ভুটান, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি ভ্রমন

ভ্রমণ প্রেমিক যারা আছেন তারা বেশিরভাগই চান যে খুব কম খরচের মধ্যে খুব সুন্দর ভাবে একটি ভ্রমণ প্ল্যান তৈরি করতে। আর সেই প্ল্যান্টি যদি দেশের বাইরে হয় তাহলে তো কথাই নেই। সকলেই চান কোন সুন্দর জায়গাতে ভ্রমণ করতে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিস্তৃত করে থাকে। ঠিক তেমনি আমরা আজকে আপনাদেরকে শোনাবো খুব ছোট এবং সুন্দর একটি দেশ এর গল্প। টাইটেল পরে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন। জি হ্যাঁ আমরা আজকে ভুটান ভ্রমণের গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

ভুটান খুব বেশি বড় নয়। জনসংখ্যা ও তেমন বেশি না।প্রায় ৮ লাখ জনগোষ্ঠী নিয়ে ভুটান দেশটি। ভূটান এর ভাষার নাম হল জংখা। অনেকে হইত ভাবতে পারেন এটা হিন্দি এবং বাংলা এর সংমিশ্রণ। আসলে এটি উনিক একটি ভাষা। এরসাথে তিব্বতের ভাষার কিছুটা মিল রয়েছে।

 

যাই হোক এখন আসল কথায় আসি। চট্টগ্রাম থেকে বাইরোডে ইন্ডিয়া হয়ে ভুটান যাওয়া যায়। বাই এয়ার এবং বাই রোড । খুবই সাশ্রয়ী এ ক্ষেত্রে আপনাকে ইন্ডিয়া দিয়ে ট্রানসিট নিয়ে যেতে হবে। বাই এয়ারে গেলে ভুটান এয়ারলাইনস রয়েছে আমাদের দেশে ।যেতে লাগে এক ঘন্টা। যেহেতু আমরা বাসে গিয়েছি সেহেতু আমরা বাস ট্যুর নিয়ে কথা বলছি সেহেতু আমরা বাই রোড নিয়ে কথা বলবো।

প্রথমে ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন এর অফিসিয়াল যে ওয়েব সাইটটি আছে সেখানে গিয়ে একটি ফরম ফিলাপ করে নিন। অবশ্যই ট্রানজিট ভিসা দিবেন । বর্ডার দিবেন চ্যাংড়াবান্ধা/ জয়গাঁও। এন্ট্রি দিবেন ডাবল এন্ট্রি। খুব সাবধানের সাথে ফিলাপ করুন। ফিলাপ করার পর একটি পিডিএফ ফাইল পাবেন। পিডিএফ ফাইল প্রিন্ট আউট করে নিন এবং সেটাতে ২*২ সাইজের ছবি এড করুন। অনলাইনে যখন ছবি আপলোড করতে বলবে অনেকেই সমস্যায় পড়েন সে ক্ষেত্রে আপনারা খেয়াল রাখবেন যে 350 পিক্সেল এর ছবি আপলোড করবেন। এর ফরম ফিলাপ আপনি চাইলে অনলাইনে পেমেন্ট করে দিতে পারেন। এজন্য হোম পেজে এসে পেমেন্ট অপশন টি ওপেন করুন এবং পেয়ে যাবেন আপনার সেই কাঙ্খিত পেজটি। আপনি চাইলে ডাচ বাংলা, রকেট বিকাশ,ইউ ক্যাশ যে কোন কিছু দিয়ে পেমেন্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার চার্জ হবে 824 টাকা। আপনি বাইরে থেকে পেমেন্ট দিলে ইউ ক্যাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারেন এক্ষেত্রে তারা একটু বেশি চার্জ রেখে থাকে সাধারণত তারা 900 টাকার মতো রেখে থাকে।

এখন আসি কি কি ডকুমেন্ড দরকার।
১। পাসপোর্ট।
২। ডলার এনডোর্স কপি/ ব্যাংক স্টেটমেন্ট। যদি আপনি কার্ড দিয়ে ডলার এনডোর্স করে থাকেন এক্ষেত্রে কার্ডের ফটোকপি এবং পাসপোর্টে এনডোর্স এর ফটো কপি লাগবে। তবে সুবিধা হলো ব্যাংক স্টেটমেন্ট দিয়ে এক্ষেত্রে কোন ঝামেলায় পড়তে হয় না আপনাকে। সাধারণতো ব্যাংকে 20 হাজারের মতো থাকলেই হবে।
৩। বাসার বিদ্যুৎ বিল অথবা পানির বিল এর ফটোকপি।
৪। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি অথবা আপনার বার্থ সার্টিফিকেটের ফটোকপি।
৫। আসা-যাওয়ার কনফার্ম বাসের টিকিট। তবে বলে রাখি চাইলে শ্যামলী/ নাভিলা পরিবহন এর বাসের টিকিট কাটতে পারেন। কারন আমরা কি পরিমান সমস্যাই পরেছিলাম। আমরা নাভিলা পরিবহনের টিকিট কেটেছিলাম।আমরা ভিসা না পেয়ে যাত্রা তারিখ বদলাইছি।
৬। ভুটানে হোটেলের বুকিং কপি। আপনি booking.com গিয়ে হোটেল বুকিং কপি এর কাগজ বানিয়ে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ একটা বিষয়ে আপনাদের কে বলি এটা শিক্ষা আমাদের যে, বুকিং তারিখটা অবশ্যই ঠিক মত দিবেন। কারণ বুকিং তারিখ এদিক ওদিক হলে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার বাসের টিকিট এর দিকে তাকাই না বরং তারা হোটেল বুকিং এর তারিখ দেখে ভিসা প্রদান করে থাকে। আমাদের বাসের যাত্রা তারিখে মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।কিন্তু অসুবিধা হয় নাই কান্টারে গিয়ে ঠিক করে নিয়েছি।
৭। স্টুডেন্ট হলে আপনার স্টুডেন্ট আইডি কার্ডের ফটোকপি/কলেজের বেতন রশিদ / কোন বিজনেস করলে বিজনেস কার্ড কিংবা ট্রেড লাইসেন্স এর ফটোকপি
এই হল মোটামুটি ডকুমেন্ড । ডকুমেন্ডগুলো কে সুন্দর করে ফটোকপি করে পৃন্ট ফ্রম টি সাথে করে নিয়ে চট্টগ্রাম ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার এ গিয়ে জমা দিয়ে আসুন।
এরপর ভিসা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকুন।
ধরে নিলাম আপনি ভিসা পেয়ে গেছেন। যদি ডাবল এন্ট্রি ভিসা পেয়ে থাকেন তাহলে আপনি যাওয়ার সময় তিন দিন এবং আসার সময় তিন দিন ইন্ডিয়াতে অবস্থান করার পারমিশন পাবেন।
আমরা আশার তিন দিন কাজে লাগিয়েছি।

ভিসা পাওয়ার পর কাঙ্খিত সময় যাত্রা জন্য রওনা শুরু করুন। যাওয়ার পূর্বে পাসপোর্ট এর ফটোকপি কাগজ, Visa,student আইডি কার্ড, হোটেল এরবুকিং এর কনফার্ম লেটার এগুলোর অনেকগুলো করে কপি করে নিয়ে যান কারণ এগুলো কখন কোথায় লাগে তার ঠিক নেই।
ধরে নিলাম আপনি ভিসা পেয়ে গেছেন। নাভিলা পরিবহনের চট্টগ্রাম বুড়িমারী বাস টিকেট ৯৫০ টাকা। সন্ধা ৫ টা বাসে উঠে সকালে বুড়িমারী বর্ডার এ পৌঁছাবেন। সেখানে রুটি, পরোটা ভাজি ডিম এগুলো খেয়ে নিন। 50 টাকার মত লাগবে। আমরা ২ জন ছিলাম। বুড়ীমারি ব্যাংকে ট্রাভেল ট্যাক্স দিয়েছিলাম। সকাল পৌঁছানোর পর আমরা ইমিগ্রেশন এর লাইনে দাড়িয়ে যাই। ট্রাভেল ট্যাক্স500 এবং 300 টাকা এক্সট্রা দিয়ে দিই জাতে কোন ঝামেলা ছাড়াই ইমিগ্রেশন করতে পারি। ঝামেলা ছাড়াই আমরা ভিতরে প্রবেশ করে যাই। ইমিগ্রেশন কমপ্লিট হতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করার পর যখন আপনি ইন্ডিয়ার ভিতরে ঢুকে যাবেন তখন বর্ডারেই ডলার ভাঙ্গে নিন। কারন এরপর সব জায়গাই দাম কম পরবে।যাই হোক এবার গাড়ি ভাড়া করে চলে যান চ্যাংড়াবান্ধা টু ফুড সলিং বর্ডার। এখানে চারজনের গাড়ি ভাড়া 15০০ থেকে 16০০ রুপি। হালকা নাস্তা করে নিন ফুড সলিং বর্ডারের কাছে গিয়ে। সেখানে কিছু রেস্টুরেন্ট পাবেন যেখানে গরুর মাংস পাওয়া যায়। দুপুরের খাবার খেয়ে ইন্ডিয়া ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করে ভুটানে ঢুকে যান এবং সেখানে গিয়ে ফুড সলিং বর্ডারে ভুটানের অন এ্যারাইভাল’ ভিসা করা পাসপোর্ট এ এড করান। এ ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ফরম ফিলাপ করতে দেওয়া হবে। সেটি সুন্দর করে ফিলাপ করুন। সাথে করে আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি, ভিসার কপি এবং ছবি এড করতে হবে।
এগুলা জমা দিন এবং পাসপোর্ট অন এ্যারাইভাল’ ভিসা অ্যাড করে দিবে।

সব ডকুমেন্ট ঠিক ঠাক থাকলে ভিসা পেয়ে জাবেন। এখন আশি কি করবেন এসে। আপনি চাইলে বর্ডার এর মধ্য থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিতে পারেন।আমরা সেটাই করেছি। রাতে ফুট সলিং থেকে যায় হোটেল ভাড়া দিয়ে ছিলাম ১০০০ রুপি রাতে খানা খেয়েছি সকালে নাস্তা খেয়েছি তারপর রওনা দিলাম।ফুটসলিং থেকে থিম্পু, সেখানে গিয়ে পোছায় সকাল ১২ টার সময় তার সেখানে হোটেল বুকিং করি। এবং সেই দিন থিম্পু ঘুরি। পরের দিন পুনাখা ঘুরে রাতে থিম্পু শহরে এসে থাকব এবং পরের দিন পারো টাইগার নেস্ট ঘুরবো এবং পারো হোটেলে থাকবো । পরের দিন সকালে পারো ঘুরবো দুপুরে আবার ফুতসলিং এ পৌঁছাই দিবে আমাদের। আমরা এভাবে গাড়ি ভারা করেছিলাম। মোট ৪ রাত ৫ দিনের। দিয়েছি ১২০০০ রুপি। তবে আপনি সুজুকি, ওয়াগনার গাড়িতে ঘুরতে পারেন। আমরা দুইজন ওয়াগান গাড়িতে ঘুড়িছি।। এখন প্রথম দিন ভিসা পেয়ে চলে যাই হোটেলে। হোটেল ভাড়া ১০০০ রুপী করে নিসে ২ জন এর রুম। আগেই বলে রাখি ভুটান এ ওয়াই ফাই তেমন নাই। সিম নিয়ে নিবেন। ওইখানে ২ ধরনের সিম চলে। বি সিম, টি সিম। বি নিতে পারেন। দাম কম। ৮০০ এমবি ১০০ রুপি। কিন্তু আপনি সব জায়গাই ৩জি পাবেন।

হোটেল এ গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রাতে খেয়ে নিলাম। ভুটান এর নিজস্ব কিছু নেই। সব ইমপোর্ট করা। তাই সব কিছুতেই দাম বেশি। তাছাড়া হালাল এরও ব্যাপার আছে। যার কারনে আমাদের খাবার এ একটু খরচ পরে গেছে। তবে বিস্কুট, নুডুলস খেয়ে আপনি অনায়াসে সময় কাটিয়ে দিতে পারবেন। আমাদের বেলা প্রতি ২০০ রুপি এর মত গিয়েছে। তবে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস খাইছি ।তাই টাকাটা আপ ডাউন এ ছিল। তবে ক্লক টাওয়ারের সামনে একটি ম্যাগী নুডুলসের পয়েন্ট নামে দোকান রয়েছে আপনি চাইলে সেখান থেকে খাবার খেতে পারেন এখানে নুডুলস খেয়ে আপনি খুব মজা পাবেন। বাংলা খেতে চাইলে জেতে পারেন এ বি হোটেল এ।

এবার আসি কোথায় ঘুরবেন থিম্পুতে। সকাল বেলা গিয়েছিলাম যু তে। সেখানে গিয়ে আপনি দেখতে পারবেন তাকিন। তাকিন ভুটানের জাতীয় প্রাণী। এন্ট্রি ১০০ রুপি করে। পুরও যু ঘুরে আমরা এরপর চলে যাই চানখা মনেস্ট্রি দেখতে। ভুটানে অনেক মনেস্ট্রি আছে জেগুলাতে ধুকতে ৩০০ করে গুন্তে হবে কিন্তু এতাই ফ্রী ছিল। যাই হোক পুরটা ঘুরলাম। থিম্পু মিউজিয়াম ঘুরলাম। থিম্পু পয়েন্ট এ গেলাম ফুল ভিউ দেখার জন্য। এরপর চলে আসলাম সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানে ঘুরে চলে আসলাম শহরে। সেখানে আরেকটি বৌদ্ধ স্থাপনা আছে। একটু সামনে গেলেই দেখা যায় সুন্দর থিম্পু নদী। নদীকে আরও সুন্দর করে দেখতে চলে আসলাম একটি ব্রিজ এ। সেখান থেকে সুন্দর ভাবে নদী দেখা যায়। অইদিন। এরপর রাতে পায়ে হেটে প্রায় ৩-৪ ঘণ্টা পুড়ো থিম্পু শহরের আশপাশ ঘুরে হোটেল এ ব্যাক করলাম।

বলে রাখি পুনাখা জেতে হলে থিম্পু থেকে পারমিশন নিতে হয়। আমরা থিম্পু ঘুরার সময় তা নিয়ে নেই। এরপরের দিন সকালে বের হলাম পুনাখা দেখতে। সেখানে ২টি স্পট আছে। একটি দোচালাপাস আরেকটি মনেস্ট্রি। ওখানে গিয়ে কিছু বিদেশিদের সাথে দেখা আমাদের। দোচালাপাস এর পাশে একটি ক্যাফে আছে। ওইটার উপর একটা রাস্তা ধরে আগালে কিছু সুন্দর গুহার মত জায়গা পাবেন। ওখানে তারা নাকি ধ্যান করে।

আমরা পুনাখা ঘুরে অইদিন চলে আসি থিম্পুতে ।ওখান থেকে সকালে পারো।
সেখানে গিয়ে উঠলাম হোটেল এ। হোটেল এর নাম kkR।বললেন । যাত্রা টাইগার নেস্ট দেখতে। আর হ্যাঁ বলতে ভুলে গেছি। পারো শহরে রয়েছে এয়ারপোর্ট। আর পারো তে জাওয়ার সময় চোখে পরবে পারো নদী। নদীতে চাইলে পা রাখতে পারবেন। তবে ড্রাইভারকে বলে নিবেন। যেখানে পা ভিজানো যায় সেখান থেকে একটু সামনে থেকেই আপনি রাফটিং করতে পারবেন পারো নদীতে।

টাইগার নেস্ট যারা যাবেন তারা অবশ্যয় ট্রেকিং এর মন মন মানুষিক্তা টা নিয়ে যাবেন। অনেক খানি যেতে হবে। মডারেট ট্রেকিং। বিস্কুট, পানি এগুলা নিয়ে যাবেন। আমাদের উপরে উঠতে লেগেছে ৪ ঘণ্টা। দুরগম রাস্তা।মজাও অন্যরকম। মাঝে একটু জিরিয়ে নিয়েছি ক্যাফেতে। এরপর ২য় ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৭০০ সিড়ি উঠলে নামলে পাবেন সেই টেম্পল।টেম্পলে জেতে লাগবে ৫০০ রুপি। এটা সুরুতেই কেটে নিবেন। আপনি সস্টুডেন্ট হলে আইডি কার্ড দেখালে দিতে হবে ২৫০ রুপী। ঊথতে নামতে প্রায় লেগেছে ৫.৩০ ঘন্টা। প্রায় ৩১৭০ ফুট বেয়ে উপরে উঠা লেগেছে।

এরপর নিচে নেমে ড্রাইভার এর সাথে হোটেল আসলাম। এরপর খেয়ে দেয়ে রেস্ট নিলাম। আমি আর আমার আরেক ফ্রেন্ড এরপর আবার সেই আগের মত রাতে বের হলাম শহর ঘুরতে। প্রায় ২ কিলো দূরে দেখা যায় এয়ারপোর্ট। পরেদিন সকালে এয়াপোট, জাদুগর, পারো জং,দেখলা।
তারপর পারো থেকে ফুটসলিং এ আসলাম। মাঝে ফুল ভিউ দেখে নেই এয়ারপোর্ট এর। পথে আবার পানি ঝরনাতে পটো তুললাম।আসতে আসতে বিকাল চারটা বাজলো সেইদিন রাত পুটসিলিং থেকে গেলাম। পরে দিন সকালে সেই ইমিগ্রেশন কমপ্লিট করলাম এবং ইন্ডিয়া তে প্রবেশ করলাম । এরপর গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি আসলাম দুপুর ১ টা সময় সেখানে নেমে আমরা শ্যামলী বাসের টিকিটে কেটে পেললাম। ওখান থেকে গাড়ি নিয়ে গেলাম দারজেলিং। ভাড়া ২০০ রুপী সেয়ার ট্যাক্সিতে। এরপর সেখানে গিয়ে উঠলাম হোটেলে। অফ সময়ে ভাড়া ৮০০-১২০০ এর ভিতর ৩-৪ জন এর রুম পাবেন। এরপর সকাল বেলা সেয়ার গারিতে করে গেলাম টাইগার হিল,। সেখানে গিয়ে দেখলাম সূর্যোদয়। সিক্কিম দেখা যায় অখান থেকে। এরপর দেখলাম বৌদ্ধ মন্দির, এরপর একটা গার্ডেন। এরপর চলে আসলাম হোটেলে।

এরপর হোটেল এসে খাওয়া সেস করে নিলাম। এরপর গাড়ি নিয়ে গেলাম যু তে। সেখানে আছে হিমালায়ার নানা প্রজাতির বিরল প্রানি এবং পাশে আছে মিউজিয়াম। সবটুকু দেখলাম। এরপর গেলাম জাপানিজ টেম্পল। এরপর গেলাম দারজেলিং এর চা বাগান। কেউ যদি প্যারাগ্লাইডিং করতে চান তাহলে চলে যাবেন কালিংপং এ। আমরা এরপর দুপুরে খেয়ে গাড়ি নিয়ে চলে আশি সিলিগুরিতে। ২০০ ভাড়া। শিলিগুড়ি এসে হোটেল এ উঠলাম । সেখানে, ২ জন এর ভাড়া ১০০০। তারপর রাতে খাবার খেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে চলে গেলাম মার্কেট সেখান থেকে কেনাকাটা করে চলে আসলাম হোটেল সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে রওনাদিলা শিলিগুড়ি শ্যামলী বাস কান্টারে। বাসে উঠলাম বাস ছেড়েছে দুপুর ২ টার সময় পরেদিন সকাল ৮ টার সময় ঢাকা সেখান থেকে চট্টগ্রাম বিকাল ৫ টার সময় এসে পোছলাম। আর হ্যাঁ ভুটান খুব পরিস্কার। কেউ কথাও আবার ময়লা ফেলবেন না। ফেললে আপনার লস।
আশা করি সবাই ঘুরে আসবেন সুন্দর এই শহরটি। হ্যাপি ট্রাভেলিং।

source: Md Mizanur Rahman‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment