ঘুরে আসুন সৌন্দর্যের সেই রত্নদ্বীপ ও রূপকথা ইকো রিসোর্ট
রত্নদ্বীপ, নাম শুনে মনে হতে পারে রত্নে ভরপুর কোন দ্বীপ, যেখানে চারিদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মণি, মুক্তা আর জহর। তবে রত্নদ্বীপে মণি, মুক্তা আর জহর না থাকলেও রয়েছে চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য। যা ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে মণি, মুক্তা আর জহরের মত দামি। আর শহরের অপর পাশেই গড়ে উঠেছে রূপকথা ইকো রিসোর্ট। যা রূপকথার গল্পের মতই মনমুগ্ধকর। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ১৬১ কি: মি: অদূরে পাবনায় গড়ে উঠেছে এই রত্নদ্বীপ ও রূপকথা ইকো রিসোর্ট।
রত্নদ্বীপ রিসোর্ট:
পাবনা শহরে প্রবেশ করতেই পাবনা ক্যাডেট কলেজ ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে জালালপুরে গড়ে উঠেছে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। রিসোর্টে প্রবেশ করলেই এক মনোমুগদ্ধকর পরিবেশ দেখা যাবে। অতিথি আসা মাত্র তাকে ফুল দিয়ে বরণ করার ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। অত্যাধুনিক বিলাসবহুল এই রিসোর্টে রয়েছে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা। আছে সুন্দর এক সুইমিং পুল, জিম ,স্পা। পরিবার, কাপল অথবা হানিমুনের জন্য আদর্শ হতে পারে রত্নদ্বীপ রিসোর্ট। এছাড়াও রয়েছে বিশাল আকৃতির কনফারেন্স রুম, সুবিশাল মঞ্চ যেখানে কর্পোরেট মিটিং থেকে শুরু করে সব ধরণের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায়।
রূপকথা ইকো রিসোর্ট:
বিশাল বিস্তৃত অপরুপ প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠেছে রুপকথা ইকো রিসোর্ট। পাবনা জেলার পশ্চিম রামচন্দ্রপুর (বাংলা বাজার) এলাকায় প্রায় ৫০ বিঘা জায়গার উপরে করা হয়েছে রুপকথা ইকো রিসোর্ট। রিসোর্টে রয়েছে বিশাল আকৃতির পুকুর যেখানে অতিথিগণ ফিশিং করতে পারবেন এবং নৌকায় ঘুরতে পারবেন। রয়েছে দৃষ্টি নন্দিত এক মঞ্চ যেখানে মোঘলীয় আসনে বসে গান শুনতে পারবেন। প্রত্যেকটি কটেজের নামকরণ করা হয়েছে সুচিত্রা সেনের সিনেমা এবং গানের নাম দিয়ে। বলতে গেলে অবসর কাটানোর সকল ধরণের আয়োজন নিয়েই রূপকথা ইকো রিসোর্ট।