অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমির আরেক নাম নিঝুম দ্বীপ

নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় অবস্থিত এই “নিঝুম দ্বীপ” । উত্তরে হাতিয়া, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর,পশ্চিমে মনপুরা অবস্থিত। “নিঝুম দ্বীপ” কে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের রানী বলা হয়। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে আঁচড়ে পড়া অগণিত ঢেউ,অবারিত সবুজ গাছ-গাছালি আর সহস্র হরিণ “নিঝুম দ্বীপ” কে সৌন্দর্যের রানী হতে সহযোগিতা করেছে। প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে সকল সৌন্দর্য ঢেলে দিয়েছে বঙ্গোপসাগরের বুকে গড়ে সৃষ্ট “নিঝুম দ্বীপ” এলাকায়। “নিঝুম দ্বীপের” সৌন্দর্য দেখে মনে হয় ‘পানি ও কুয়াশার মাঝে শিল্পের নিপুন হাতে তুলির আছড়ে সৃষ্ট ঘুমন্ত এক পোট্রেট’।

দর্শনার্থীদের জন্য অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রয়েছে উপকূলীয় বনবিভাগের সাজানো কৃত্রিম সুন্দরবন। এখানে বনের ফাঁকে ফাঁকে আঁকা বাঁকা বয়ে গেছে ছোট ছোট নদী-নালা,বনে রয়েছে অজস্র হরিণ,মহিষ,ভেড়ার পাল, বানরসহ অনেক বন্য পশু-পাখি।অজস্র হরিণ এবং দ্বীপের পারিপার্শ্বিক প্রাকৃতিক-অনাবিল-নৈসর্গিক শোভা যেকোন পর্যটককেই আকর্ষণ করে। প্রাকৃতির নৈসর্গিক শোভামন্ডিত পরিবেশ, ঝাউবন, কাশফুল, সবুজ ঘাসের মিশেলে প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভামন্ডিত পরিবেশ যেকোন পর্যটককেই মুগ্ধ করবে।

যোগাযোগ এবং ভ্রমণ-
দেশের যেকোন স্থান থেকে “নিঝুম দ্বীপে” যোগাযোগ তথা যাতায়াত ব্যবস্থা যথেষ্ঠ সুবিধাজনক। ঢাকা থেকে সদরঘাট হয়ে লঞ্চ যোগে আসা যায়,সড়ক পথেও নোয়াখালী হয়ে আসা যায় খুব সহজে। চট্রগ্রাম থেকে আসতে পারেন প্রতিদিন আসা শিপে করে। “নিঝুম দ্বীপে” ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে রিক্সা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল ব্যবস্থা। এখানে পর্যটকদের জন্যে রয়েছে উন্নতমানের আবাসসিক হোটেল ব্যবস্থা,আছে সরকারী ডাক বাংলা যাহা সম্পূর্ণ নিরাপদে ঘুরে দেখার জন্য রয়েছে গাইড ব্যবস্থা। খাওয়ার জন্য রয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ভালো মানের রেস্টুরেন্ট। আপনি চাইলে দ্বীপের মানুষের সাহায্যে নিজ দায়িত্বেই বনে রান্নাবান্না ও ভোজের আয়োজন করতে পারেন।
প্রতিদিন শত শত মানুষ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে আসেন এবং আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখে রোমাঞ্চিত হন। আপনিও এসে উপভোগ করতে পারেন “নিঝুম দ্বীপের” নৈসর্গিক সৌন্দর্য। সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে ইনশাল্লাহ।

Post Copied From:Mahmudul Hassan‎>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment