ঘুরে আসুন চাঁদপুর
কাল ৮ টার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরের লঞ্চে উঠলাম, তিন ঘন্টার লঞ্চ জার্নি শেষে সকাল ১১ টায় নামিয়ে দিলো চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে। লঞ্চের ডেকে ভাড়া সব লঞ্চেই ১০০ টাকা করে নিবে।
চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে বের হলেই দেখতে পাবেন সিএনজি, অটো রিক্সা। সিএনজি অথবা অটোরিক্সায় চড়ে চলে যাবেন বড় ষ্টেশনে ষ্টেশনে ১০ টাকা,নামিয়ে দেবে পর্যটন কেন্দ্রের সামনে। যায়গাটা এখনো নির্মানাধীন। তবে শেষ হয়ে গেলে মোটামুটি সুন্দর একটা যায়গা হবে। ওখানে চটপটি, ফুসকা,ডিম, মুড়ি পাবেন হালকা নাস্তার জন্য।
আমি মুড়ি আর ডিম খেয়েছিলাম। বসে আড্ডা দেওয়ার মত ভালো একটা যায়গা জেলা পর্যটন কেন্দ্র। অনায়াসে এক দেড় ঘন্টা কাটিয়ে উঠা যায়।
কিন্তু আপনাকে তো উঠতেই হবে আড্ডা ছেড়ে কারন আপনাকে যেতে হবে চাঁদপুরের সবচেয়ে সুন্দর যায়গা তিন নদীর মোহনা পার হয়ে নদীর চরে। চরটা একদম সী বিচের মত ভালই বিচের ফিল পাওয়া যায়।আর নৌকা ভ্রমণটা মনে রাখবার মত ভাল লাগা গ্যারান্টেড।
নৌকা ভারা আপ-ডাউন ৫০ টাকা প্রতিজন।(রিজারভ ৫০০ টাকা)
এবার আপনার পেট চোঁ চোঁ করবে। ভাববেন অনেক তো হালকা নাস্তা করা হলো, এবার একটু পেটপুজো হোক পুরোদমে। স্বাভাবিকভাবেই ভাতের হোটেলে যাবেন। গিয়ে ভাত আর মাছ পাবেন। ইলিশ মাছ ভাজা আর নদীর ছোট মাছের তরকারি। আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে খাবেন। অনেক ভালো লাগবে। এক পিস মাছের দাম পড়বে ৬০-৮০ টাকা। জনপ্রতি ২০০-২৫০ এর মধ্যে বেশ ভালো খেতে পারবেন।
আমরা চারজন ছিলাম তাই ৭০০ গ্রাম ওজনের একটা ইলিশ ৪৫০ টাকায় কিনে ফ্রাই করে খেয়েছি।লোক বেশী হলে এটা ট্রাই করতে পারেন।
খাওয়া – দাওয়া পর্ব শেষ হলে সোজা চলে যান রেল স্টেশন ,ট্রেন দেখতে ভাল লাগলে দেখুন না হলে ছবি তুলুন , আড্ডা দিন ভাল লাগবে যায়গাটা।
ভাই অনেক হয়েছে এইবার ফিরার পালা, কারন মনে আছে কি আমরা একদিনের সর্ট ট্রিপে আসছি।
বর্তমানে সকাল ৬ টা থেকেই লঞ্চ আছে আর পরবর্তী লঞ্চ ৭.২০ এ সোনারতরী ।
এরপর ৮.০০, ৮.৩৫, ৯.১৫, ৯.৫০, ১০.৫০, ১১.৪৫ থেকে রাত ১২.৩০
নির্ধারিত সময়েই ছাড়ে।
যারা সকালে গিয়ে বিকালে ফিরতে চান ববিকালে ৩.৪০, ৫.০০, বা সন্ধ্যা ৬.০০ ও ৭.০০ এর লঞ্চে ফিরতে পারেন।
***লঞ্চে চেয়ার ভাড়া – ১৫০ টাকা
*** সিঙ্গেল কেবিন – ৪০০ টাকা
*** ডাবল কেবিন – ৮০০ টাকা।
আমাদের পার পারসন খরচ হয়েছিল ৫৫০ টাকা।
#Happy_Travelling.
#Naymul_hassan
#solo_Traveller.
Post Copied From: