সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম শহরে ঘুরে দেখা

উদ্দেশ্য ছিল এবারের বিজয় দিবস পালন করব চন্দ্রনাথের চূড়ায়। যেই কথা সেই কাজ। ৬ জন মিলে প্ল্যান ফিক্সড করলাম। সাগর সৈকত আমাকে বেশি টানে তাই আমার উদ্দেশ্য পড়ন্ত বিকেলে বিচগুলো ঘুরে দেখা। গ্রুপে পাহাড় বা ঝর্ণা লাভার আছে তাই সব মিলিয়ে প্ল্যান।

#চন্দ্রনাথ পাহাড়
#গুলিয়াখালি বিচ
#সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক
#সুপ্তধারা ও সহস্রাধারা ঝর্ণা
#বাশাবাড়িয়া বিচ
#নেভাল ভেন্যু
#পতেঙ্গা বিচ
#পারকি বিচ

সীতাকুণ্ড এবং চট্টগ্রাম শহরে ঘুরে দেখব। ১ রাত থাকা এবং দুই দিন ঘুরাঘুরির জন্য বাজেট ধরলাম ২০০০ টাকা। মোট ১২০০০ টাকা কালেক্ট করে যাত্রা শুরু করলাম ১৫ তারিখ রাতে।

ট্রেনে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু আন্ত:নগর ট্রেন গুলো সীতাকুণ্ড স্টেশনে থামে না তাই শ্যামলী পরিবহনে ৪৮০ টাকায় টিকেট কেটে আব্দুল্লাহপুর থেকে উঠলাম। আর পরের দিন বিজয় দিবস হওয়াতে টিকেট আগের দিনই কেটে রাখলাম।
সীতাকুণ্ড পৌছালাম ভোর ৫.৪৫ এ। ওখান থেকে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে পায়ে হেটেই রওনা দিলাম চন্দ্রনাথের উদ্দেশ্যে। ২ ঘন্টায় পাহাড়ে ওঠে স্বস্তির নি:শ্বাস ছাড়লাম। উঠতে আপনার যতটা কষ্ট হবে পাহাড়ের চূড়ায় বসে ৫ মিনিটের মধ্যেই আপনার মনে প্রশান্তি ফিরে আসবে।
১০ টার মধ্যে চন্দ্রনাথ পাহাড় দেখা শেষ করে গুলিয়াখালির দিকে রওনা দিলাম। ইকো পার্ক কাছে হত, খরচও কম হত কিন্তু সবাই টায়ার্ড থাকায় বিচ ঘুরে আসলাম আগে।
গুলিয়াখালি বিচ নিয়ে এর আগেও পোস্ট হইছে। সত্যিই অসাধারণ। গোসল করার জন্য আদর্শ জায়গা না তবুও আমারা নেমে ছিলাম।

১২ টায় গুলিয়াখালি ত্যাগ করে ইকো পার্ক ঢুকলাম। গেইট থেকে সুপ্তধারা হেটেই গেলাম। দূরত্ব:১.১ কিমি।
সিএনজি দিয়েও কিছুদূর গিয়ে আবার পাহাড়ের পাদদেশে নামতে হবে। পানি কম ছিল ঝর্ণায় কিন্তু একেবারে ছিল না এরকম না।
সহস্রাধারায় নাকি আরো পানি কম এবং একটু দূর হওয়ায় যাওয়া হয়নি।

ইকো পার্ক থেকে বের হয়ে বাশবাড়িয়ার বিচে পৌছালাম বিকাল ৪ টায়। বিচে বসে সুর্যাস্ত দেখার মত অতুলনীয় সৌন্দর্য আমার কাছে আর কোথাও নেই।
বিজয় দিবস হওয়ায় এখানে এসে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সরু রাস্তায় প্রাইভেট কারের ঢল নামে আর তাই প্রচুর হাটতে হয়েছে।

প্রথম দিন শেষ। রাতে ফিরলাম চিটাগাং রেইলওয়ে স্টেশন এ। ভাবলাম ফিরতি টিকেট কেটে হোটেল চেক ইন দিব কিন্তু টিকেট পেলাম না। বের হয়ে সৌদিয়া বাসের টিকেট কাটলাম। হোটেল এ দুই রুম নিলাম। ভাড়া ১০০০ টাকা টোটাল। যথেষ্ট আরামদায়ক ছিল রুমগুলা।

২য় দিন
হোটেল লিভ করে ১০ টার দিকে নেভাল ভেন্যু। দেখার মত কিছুই নাই ভর দুপুরে। এরপর পতেঙ্গা বিচ। জোয়ার ছিল যখন আমরা গেলাম। ওখানে লাঞ্চ সেরে পারকির চর।

পারকি নিয়ে দুইটা কথা না বললেই নয়। আন্ডার রেটেড বিচ বলা যায়। বিচের সকল সৌন্দর্যই এটাতে আছে শুধু উত্তাল ঢেঊ ছাড়া।
ওখান থেকেই সুর্যাস্ত দেখে ফেরার পথে পায়ে হেটে কর্ণফুলী ব্রিজ পার হয়ে ছিলাম। রাতের আলোতে ব্রিজ অসম্ভব সুন্দর লাগছিল।
ফিরতি বাস রাত ১০.১০ এ। রেইলওয়ে স্টেশন থেকে।

এবার আসি খরচে। ৬০০০ টাকা আসা যাওয়া বাস ভাড়া ৬ জনের। ১০০০ টাকা হোটেল ভাড়া।
বাকি থাকল ৫০০০ টাকা। এর মধ্য দুই দিনের সকল খাওয়া দাওয়া, সিএনজি, লেগুনা,মিনি বাস ভাড়া, পার্ক এন্ট্রি ফি। উল্লেখ্য আমরা রাতের খাবার একটু হালকা খেয়ে ছিলাম।
সময় টাকে সুন্দর ডিস্ট্রিবিউট করে যে কেউ ঘুরে আসতে পারেন এভাবে। ইন্টারনাল ভাড়া গুলা লিখলাম না। কারো জানার ইচ্ছা থাকলে জিজ্ঞেস কর‍তে পারেন।

Post Copied From:

Share:

Leave a Comment