সিলেট টু শিলং

মূলত মেঘালয় রাজ্য বর্ষার মৌসুমেই ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত । তবে শীতের সময়ে মেঘালয় ভ্রমণ করে আপনি নিরাশ হবেন না বরং খোঁজে পাবেন এক অন্য রকম মেঘালয়’কে। ভ্রমণ পিপাসু মনকে শীতল করাতে পারেন পাহাড় এবং মেঘের মাঝে নিজেকে হারিয়ে।
সিলেট থেকে আমাদের ৪ জনের মেঘালয় ভ্রমণের-

১ম দিনঃ
ভোর ৭ঃ৩০ মিনিটে সোবানীঘাট থেকে বাসে করে তামাবিল বর্ডারে। সকাল ৯টার কিছু পরেই বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাজ শেষ করে প্রবেশ করি ভারতে। সেখানেরও সকাল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শুরু হয় আমাদের মেঘালয় যাত্রা।
প্রথমে ৪ সিটের একটি কার রিজার্ভ করি, ড্রাইভারের সাথে কথা হয় যাবার সময়
১। ডাওকি ব্রিজ,
২।বরোহিল ফলস
৩। এশিয়ার পরিস্কার গ্রাম “মাওলিনং”
৪।লিভিং রুট ব্রিজ,
৪। বাংলাদেশ ভিউ পয়েন্ট দেখে পুলিশ বাজারে যাবো।
সন্ধ্যায় পুলিশ বাজারে নেমে হোটেলে উঠি। রাত্রে রতন দাদাকে কল করি পরের দিন চেরাপুঞ্জিতে যাওয়ার জন্য। যদিও রতন দাদা’র সাথে বাংলাদেশ থেকেই যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত তিনি আমাদের সাথে আসতে পারেন নি। তবে উনার দেয়া ড্রাইভার বুরহান ভাইকে নিয়েই সমস্ত ট্যুর কম্পলিট করি। খুবই ভালো মনের একজন মানুষ এবং বাঙালি। উনার পূর্বপুরুষ সিলেটি। তাই স্পটের সকল তথ্য উনার কাছ থেকে শুনেশুনে যেতে ভালই লাগছিলো।

২য় দিনঃ সকালের নাস্তা সেরে ভোর ৮ঃ৩০ মিনিটে রওনা দিলাম চেরাপুঞ্জির উদেশ্যে। চেরাপুঞ্জির ফলসগুলোতে পানি থাকলেও চমৎকার ভিউ পাওয়া যায়। উল্লেখযোগ্য স্পর্টগুলোর মধ্যে ছিলঃ
১মাউডক ভিউ পয়েন্ট
২। ওকাবা ফলস
৩।মৌসিমাই কেভ,
৪।সেভেন সিস্টার্স ফলস
৬। ইকো পার্ক
৬।নোহ কালিকা ফলস
৭। মাসাওয়া ফলস,
৮। রামকৃষ্ণ মিশন

৩য় দিনঃ এই দিন কে আমরা রাখি শিলং সিটি ট্যুর দেয়ার জন্য। যেগুলা দেখিঃ
১। মদিনা মসজিদ
২। ক্যাথিড্রাল চার্চ
৩। লেডি ইয়াদ্রি পার্ক,
৪।ডন বস্কো মিউজিয়াম
৫।উমিয়াম লেক
৬।গলফ কোর্স
৭।ওয়ার্ডস লেক।

৪র্থ দিনঃ সকালে হোটেল চেক আউট করে সেনাংপেডাং এর জন্য বেরিয়ে পড়ি। সারাদিন এখানে কাঠিয়ে বিকাল বেলা বর্ডার ক্রস করে বাংলাদেশে ফেরত আসি।

যাতায়াত খরচ যেখানে যত পড়েছিলঃ
সোবানীঘাট টু তামাবিল – ৬৫
ডাওকি টু পুলিশ বাজার ( সাইট সিনসহ)-১৬০০
শিলং টু চেরাপুঞ্জি -২০০০
সিলং সিটি ট্যুর -১৮০০
শিলং টু ডাওকি ( সেনাংপেডাং সহ) ২০০০
অনেক জায়গায়ই পার্কিং চার্জ দিতে হয়।

source: Anamul Hasan Saimon‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment