ভাবতে ভাবতে চলে গেলাম সোনাদিয়া দ্বীপে

প্রথমে মনে হচ্ছিলো দ্বীপ টি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হবে,নিরাপত্তার ব্যাপারেও ছিলাম সন্দিহান।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টো। অসাধারণ একটা জায়গা,আর ওখানকার মানুষের ব্যবহার ও অনেক ভালো ।চিটাগং এর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে স্থানীয় লোকগুলো।
দ্বীপ সম্পর্কে বলতে গেলে একটি খাল সোনাদিয়াকে পৃথক করেছে মহেশখালী থেকে।প্রায় তিন দিকে সমুদ্রে ঘেরা ৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে আছে জীববৈচিত্র‍্যপূর্ন ম্যানগ্রোভ বন,আছে ছোট বড় খালের সমন্বয়ে প্যারাবন।
লোকবসতি বলতে গেলে খুব সামান্য।

ক্যাম্পিং এর জন্য স্বর্গভূমি এই দ্বীপটি।বীচ হতে ২০০-৩০০ মিটার দূরে ঝাউবনে তাঁবু টাংগানোর জন্য একদম পারফেক্ট।
আর লাল কাঁকড়ার কথা নাই বললাম ।বলতে গেলে আল্লাহর অপরুপ একটা অসাধারণ সৃষ্টি।
বাড়তি হিসেবে পাওয়া যায় অসাধারণ ঝাউবন এর ভিউ ।

আর একাকী যদি কেউ বীচে গিয়ে বসে থাকতে চায় এটি অত্যন্ত খুব ভালো জায়গা,এককথায় অসাধারণ ।

যেভাবে যাবেন ঃ- চটগ্রাম হতে কক্সবাজার,কক্সবজার থেকে ৬ ং জেটি হয়ে মহেশখালী দ্যান ঘটি ভাংগা ব্রীজ।
ব্রীজ হতে দুপুরের দিকে একটা বোট ছাড়ে যেটা সোনাদিয়া দ্বীপ যায়।
এই বোটে ৪০-৫০ মিনিট লাগে মাথাপিছু ৩০ টাকা করে নেই।
যাওয়ার সময় খাবার কিনে নিয়ে যাইতে হবে,পানি না নিলেও চলে ,পানির পাত্র নি যাইতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা হলো পরিবেশ এর ক্ষতি করে এমন কাজ না করা।
দ্বীপের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এমন কাজ করবেন না।
রাতের বেলা বীচে লাইট জ্বালাবেন না,সামুদ্রিক কচ্ছপ ডিম পাড়ার জন্য বীচে উঠে আসে ।

Share:

Leave a Comment