নীল জল ও রুপালী বালুতে এই যেন এক স্বর্গরাজ্য

সিলেটে ভ্রমণ প্রিয়দের আরো একটি নতুন গন্তব্য হতে যাচ্ছে ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট। চির সবুজ পাহাড়, ঝর্ণাধারা, নীল ধলাই নদ, স্বচ্ছ পানিতে চকচক করা সাদা পাথর আর বালুর অপরূপ সৌন্দর্য জাফলং কিংবা বিছানানাকান্দিকেও হার মানিয়েছে। সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে নতুন এই পর্যটন কেন্দ্র হাতছানি দিয়ে ডাকছে প্রকৃতি প্রেমীদের।

স্বচ্ছ নীল জলের ধলাই নদ। এর মাঝে নৌকায় ছুটে চলা। মনে হচ্ছে কোন স্বর্গরাজ্যে। নদের দু’ধারে সাদা বালু সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। এ যেন মরুর বুকে একখণ্ড নীল জলরাজি। সূর্যের বিকিরণে তলদেশে চকচক করছে রূপালী বালু আর পাথর।

নৌকা থেকে নেমে বালুর উপর কিছুটা পথ হেঁটে চলা। তারপর পাথরের রাজ্য। দেখতে বিছানাকান্দির মতো মনে হলেও এখানকার পাথর সাদা। জায়গাটাও বিছানাকান্দির চেয়ে কয়েকগুণ বড়। জিরো পয়েন্টের ওপারে উঁচু পাহাড়ে সবুজের মায়াজাল। সেখান থেকে নেমে আসা ঝর্ণার শীতল পানি অস্থির বেগে বয়ে চলেছে পাথরের ফাঁকে ফাঁকে। স্বচ্ছ জল, সাদা পাথর আর সবুজ মিশে একাকার। তার মাঝে পানির কলকল শব্দ দোলা দেয় মনে। প্রকৃতি যেন নিজ হাতে সাজিয়েছে সবকিছু।

সব মিলে যেন এক মায়াবী প্রকৃতি ভোলাগঞ্জে। নগর জীবনের কোলাহল থেকে মুক্তির এর চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে।

সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, ‘যেহেতু প্রকৃতিকন্যা হিসেবে এটা ঘোষণা দেয়া হয়েছে, সে হিসেবে আশেপাশে থাকার জায়গা থাকে, রেস্ট হাউসের মত তাহলে অনেক পর্যটক আসবে।’

অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের মতো এখানেও নেই থাকার ব্যবস্থা। তবে এখানকার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে জিরো পয়েন্টের কাছে হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

Share:

Leave a Comment