গোলাপগ্রাম(সাদুল্যাপুর)

ঢাকার ভেতরে একদম গ্রামীন পরিবেশের মুক্ত হাওয়া যদি নিতে চান তাহলে আমি বলবো যে এর থেকে কোনো পারফেক্ট প্লেইস আর হতেই পারে নাহ।
একদম কম খরচে নিজের পরিবার কিংবা বন্ধুবান্ধব সহ ইচ্ছে করলেই ঘুরে আসতে পারবেন।
এইবার আসল কথায় আসা যাক,
এইগ্রুপ থেকেই গোলাপগ্রামের রিভিউ পেয়ে কয়েকদিন ধরে যাবো যাবো করেও সময় করে নিতে পারতেছিলাম নাহ।
বাট সবকিছু এক করে আমি আর আমার বন্ধু Bejoy মিলে আজই ঘুরে আসলাম গোলাপের রাজ্য থেকে।
গোলাপগ্রাম যাওয়ার দুটো উপায় আছে।
১.প্রথমে মিরপুর-১ থেকে মাজার রোড অভিমুখে একটু হেটে আসলেই আকরাইন গামী অনেকগুলো লেগুনা থাকে।
লেগুনায় করে আকরাইন বাজার নামতে হবে আগে(ভাড়া-২০ টাকা)।
এর পরে আকরাইন বাজার থেকে অটোতে করে শ্যামপুর আসতে হবে(ভাড়া-২০) টাকা।
পথে আসতে তুরাগ নদীর উপরে অবস্থিত বিরুলিয়া ব্রিজের সুন্দর্য আর পাশে বয়ে চলা ননদীর সৌন্দর্য আপনার মন কাড়তে বাধ্য করবেই 🙂
আকরাইন বাজার থেকে পথে আসতেই অনেক গোলাপ বাগান চোখে পড়বে।
কিন্তুু শ্যামপুরের পুরো এলাকাটা জুড়েই অসংখ্য বড় বড় গোলাপ বাগান আছে।
গোলাপের বাগান আর গ্রামীন পরিবেশের মুক্ত হাওয়া এই দুটোর সান্নিধ্যে আপনার মনে হবে হবে যে আপনার দিনটাই আজকে সার্থক।
এখন সবে মাএ গোলাপ ফোটা শুরু হইছে।
আর একমাস পরে গেলে আপনি আপনার চারপাশে শুধু গোলাপ আর গোলাপই দেখতে পাবেন।
তবে এখন গেলেও আপনি বাগানের সৌন্দর্যটা আর ছোটো ছোটো ফোটা গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য দেখতে পাবেনই।
গোলাপ চাষীগুলো অনেকভালো।
তাদের সাথে একটু ভালো ব্যবহার করলে তারা অবশ্যই সে সম্মানটুকু আপনাকে দিবেই।
তবে হ্যা কেউ বাগানে ডুকে তাদের কে না জিগ্গেস করে ফুলে হাত দিবেন নাহ কিংবা ছিড়বেন নাহ।
আপনার দরকার হলে তারাই আপনাকে ছিড়ে দিবে।
খুব কম দামে অনেক গোলাপ কিনতে পারবেন ইচ্ছে করলে।
২.আরেকটা উপায় হচ্ছে ট্রলারে করে যাওয়া।
আমরা দ্বিতীয় পথটাকেই বেছে নিয়েছিলাম।তার জন্য প্রথমে মিরপুর-১ থেকে রিকশায় করে দিয়াবাড়ী ট্রলার ঘাটে আসতে হবে(ভাড়া ২৫-৩০)টাকা।
আর আপনি রিকশায় না আসতে চাইলে লেগুনায় যেতে পারেন সে ক্ষেএে আপনার ভাড়া পড়বে মাএ ৫ টাকা।
ঘাটে সদুল্যাপুরগামী ট্রলার ভিড়ানো থাকে।
ট্রলারে করে ২৫-৩০ মিনিট লাগে সদুল্যাপুর আসতে(ভাড়া-২০)টাকা।
ট্রলারে করে যাওয়ার সময় আশে পাশের সুন্দর্য আর নদীর পানির কলকল ধ্বনি মুহুর্তের মধ্যে আপনার সব ক্লান্তিকে দুর করে দিতে বাধ্য হবেই 🙂
সদুল্যাপুর থেকে অটোতে করে শ্যামপুর যেতে হবে(ভাড়া-১০)টাকা লাগবে।
আমরা দুজনেই আবার সৌন্দর্য পিপাসু।
তাই আমরা শ্যামপুর থেকে পরে আবার আকরাইন বাজারে গিয়ে সেখান থেকে বিরুলিয়া ব্রীজ গেছিলাম।
ভাড়া পড়েছে বাড়তি মাএ ৩০ টাকা।
তবে ব্রীজের দুই পাশের সুন্দর্য সেটা দেখে আপনার মনেই হবে নাহ যে আপনার এই কয়েকটা টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে।
বিকালে ট্রলারঘাট থেকে লাস্ট ট্রলারটি ছাড়ে ৫.৩০টায়।
তাই কেউ আসার সময় ট্রলারে আসতে চাইলে অবশ্যই ৫টার মধ্যে ঘাটে আসবেন।
ট্রলারে করে আসার সময়ের যে সৌন্দর্যটা আপনি পাবেন যাওয়ার সময়ে সেই সৌন্দর্যটা দ্বিগুন পাবেন এইটা আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি।
ছবির মধ্যে একটা ছবি যাওয়ার সময়ের আরেকটা আসার সময়ের সন্ধ্যাকালীন নদীর সৌন্দর্যের দৃশ্য 
উল্লেখ্য যাওয়া আসার সময়ে ট্রলারে যদি যাএী কম থাকে তাহলে সেটা সিটিং না হয়ে গাবতলী কিংবা বাহনের মতো নদীর ঘাটে লোক থাকলে তাদেরকে নেয়ার জন্যও ট্রলার ভিড়ায় 😉
লেগুনায় করে যাওয়া আসা করলে আপনার যাওয়া আসার খরচ পড়বে ৮০-১০০ টাকা।
আর ট্রলারে করে যাওয়া আসা করলে আপনার খরচটা পড়বে ১১০-১২০ টাকা।
অতি অল্পটাকায় ইচ্ছে করলেই আপনি এতোসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন ঢাকার ভিতরে 🙂
আর যদি আপনি খাওয়া-দাওয়া করতে চান তাইলে সেটা আপনার ইচ্ছা।
আমরা দুই-বন্ধু দুপুরের খাওয়াটা আকরাইন বাজারে খেয়েছিলাম মাএ ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যেই 🙂
উল্লেখ্য এই যে শ্যামপুর থেকে কমলাপুর বাজার খুব কাছে হলেও সেখানে কোনো ভালো হোটেল নেই 🙁
আরও ছবি দেয়ার ইচ্ছা ছিলো।
বাট এতোই পছন্দের ছবি আছে যে সবগুলা দিলে হয়ত গ্রুপের এডমিন ভাইয়া আমার পোষ্টটা এলোউ করবে নাহ।
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং 

Post Copied From:Trùstéd Bóý Såjøñ>Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment