাব। যার প্রমান আমি ছবিতেই দিয়েছি। দেখে নিন। বনের মধ্যে এসব প্রানী দেখতে পাওয়ার ন্য রকম প্রশান্তি আছে। যারা এই প্রশান্তি পেতে চান অবশ্যই শীতের জড়তা কাটিয়ে ভোরে গিয়ে হাজির হবেন ম্যানগ্রোভ এ। ঘন্টা দুয়েক কাটিয়ে আবার ফিরে আসি। এরপর এদিক ওদিক ঘুরে দুপুরের দিকে বেরিয়ে পড়ি।
এবার স্থানীয় মোটরসাইকেলে করে জনপ্রতি ৫০/= করে ঘাটে নিয়ে যাবে। এক মোটরসাইকেলে চালক সহ ৩ জন। আপনি চাইলে রাস্তায় দাড়িয়ে কিছুক্ষণ কাটিয়ে নিতে পারেন পুরো নিঝুম দ্ব্বীপের চিত্র দেখার জন্য। ঘাট থেকে ট্রলার আছে। চাইলে স্পীডবোটে অন্য পাড়ে গিয়ে হাতিয়া তে ঘাটে উঠতে পারেন। আমরা স্পীডবটে করে গিয়েছি। ৬০/= জনপ্রতি . ওদিকে আবার মোটরসাইকেল ,জনপ্রতি ২০০/= ঘন্টাদেড়েক লাগে হাতিয়ার অপর ঘাটে যেতে। পথে সাদা শাপলা দেখতে পাবেন প্রচুর্। ওখান থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে ১০০/= করে চেয়ারম্যান ঘাট। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে বাঁধনে চট্টগ্রাম 🙂 🙂
জনপ্রতি খরচ: ২০০০/=
আমার ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভাল কেটেছে। ঘুরতে গিয়ে কোন ধরনের পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না। এটাই অনুরোধ 🙂 🙂 ..

Post Copied From:পরিশ্রমী অলস‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment