ট্যুর ডায়েরী

খাগড়াছড়ি সাজেক, ও রাঙ্গামাটি

মেঘ,পাহাড় আর ঝর্নাপ্রেমীদের জন্য ৫ দিনের বিস্তারিত ট্যুর প্ল্যান। খরচ জনপ্রতি পড়েছিল ৫২০০ টাকা। নিচে সবকিছু যথাসম্ভব বলার চেষ্টা করেছি।
সেমিস্টার ফাইনাল শেষে ৯ থেকে ১৩ নভেম্বর এই ৫ দিনে আমরা এই ট্যুর কমপ্লিট করি। আমরা ছিলাম মোট ১৪ জন।

( এটা আমার ট্রাভেলিং নিয়ে প্রথম পোস্ট। তাই যেকোন ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)

প্রথম দিন: আমরা ৮ তারিখ রাত ৯ টায় ফকিরাপুল থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে এস আলম বাসে
উঠি। ভাড়া ৫২০ টাকা। খাগড়াছড়ি শহরে নামি ভোর ৫ টায়। বাস সার্ভিস মোটামুটি ভালোই ছিলো। চাঁদের গাড়ি আমাদের আগে থেকে ঠিক করা ছিলো। চাঁদের গাড়ীর
ভাড়া নিয়ে কিছু কথা বলি। ওখানে এখন সমিতির সেই দাপট। ৯১০০ টাকা একরেট সাথে ড্রাইভারের খাওয়ার দায়িত্ব ও আপনাকে নিতে হবে। কিন্তু আমরা ৭০০০ টাকায় দুই দিনের জন্য গাড়ি পেয়েছিলাম। সাথে ড্রাইভারের খাওয়াদাওয়াও আমাদের দিতে হয়নি। এই গাড়ি সমিতির বাইরে ছিলো। গাড়ির ড্রাইভার সেলিম ভাই। ওনার নাম্বার লাস্টে দিয়ে দিব। এখন সিজন চলতেছে পুরোদমে।
এই দামে গাড়ী নাও পেতে পারেন। বাট একটু খুঁজে দেখবেন। আমরা সকাল ৭ টায় সাজেক এর
উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথে দিঘিনালায় নাস্তা সেরে নেই। এরপর হাজাছড়া ঝর্না দেখি। মেইন রোড থেকে
১০ মিনিট হাটার পথ। মোটামুটি সুন্দর ঝর্না। কিছু সময় কাটিয়ে আবার রওনা দেই আর্মির সকালের
স্কোয়াড এর সাথে। আর্মির সকালের স্কোয়াড ১০.৩০ এ রওনা দিয়েছিল। এর আগে চেকপয়েন্ট এ পৌঁছাতে হয়। সাজেকের এই রাস্তা অস্হির রকমের সুন্দর। রোলার কোস্টারের ফিল পাবেন অনেকটা।
১২.৩০ এর দিকে আমরা পৌঁছাই সাজেকে। কটেজ আগে থেকে বুকিং দেয়া ছিল।
এখন সিজন চলে। আগে বুকিং দেয়া বেটার। আমাদের কটেজ ছিলো জুমঘর। সাজেকের নামকরা কটেজগুলোর মধ্যে অন্যতম। বেশ ভালো কটেজ। আমরা তিনটা রুম নিসিলাম। পার রুম ২৫০০ টাকা। একরুমে ৪-৫ জন আরামে থাকা যায়। এটাচ বাথ আছে। দুপুর ১- ২ টা আর সন্ধ্যা ৭- রাত ১০ পর্যন্ত জেনারেটর চলে। ফোন, ক্যামেরা চার্জ দিতে পারবেন।
আর সোলার লাইট আছে। সবসময় জ্বলে।

ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়াদাওয়া করি হোটেল পেদা টিং টিং এ। ভাত, পাহাড়ি মুরগি, সবজি,ভর্তা,ডাল সবমিলিয়ে ২০০ টাকা পার পারসন।
খাবারের টেস্ট অনেক ভালো ছিলো। এখানে খাইতে চাইলে একবেলা আগে অর্ডার দিতে হয়। আমি এখানকার ফোননাম্বার লাস্ট এ দিয়ে দিব।
এরপর রুমে রেস্ট নিয়ে বিকেল ৪ টার দিকে কংলাক পাহাড়ের দিকে যাই। চাঁদের গাড়ি অনেকখানি নিয়ে যায়। এরপর কিছুটা পাহাড় চড়তে হয়।
এর চূড়া থেকে অনেক জোস ভিউ পাওয়া যায়। তারপর এখান থেকে ফিরে এসে হ্যালিপ্যাডে সূর্যাস্ত দেখি।
জ্যোৎস্না রাত ছিল। সাজেকের রাতের আকাশ, ওখানকার রাতের পরিবেশ এগুলো আসলে লেখে বোঝানো যাবে না। ওখানে গেলে ফিল করতে পারবেন।
রাতে বারবিকিউ করি। পেদা টিং টিং ব্যবস্থা করে দেয় আগে বলে রাখলে। ৮ জনের জন্য খরচ ১০০০ টাকা।

রাত ১২ টার দিকেই সেই মেঘের দেখা মেলতে শুরু করে। কটেজ এর বারান্দা থেকে রাতের এই দৃশ্য মন জুড়িয়ে দেবে। এভাবেই প্রথম দিন শেষ হলো।

দ্বিতীয় দিন: ভোর ৫ টায় চলে যাই আবার হ্যালিপ্যাডে। শীতের পোষাক নিয়ে যাবেন। বেশ ঠান্ডা পড়ে। তুষার শুভ্র মেঘের সমুদ্র দেখতে দেখতে সূর্যোদয় দেখা লাইফটাইম এক্সপেরিয়েন্স। ওখানে ৭.৩০ পর্যন্ত ছিলাম।
সকালে আবার পেদা টিং টিং এ খিচুড়ি,ডিম ভুনা দিয়ে নাস্তা সারি। ১০০ টাকা পার পারসন। সাজেকে খাবার দাম একটু বেশিই। পানির দামও বেশি। খরচ কিছুটা বাঁচাতে চাইলে শহর থেকে খাবার পানি কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
এরপর জিনিসপত্র গুছিয়ে সকাল ১০ টায় সকালের স্কোয়াডে সাজেকের মায়া ত্যাগ করি।
সাজেক এক কথায় অসাধারন। নিরাপত্তা ভালো। ফ্যামিলি ট্যুর এর জন্য পারফেক্ট।
এরপর আবার খাগড়াছড়ি শহরে চলে আসি। শহরে আসতে আসতে ১.৩০ টা বেজে যায়। এরপর আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্না দেখি। রিসাং ঝর্না অনেক অনেক পিচ্ছিল আর ঢালু।
সাবধানে চলবেন। রিসাং এ সময় বেশি কাটানোয় পার্ক টা দেখার সময় হয়নি।
রাতে শহরের সিস্টেম রেস্টুরেন্ট এ রাতের খাবার খাই। এখানে অনেক ট্রেডিশনাল খাবার পাওয়া যায়। বেশি জন থাকলে আগে থেকেই বলে রাখবেন।
এটা এখানকার বিখ্যাত। অটো করে যেতে পারবেন। আমরা ভাত, ভর্তা, মাশরুম, হাঁস সাথে Bamboo Chicken নিই। Bamboo chicken ১০০০ টাকা।
৮-১০ জন খেতে পারবেন। পার পারসন ২৫০ মত পড়সিল সব মিলে। এরপর বার্মিজ মার্কেট যাই। যদিও মাত্র ২-৩ টা দোকান ছিল। রাতে শহরের
হোটেল Mount Inn এ ছিলাম। একরুমে ৮ জন, আরেকরুমে ৬ জন। এক বেডে ২ জন। টোটাল ২৫০০ টাকা। হোটেল বেশ ভালো। সাজেক+ খাগড়াছড়ি ২ দিনে দেখা সম্ভব। কেউ যদি চান এইটুকু দেখে ঢাকা ব্যাক করবেন তা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৩০০০ টাকা জনপ্রতি ট্যুর কমপ্লিট দিতে পারবেন। সাজেক এখন অনেক পপুলার। এজন্য সময়ভেদে খরচ কিছুটা কম বেশি হতে পারে। আবার ফ্যামিলি নিয়ে গেলে খরচ বাড়বে স্বাভাবিক।

তৃতীয় দিন: এখন আমাদের টার্গেট হলো বিলাইছড়ি যাওয়া। সেখানে গিয়ে মুপ্পোছড়া, নকাটা, গাছকাটা আর ধূপপানি ঝর্না দেখা। সকালে খাগড়াছড়ি টু রাঙ্গামাটি গেটলক বাস সার্ভিস আছে। একদম ৮.২৫ এ বাস ছাড়ে। ভাড়া ১৪০ টাকা। টিকেট অনেক ভোরে গিয়ে কাটা লাগছিল কারন আমরা অনেক জন ছিলাম। অনেক সময় সিট শেষ হয়ে যায়। নাস্তা সেরে বাসে উঠি। ৩ ঘন্টায় রাঙ্গামাটি চলে যাই। নেমে সোজা ঘাটে চলে যাই। বোট রিজার্ভ করি বিলাইছড়ি যাওয়ার জন্য। বোট ভাড়া ২০০০ টাকা।২.৩০ ঘন্টা লেগেছিল রাঙ্গামাটি থেকে বিলাইছড়ি যেতে। পথে আর্মি ক্যাম্প পড়বে। অবশ্যই সাথে এনআইডি অথবা অন্য কোন আইডি কার্ডের ফটোকপি রাখবেন। এই ২.৩০ ঘন্টার কাপ্তাই লেকের উপর দিয়ে বোট জার্নি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কাপ্তাই লেক আর সবুজ পাহাড় এর নির্মল সৌন্দর্য মন ছুঁয়ে যাবে। ২ টার দিকে বিলাইছড়ি পৌঁছাই। এখানে ভাতঘর হোটেলে থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। থাকা জনপ্রতি ১০০ পার ডে। বিলাইছড়িতে থাকার জায়গা খুব ভালো না। বাট চালানো যাবে। ট্যুর এ সব জায়গা সমান হবে না স্বাভাবিক। এখানে খাওয়া খরচ জনপ্রতি ১১০ টাকা। খাবার ভাত,ডাল,ভর্তা,মুরগী/লেকের মাছ/ছোট মাছ। মাছ না মুরগি খাবেন সেটা বলে দিবেন। সকালে ডিম খিচুরি ৬৫ টাকা জনপ্রতি।
বিলাইছড়ি তে আবার বোট লাগবে। আমরা এমন ভাবে ভাড়া করেছিলাম যে, আমাদের এখানকার সব ঝর্না দেখাবে সাথে লাস্ট দিন আমাদের কাপ্তাই ঘাটে নামিয়ে দিয়ে আসবে টোটাল ৩২০০ টাকা। নৌকা ভাতঘরের মালিক নিজাম ভাই ঠিক করে দিসিলেন। ভাতঘরে উঠতে চাইলে আগে থেকে একটু বলে রাখা ভাল বিশেষ করে মেম্বার বেশি থাকলে।
এখানে রুম এ ব্যাগ এর অতিরিক্ত জিনিসপত্র রেখে আমরা মুপ্পোছড়া,নকাটা দেখার উদ্দেশ্যে বের হই ২.৩০ টার দিকে। এখানে বলে রাখি যেহেতু পাহাড়ে উঠতে হবে সো ব্যাগে জাস্ট ঝর্নায় গোসলের জন্য যে পোশাক নেওয়া দরকার সেটুকু,ক্যামেরা এসব নিবেন। এক্সট্রা কিছু নিয়ে ব্যাগ ভারী করার দরকার নেই। আগে পাহাড়এ ট্র্যাকিং এর অভিজ্ঞতা থাকলে তেমন কঠিন লাগবে না। কিন্তু নতুনদের জন্য শুরুতে কঠিন লাগতে পারে। বাট আসলে এটা কিছুই না। মনোবল রেখে সাবধানে উঠবেন। পাথর অনেক পিচ্ছিল হয়। সো সাবধানে পা ফেলবেন।
৩০ মিনিট নৌকায় করে একটা পাড়ার সামনে পৌঁছাই। এখান থেকে গাইড নিতে হয়। গাইড ৪০০ টাকা, ঘাট ফি ৫০ টাকা। এরপর হাটা শুরু। ১.৩০ ঘন্টা মোটামুটি ট্রেকিং এর পর মুপ্পোছড়া দেখতে পাই। শীতের সময় হওয়ায় পানি কম ছিল বাট তারপরও
যথেষ্ট সুন্দর। অনেক ধাপে ধাপে পানি পড়ে। দিন ছোট হওয়ায় কিছু সময় পড়ে ফিরতে শুরু করি। ফেরার পথে নকাটা ঝর্নাই যাই এখানে বেশ পানি ছিল।এখানে গোসল সেরে নেই।
আসলে যেকোন ঝর্নার পরিপূর্ণ রূপ বর্ষাকালে পাওয়া যায়। কিন্তু তখন রাস্তা ও ততটাই কঠিন ও ঝুকিপূর্ন হয়। তবে যেটুকু পাইসি যথেষ্ট পাইসি। এরপরে বিলাইছড়ি ফিরে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।
ডে ৩ শেষ। নেক্সট টার্গেট ধূপপানি ঝর্না।

চতুর্থ দিন: ধূপপানি ঝর্নায় যেতে আসতে অনেক সময় লাগে। তাই ৭.০০ টার দিকে বোটে উঠি। এদিনও ব্যাগ যথাসম্ভব হালকা রাখবেন। সাথে পারসোনাল হাফ লিটার পানি,স্যালাইন, গ্লুকোজ সাথে রাখবেন। কাজে দিবে। সকালের নাস্তা প্যাকেট করে নিসিলাম। পরে বোটে নাস্তা করি। আর যেহেতু দুপুরবেলা খাবার পাবেন না তাই শুকনা খাবার কিছু নিতে পারেন সাথে।
পথে দুইটা আর্মি ক্যাম্প পড়বে।আইডি কার্ড এর ফটোকপি সাথে রাখবেন। ভোরের কুয়াশাচ্ছন্ন কাপ্তাই লেকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে আবার নতুনভাবে মুগ্ধ করবে। ৯.৩০ এর দিকে একটা ঘাটে পৌঁছাই আমরা। এর পরে আর বড় বোট যায় না। ডিঙ্গি নৌকা নিতে হয়। একটাতে চারজন করে।এর ভাড়া ২০০ টাকা পার নৌকা। গাইড নিতে হয়। ৫০০ টাকা। ডিঙ্গি নৌকা তে ২০-২৫ মিনিট যেতে হয়। এই পার্ট টা অনেক মনোমুগ্ধকর।
নৌকা থেকে নেমে কিছুক্ষন হাটা। তারপর পাহাড়ে ওঠা শুরু। আমরা জানতাম যে ধূপপানির যাওয়ার পথটা অনেক কঠিন এবং রিস্কি এবং এভারেজ ২.৫-৩ ঘন্টা লাগে।
এইটা বৃষ্টি হলে হাড়ে হাড়ে সত্য। বাট অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পথ শুকনা ছিলো। এখন খাড়া পাহাড়ে সিড়ির মতো ধাপ করা আছে। এজন্য ঐ কষ্ট টা পেতে হয় নি। তবে পাহাড় অনেক খাড়া। মাঝপথে
কিছুটা পথ পানি আর পাথর এর উপর দিয়ে যেতে হয়। এখানে সাবধান থাকবেন এগুলো অনেক পিচ্ছিল।
পথের প্রায় শেষের দিকে ধূপপানি পাড়া। এখানে দোকান আছে একটা। হালকা নাস্তা করতে পারেন। এখানে একটা বৌদ্ধমন্দির আছে সেটাও দেখে আসি।
এই দূর্গম জায়গায় কয়েকটি উপজাতি পরিবার এর বসবাস, জীবনযাপন আসলে অবাক করার মতো।
এর পরে বেশ কিছু পথ নামতে হয়। এরপরে সেই সবচাইতে খাড়া অংশ। অনেকটা খাঁড়া মইয়ের মতো। বাট ঘাবড়ানোর দরকার নেই। ছোট ছোট ধাপ কাটা আছে। বাট বৃষ্টি হলে যে অনেক কষ্ট হবে বোঝায় যায়।
এরপর কিছু পাথরখন্ড পেরুলেই সেই কাংখিত ধূপপানি ঝর্না। আমার এখন পর্যন্ত দেখা সেরা ঝর্না এটি। এত কষ্টের পথ চলা সার্থক হলো।
টোটাল ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট লেগেছিল। ঐদিন আর কেউ ছিল না সেইখানে। আমরা নিজেরা ১.৩০ ঘন্টার মতো ইচ্ছামতো উপভোগ করি। পানি শীতকাল হওয়া সত্ত্বেও ভালোই ছিলো।
এরপর ফেরার পালা। ফেরার সময় প্রথমে একটু উঠতে হয় তারপর খালি নামা। আগের মতো কষ্ট হয় না
। এরপর আবার ডিঙ্গি নৌকা তারপর মেইন বোটে করে বিলাইছড়ি ফিরে আসা। ফিরতে ফিরতে ৪.৩০ বেজে যায়। চাইলে ওইদিনই কাপ্তাই ঘাটে যাওয়া যায় বাট ক্লান্ত থাকায় বিলাইছড়িতে থাকি আমরা।

পঞ্চম দিনঃ এদিন সকালে গাছকাটা ঝর্না দেখার কথা ছিলো। তারপর কাপ্তাই ঘাট যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহুর্তে আমরা পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢোকার পারমিশন পাই। যেহেতু আমরা এইকয়দিনে ৫ টা ঝর্না দেখেছি তাই গাছকাটা আর দেখি নাই। আপনারা চাইলে যেতে পারেন। বিলাইছড়ি থেকে নাস্তা করে সকাল ৮ টায় রওনা দিই কাপ্তাই ঘাটের উদ্দেশ্যে। সকাল ১০ টায় পৌঁছাই। সেখানে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। পারমিশন নেয়া ছিল। এখানে সিকিউরিটি অনেক বেশি। এখানে ঘুরা শেষ করে সিএনজি নিয়ে যাই কাপ্তাই কায়াক ক্লাব। এটা হোটেল প্যারাডাইসের নিচে অবস্থিত। সিএনজি কে এই হোটেল এর নাম ববললেই হবে।স্টুডেন্ট আইডি কার্ড দেখালে প্রতিজন ১০০ টাকা কায়াকিং। লাইফ জ্যাকেট এর ব্যবস্থা আছে। এক বোটে ২ জন। ঘন্টাখানেক কায়াকিং করি আমরা। এইটা আমাদের ট্যুরের অন্যতম বেস্ট পার্ট। অনেক মজা পাবেন।এরপর সিএনজি নিয়ে চিটাগাং শহর। প্রতিজন ১০০ টাকা লেগেছিল সব মিলায়ে। দুপুরে চিটাগাং মেজবানি খাওয়াদাওয়া সেরে চিটাগাং এর ফ্রেন্ডদের সাথে শহরে ঘুরাঘুরি করি। তারপর রাতের তূর্না ট্রেন এ করে ঢাকা ফিরে আসি।ট্রেন ভাড়া ৩৬৫ টাকা। আল্লাহর অশেষ রহমতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই আমাদের ট্যুর শেষ হয়। আলহামদুলিল্লাহ্।

হোটেল পেদা টিং টিং,সাজেক ০১৮৭৪২১০৫১৯

জুমঘর রিসোর্ট: ০১৮৮৪২০৮০৬০

সেলিম ভাই, চাঁদের গাড়ি ড্রাইভার: ০১৮৫৭৪৩৪০৩৮

ভাতঘর,নিজাম ভাই, বিলাইছড়ি: ০১৮৬০০৯৯০২৯

মাঝি, বিলাইছড়ি: ০১৮২৮৮০৪১১৭

** যেকোন ট্যুরে বিশেষ করে ট্রেকিং থাকলে কিছু ফার্স্ট এইড কিটস, কিছু জরুরি ঔষধ সাথে রাখবেন।

** সাজেক, বিলাইছড়ি এসব জায়গায় রবির নেটওয়ার্ক সবচাইতে ভালো। টেলিটক ডিস্টার্ব করে। অন্য অপারেটর এর সিগনাল পাওয়া যায়না বললেই চলে। তাই একটা রবি সিম রাখবেন সাথে।

** খরচের ব্যাপার টা কিছুটা পরিবর্তনশীল। কম বেশি হতেই পারে। সো কোন জায়গায় গেলে একবারে রিসেন্ট আপডেট নেয়ার চেষ্টা করবেন। আমাদের ১৪ জন হওয়ায় গাড়িভাড়া, নৌকাভাড়ায় জনপ্রতি খরচ কম পড়েছে।

Post Copied From:Rakib Hasan Rocky‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment