অজান্তে হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানায় উওরবঙ্গতে

ঘোরাঘুরি কোনো সময় শেষ হয় না, একটার পর আরেকটা নতুন করে শুরু হতেই থাকে। শীতকালে অনেকে প্রচুর বেড়াতে ভালোবাসে কিন্তু সবার উদ্দেশ্য একই থাকে কক্সবাজার, বান্দরবান,রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বা সেন্টমার্টিন। সবাই একই জায়গায় যায় তাই চিন্তা করলাম ভিন্ন কোথাও যাওয়া দরকার যাতে পর্যটকদের সমাগম কম থাকে এবং খরচ সীমিত থাকে (ছাএ জীবনের ঘোরোঘুরি) তো মাথায় কোনো ঠিকানা দুদিন আসছিলো না হঠাৎ খেয়াল হলো উওরবঙ্গ তো যেমন চিন্তা তেমন কাজ। ১৪,১৫,১৬ তারিখ প্রচন্ড পরিমান ভিড় হওয়ায় আমরা কোনো ভাবেই যেতে পারলাম না তো আমরা ১৬ তারিখের টিকেট কিনলাম তাও আবার কিছু টাকা বেশি দিয়ে দিনাজপুরের পঞ্চগড়ের টিকিট শেষ হয়ে গিয়ে ছিল তো আমাদের টিকিট কেনার সাথে হিসাব শুরু হয়ে গেলো। পোস্ট অনেক বড় হতে পারে ধৈর্য সহকারে পড়লে আশা করি কোনো না কোনো সাহায্য অবশ্যই পাবেন।

১৬ -১২ -১৮ (যাএা শুরুর রাত)

ট্রেন টিকেট : ঢাকা টু দিনাজপুর (১৫৬০÷৩=৫২০)

দিনজাপুর টু পঞ্চগড় (৩৯০÷৩=১৩০)

হালকা নাস্তা ৯০÷৩=৩০

১৭ – ১২ – ১৮ (১ম দিন)

পঞ্চগড় নামার পর শীত তো প্রায় আমাদের চেপেই ধরেছিল। বলে রাখা ভালো পঞ্চগড় প্রচুর পরিমান শীত আমরা যখন নেমেছিলাম প্রায় ১০ বা ১২ ডিগ্রি ছিল।
ভেনগাড়ি করে চলে গেলাম তেঁতুলিয়া বাসস্টপেজ এ ২০÷৩ =৬.৬৬ 😁। তারপর বাসে করে পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়া বাজার । ১৫০÷৩=৫০। তারপর নেমে ভেনগাড়ি ঠিক করলাম বাংলাবান্ধা ০ পয়েন্ট ছাড়া বাকি জায়গাগুলো দেখাবে কাঞ্চনজঙ্গা ভিউ,চা পাতার বাগান, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো। ১৬০ টাকা কিন্তু পরবর্তীতে আমরা ২০০ টাকা দিয়েছি। বিস্তারিত বলছি সেদিন এমপির ছেলের বিয়ে ছিলো তো রাতে আমরা যেি ট্রেনে আসছিলাম সেই ট্রেনে উনাদের এক আত্মীয় ছিল তো আমাদের ৩ জনের সিটটির মধ্যে একটি সিট আলাদা পড়ে ছিলো তো ওই সিটটি উনার ছিলো তো উনাকে আমরা অনুরোধ করাতে উনি বলেন আমি একা যাবো সমস্যা নেই তোমরা এক সাথে যাও, যারা দ্রুতযান বা একতা এক্সপ্রেস এ আসা যাওয়া করেন তারা অবশ্যই যানেন বর্ডগেজের লাইনের একসাথে ৩ টি ও ওপর দিকে ২ টি সিট থাকে, তো রাতের খাবার নিয়ে ট্রেনে উঠে ছিলাম তো আমরা সেখান থেকে তাকে কিছু খাবার দেই তিনি নিতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে আমরা অনেক অনুরোধ করে দেই। তারপর রাতে তার সাথে কথার এক ফাঁকে তিনি আমাদের বললেন কোথায় যাবে, তো আমরা বললাম উওরবঙ্গ ঘুরতে যাচ্ছি, তো বিস্তারিত বলার পর উনি আমাদের ধরে বসলেন তাদের বাসায় মানে ওখানকার এমপির আত্মীয় তিনি তার ছেলের বিয়ে আমরা যাতে উনার সাথে গিয়ে দুপুরের আহার গ্রহন করি, কিন্তু আমরা তো রাজি ছিলাম না, তো ট্রেন থেকে নামার পর উনি আমাদের তার নাম্বার দিয়ে বললেন যেকোনো ব্যক্তিকে বললেই হবে এমপির ছেলের বিয়েতে নিয়ে যাবে তো আমরা অপরিচিত জায়গা বলে আর যেতে রাজি হয়নি। কিন্তু আমরা যখন ঘোরাঘুরি করার জন্য ভেনগাড়ি ঠিক করলাম সেই ভেনগাড়ি মামা তখন উনি আমাদের বলছেন আপনারা আমাকে মামা বলে ডাকছেন তো চলেন আপনাদের আজ আমাদের এলাকার নিমন্ত্রণ এ নিয়ে যাই তো আমরা আবারো মানা করে দেই, কিন্তু আবার সমতল চা ভূমিতে ঘুরতে যাওয়ার সময় এমপির আত্নীয়ের সাথে দেখা, উনি আমাদের জোর করে নিয়ে যায়, বলে কি খাবে বলো কিন্তু আমরা সনাতন ধর্মালম্বী বলে কোনো গরু খাইনি তারপরও তিনি আমাদের আপায়নে কোনো কমতি রাখেনি, অসাধারন আপায়ন করেছেন সাথে ভেনগাড়ির মামা উনিও আমাদের অনেক আদর আপায়ন করেছে। খাওয়া দাওয়া শেষে হোটেল রুম ঠিক করলাম। হোটেল সীমান্ত পার। ৬০০÷৩=২০০। বের হলাম বাংলাবান্ধা দেখার জন্য হেঁটে বাজারে গেলাম, বাজার থেকে বাংলাবান্ধা বাসস্টপ ৬০÷৩=২০। সেখান থেকে বাংলাবান্ধা ০ পয়েন্ট অটোতে ১৫÷৩ =৫। দামাদামি করে নিবেন। সেখান থেকে ঘোরাঘুরি শেষে আবার বাসস্ট্যান্ড বেক করবেন আর তাড়াতাড়ি আসবেন কারন ওখানকার মানুষের কাজের সময় শেষ হয় তাই বাস তাড়াতাড়ি ভরে যায়। ১৫÷৩=৫ আবার বাংলাবান্ধা টু তেঁতুলিয়া বাজার ৬০÷৩=২০। সকালে উঠে কাঞ্চনজঙ্গা দেখবো তাই রাতে নাস্তা করে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম। নাস্তা ৬০÷৩=২০। সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা ৩০÷৩=১০

১৮ – ১২ – ১৮ (২য় দিন)

সকাল চারটায় ঘুম থেকে মনটা ভেঙ্গে গেলো সকাল থেকে অজরে বৃষ্টি। কাঞ্চনজঙ্গা আর রসুলপুর এর স্বপ্ন পুরোপুরি ভেঙ্গে গেলো।সকাল ১১.৩০ নাগাদ বৃষ্টি তা নৃত্য চালিয়ে গেলো। তো দুঃখ নিয়ে তেঁতুলিয়া শহর ছাড়তে হচ্ছে। যাবার আগে ভ্যানগাড়ি ভাড়া ২০০÷৩= ৬৬.৬৭। নাস্তা ৯০÷৩=৩০। এবার পঞ্চগড় ঘুরতে যাবো তেঁতুলিয়া বাজার টু পঞ্চগড় ১৫০÷৩=৫০। পঞ্চগড় নেমে রকস মিউজিয়াম দেখতে যাবো বিশেষ কথা হচ্ছে অনেকে রকস মিউজিয়াম বললে চিনবে নাহ।তো সরকারি মহিলা কলেজের কতা বললে অবশ্যই চিনবে। আমরা বোকামি করেছি বাস থেকে নেমে অটো নিয়েছি ৩০ টাকা। ৩০÷৩=১০। আপনারা নেমে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই পথ দেখিয়ে দেবে। তো অটো ভাড়া করা দরকার নেই। ঘোরা শেষে এখন ভিতরগড় মহারাজার দীঘি দেখতে যাওয়ার পালা। কলেজে পেছন দিকে বের হলেই রাস্তা পাবেন ওখান থেকে মডেল হাট ৬০÷৩=২০ টাকা। মডেল হার্ট থেকে ভিতরগড় রাজারদীঘি ৩০÷৩=১০। ঘোরাঘুরি শেষ তো এখন আবার বোর্ড অফিস সরাসরি গাড়ি পেলাম ৯০÷৩= ৩০। বোর্ড অফিস থেকে ঠাঁকুরগাও যাওয়ার বাসস্ট্যান্ডে অটো করে ৫০÷৩= ১৬.৬৭। পঞ্চগড় থেকে ঠাঁকুরগাও বাসস্ট্যান্ড ৬০÷৩=২০। নেমে হোটেল ঠিক করলাম ৩০০÷৩=১০০ নরমাল কিন্তু থাকার জন্য পারফেক্ট। সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নি, সন্ধ্যায় রাবনের মতো খাবার খেলাম কিন্তু খাবারের দাম খুব কম (ভাত, সবজি, ডিম, খাসির মাংস, ডাল) ৩৪৫÷৩=১১৫ । রাতে হালকা নাস্তা ৯০÷৩=৩০।

(১৯ – ১২ – ১৮) (৩য় দিন)

সকালে উঠে তাড়াতাড়ি করে তৈরি হয়ে নিলাম কারন এখন দেখতে হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আম গাছ সূর্যপুরি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় আম গাছ আমার জানা মতে প্রায় ২.৫ বিঘা জমির উপর এটি রয়েছে।
নাস্তা ৬০÷৩=২০।ঠাঁকুরগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে আর্ট গেলারি বা নতুন বাস্টস্ট্যান্ড সম্ভবত ৩০÷৩ =১০। ওই জায়গা থেকে বালিয়াডাঙ্গী ৬০÷৩=২০।বালিয়াডাঙ্গী থেকে হরিনমারা বা বলেই হবে আম গাছ দেখতে যাবো ৩০ টাকা করে ভাড়া আমরা রিজার্ভ করে নিয়েছিলাম ১৮০÷৩=৬০। ভিতরে ঢুকতে গেলে টিকেট লাগে ৬০÷৩=২০। ঘোরাঘুরি শেষে ফিরে আসলাম বালিয়াডাঙ্গী। ফিরার সময় সুবিধা হলো বাস পেয়েছি ভাড়া একই, কিন্তু তাড়াতাড়ি আসতে পেরেছি ৬০÷৩=২০। সেখান থেকে আবার বাস্টস্ট্যান্ড ৩০÷৩=১০। ফিরে এসে দুপুরের খাবার ২৪০÷৩=৮০। এখন দিনাজপুর যাবার পালা তো আমরা হোটেল ছেড়ে ঠাঁকুরগাও বাস্টস্ট্যান্ড থেকে দিনাজপুর যাবার বাসস্ট্যান্ডে ১৫÷৩=৫ । এখন দিনাজপুর বাসে ২৪০÷৩=৮০। আমরা কান্তজীর মন্দিরের সামনে নামলাম। সেখান থেকে কান্তজীর মন্দির ভেনগাড়ি করে ১৫÷৩= ৫। মন্দিরটি অনেক সুন্দর ছিলো সনাতন বা হিন্দু ধর্মালম্বী অনুসারি হওয়ায় সেখানে পূজো আর প্রার্থনা করতে আমাদের একটু সময় ব্যয় হয়। মন্দিরে পূজা শেষ করে বের হলাম বাহিরে মেলা অনেক কিছু উঠেছে তো কিছুর স্থানীয় খাবার খেয়ে দেখলাম আমরা ৩ ভোজন রশিক বন্ধুরা। খাবারের নামগুলো খুবই অসাধারন জামাই পুরি, জামাই পিঠা, জামাই মরিচ, ধনে পাতা ভাজা, সিদ্ধ বুট ডিম, বালিশ মিষ্টি ১৬০÷৩=৫৩.৩৩। এবার আবার মেইন রোডে ফিরলাম ভেনগাড়ি করে ১৫÷৩=৫। সেখান থেকে দুইভাবে যাওয়া একটা সরাসরি বাসে আরেকটা ভেঙ্গে, সরাসরি গেলে ২৫ টাকা করে ভাড়া ভেঙ্গে গেলে একই ভাড়া আমরা বাস না পাওয়ায় ভেঙ্গে গিয়েছি প্রথমে সিএনজি করে ১০ মাইল (জায়গার নাম৩০÷৩=১০। সেখান থেকে বাসে ৪৫÷৩=১৫। বাসস্ট্যান্ডে নেমে হোটেলর উদ্দেশ্য অটো করে ৩০÷৩=১০। রাতের হোটেল ঠিক করলাম ৫০০÷৩= ১৬৬.৬৭। রাতের নাস্তা ৬০÷৩=২০।

(২০ – ১২ – ১৮) (৪র্থ দিন)

সকালে উঠে তাড়াতাড়ি প্রস্তুতি নিয়ে নিতে হচ্ছে আজকে দিনাজপুর শহর ঘুরে বগুড়া দিকে রওনা দেবো তো সকালে উঠে নাস্তা সেরে নিলাম ৭৫÷৩=২৫। রামঠাকুর দীঘি দেখতে বের হবো তাই অটো রিজার্ভ করতে হবে। একটা কথা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ওখানকার অটো চালকরা যদি অন্য এলাকার মানুষ বুঝতে পারে তাহলে ভাড়া ৪ গুন করে ফেলে কিন্তু দিনাজপুর এলাকার মানুষ খুবই ভালো আমাদের অটো ঠিক তারাই করে দিলেন, আমাদের আবার রাজবাড়ি, কালি মন্দির ঘুরে, স্বপ্নপুরি বাস স্ট্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিতে হবে তাই আমরা অটো চালককে বুঝিয়ে সম্পূর্নভাবে ৩ জায়গার জন্য রিজার্ভ করে নিলাম তো প্রথম গেলাম রামঠাকুর দীঘি সেখানে ঢুকতে জনপ্রতি ১০ টাকা এবং অটো ২০ টাকা সর্বমোট ৫০ টাকা ৫০÷৩= ১৬.৬৭। দীঘিটা অনেক সুন্দর আর অনেক বড়ও বলতে গেলে অটো দিয়ে ঘুরতেই প্রায় ৩০ মিনিটের মতো লেগেছে। যাই হোক সেখানকার ফুচকা অবশ্যই ট্রাই করবেন ভালোই মজাদার ১৫০÷৩=৫০। সেখান থেকে ঘোরা শেষ করে রাজবাড়ি ঘুরলাম তারপর হোটেলে গেলাম হোটেল থেকে অটো করে সরাসরি বাস স্ট্যান্ড জায়গাটার নাম খেয়াল নেই অটো চালক নিয়ে গিয়েছিল যেখান থেকে ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড বা স্বপ্নপুরি যাবার মোড়ে নামিয়ে দেয়া হয়। অটো ভাড়া ২০০÷৩= ৬৬.৬৭। সেখান থেকে ফুলবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড ১৮০÷৩= ৬০। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড নেমে স্বপ্নপুরির এর জন্য ভেনগাড়ি করে যাবেন আস্তে আস্তে গেলে প্রাকৃতিক দৃশ্য রাস্তার মজাটা উপভোগ করতে পারবেন, ভাড়া ৬০÷৩=২০।
স্বপ্নপুরি ভেতরে ঢুকার টিকেট ১৫০÷৩=৫০। ভিতের যাওয়ার আগে ব্যাগ প্রচুর ভারি ছিলো তাই সবকিছু জমা দিয়ে যাই বাইকস্ট্যান্ডে ৫০÷৩= ১৬.৬৭। স্বপ্নপুরি অনেক সুন্দর দেখতে এটা একদিন ঘুরলে ও মজা লাগবে না। ভিতরে ঢুকার পর হালকা পাপড় ভাজি কাওয়া হয়েছিল ১৫÷৩=৫। তারপর মৎস্য জগৎতে ঘুরতে গেলাম টিকেট ৬০ ÷৩=২০। তারপর চিড়িয়াখানা ৯০÷৩= ৩০। চিড়িয়াখানায় অনেক প্রানি আছে। স্বপ্নপুরি ঘোরা শেষ আসার সময় ভেনগাড়ি দিয়ে আসছি কিন্তু ভাড়া ৭০ টাকা ছিল ভেনগাড়ি কম থাকায়, ৭০÷৩= ২৩.৩৩। ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড আসার পর দুপুরের খাবার সন্ধ্যায় খাওয়া হলো, ১৫০÷৩ =৫০। এখন বগুড়া যাওয়ার পালা কিন্তু আসল সমস্যা হচ্ছে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সন্ধ্যার পর সরাসরি বগুড়া যাওয়ার গাড়ি খুব কম তো বিপাকে পড়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেতে হবে তো প্রথমে ফুলবাড়িয়া থেকে বিরামপুর এর উদ্দেশ্য রওনা দিলাম ৬০÷৩=২০। বিরামপুর পৌছানোর পর যে বাস থেকে নামবেন ওই বাসের হেলপারকে বলুন যাতে আপনাকে ঘোড়াঘাট যাওয়ার বাসে উঠিয়ে দেয় কারন ওরা ঠিক করে দিলে আপনাদের ১৫ টাকা করে বেঁচে যাবে কারন বিরামপুর থেকে ঘোড়াঘাটের আসল ভাড়া হচ্ছে ৪০ টাকা করে কিন্তু অনেকে ৫৫ বা ৫০ টাকা করে নেয়, বিরামপুর থেকে ঘোড়াঘাট ১২০÷৩= ৪০, এখন ঘোড়াঘাট নেমে বগুড়া সরাসরি বাসে ১৩৫÷৩ =৪৫, ভাড়া ৫০ টাকা করে আমরা দূর থেকে আসছিলাম বলে কম রেখেছে। বগুড়া পৌছানোর পর চারমাথা বাসস্ট্যান্ড নেমে আশেপাশে কোথাও কারো কে কিছু জিজ্ঞেস না করাই ভালো বাসের কিছু বড় ভাই বলছিলেন রাতে জায়গাটা তেমন সেফ না, তো একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। বাস থেকে নেমে হোটেল ঠিক করলাম ৫০০÷৩= ১৬৬.৬৭। রাতে কঠিন ক্ষুদার নাস্তা ১৩৫÷৩=৪৫।

(২১ – ১২ -১৮) (৫ম দিন)

সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম। নাস্তা ১০৫÷৩=৩৫। চারমাথা থেকে মহাস্থানগড় মোড় ৩০÷৩=১০। সেখান থেকে একটু ভেতরে ঢুকে ভেনগাড়ি রিজার্ভ করে নিলাম মহাস্তানগড় বা বেহুলার বাসরঘর সাথে আরো দুইটা জায়গা নাম একটা হচ্ছে বৌদ্দবিহার না মন্দির মনে হয় ঠিক খেয়াল নেই। মহাস্থানগড় ঢুকার টিকেট ৬০÷৩=২০। মহাস্থানগড় ঘুরার শেষে চারমাথা যাওয়ার বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে গেল ভেন গাড়ি ১২০÷৩=৪০। তারপর পৌছানোর পর হোটেলে রুম
ত্যাগ করে বের হয়ে গেলাম দইয়ের উদ্দেশ্য বগুড়ার একমাএ অরজিনাল দই হচ্ছে এশিয়া সুইটস এ যা সেখানকার কাজি নজরুল ইসলাম রোড অবস্থিত। প্রথম চারমাথা থেকে সাতমাথা সিএনজি করে ৩০÷৩= ১০। সাতমাথা থেকে যেকোনো রিকসাকে বলেই হবে এশিয়া সুইটস নিয়ে যাবে ৩০÷৩ =১০। এশিয়া সুইটসে দইয়ের দাম ২০০ টাকা করে দামাদামি করবেন না কারন ওইখানে এক দামে বিক্রি করে, সাথে অন্যান্য মিষ্টিও ট্রাই করতে পারেন ভালোই টেস্ট ছিলো। এখন এশিয়া সুইটস থেকে বের হয়ে ইয়াকুবিয়া বাসস্ট্যান্ড মোড় চলে যান ঢাকার বাসের জন্য ৩০÷৩=১০। সেখান থেকে বাসে করে ১০৫০ ÷৩=৩৫০। খেয়াল রাখবেন হানিফ অথবা শ্যামলী পরিবহনের টিকেট নিন অন্য বাসগুলো তেমন ভালো নাহ অই রোটের জন্য। সাথে হালকা নাস্তা নিয়ে ছিলাম ১২০÷৩=৪০। এক পাতিল দই আমরা ৩ জন মিলে টেস্ট করেছি ২০০÷৩=৬৬.৬৭।

বিশেষ দ্রষ্টব্য ; উওরবঙ্গের পরিবেশ আমার ঘোরাঘুরি করার জীবনে শ্রেষ্ট পরিবেশ, কোথাও নোংরা বা পরিবেশ নষ্টের কোনো কিছুই পাই নি। তো দয়া করে পরিবেশ নষ্ট কারি কোনো দ্রব্য নিজে ফেলবন না নিজের বন্ধু বা আত্নীয় স্বজন সবাইকে তা ফেলতে নিষেধ করবেন। আর কোনো অপচনশীল পন্য ব্যবহার করবেন নাহ।

Share:

Leave a Comment