কাশ্নীর,পেহেলগাম,গুলমার্গ,শ্রীনগর ভ্রমন
#কাশ্নীর
সুবহানাল্লাহ। আল্লাহর এক অপূর্ব নিদর্শন কাশ্মীর। এত সুন্দর যে লিখে বর্ণনা করা সম্ভব না । সত্যি বলতে কি কাশ্মীর নিয়ে লিখে বা ছবি দিয়ে এর সৌন্দর্য তুলে ধরা সম্ভব না । শুধু এতটুকু বলতে পারি গেলে আপনার ছবি তুলতে ইচ্ছে হবে না, মনে হবে আল্লাহর এই নিদর্শন শুধু দুচোখ ভরে দেখে নেই।
#ট্যুরের বর্ণনা:
আমরা কাশ্মীর গিয়েছিলাম মোট ৫জন। আমাদের ট্যুর ছিলো ১৭ তারিখ থেকে ২১ তারিখ। এই ৫ দিন আমাদের সাথে গাড়ি রিজার্ভ করা ছিলো,যেইটা আমরা বাংলাদেশ থেকেই বুকিং করে গিয়েছিলাম ১৫০০০ রূপিতে। শুনেছিলাম কাশ্মীরের মানুষ নাকি বাংলাদেশিদের খুব পছন্দ করে,যেইটার প্রমান পেয়েছি আমাদের গাড়ির ড্রাইভার গুলজার ভাইয়ের কাছ থেকে।
#পেহেলগাম:
আমরা প্রথমেই গিয়েছিলাম পেহেলগাম । আমার কাছে কাশ্মীরের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা এইটা। সবাইকে বলবো অন্তত এইখানে একদিন হলেও থাকার জন্য। এইখানে ঘুরার স্পট হচ্ছে : অরু ভ্যালি,বেতাব ভ্যালি,চন্দনওয়ারি,বাইসারান।
বাইসারান: এইখানে যেতে হবে ঘোড়ায়। আমরা ৫ টা ঘোড়া নিয়েছিলাম ৩০০০ রুপিতে । এইখানে যাওয়ার রাস্তা এত সুন্দর যে আপনার মনে হবে এই রাস্তা যেন শেষ না হয়,আর যাওয়ার পথে উপর থেকে যখন পেহেলগাম ভ্যালি দেখা যায় উফ সে এক অপূর্ব দৃশ্য। বাইসারানে প্রবেশ ফি ৩০ রুপি। আর বরফের সময় গেলে অবশ্যই বুট ভাড়া নিয়ে নিবেন ১০০ রুপিতে।
অরু ভ্যালি ও চন্দনওয়ারি: বরফের কারণে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে আমরা যেতে পারি নাই। আর বেতাব ভ্যালি তে হাঁটু সমান বরফ থাকার কারনে ভিতরে যাইনাই।
পেহেলগাম এ আমরা ছিলাম হোটেল Bombay Palace এ। দুই রুম নিয়েছিলাম দুই রাতের জন্য ৫০০০ রুপিতে। একটু বেশি কারন বরফের কারনে এখানের ৯০% হোটেল বন্ধ ছিলো।
#গুলমার্গ
এইখানে আপনাকে আলাদা জ্বীপ ভাড়া নিতে হবে। আমরা নিয়েছিলাম ১৫০০ রুপিতে। শেয়ার্ড গাড়িতেও যাওয়া যায় ৪০ রুপি করে। এইখানের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ক্যাবল কার। আর বিরক্তিকর ব্যাপার হচ্ছে এখানের গাইড। ওরা আপনাকে এত বিরক্ত করবে যে আপনার মনে হবে কেনো আসলাম? সবচেয়ে ভালো হয় ওদের সাথে কথা না বলা, যদিও ওরা কিছু জায়গা দেখিয়ে বলবে যে ওদের ছাড়া আপনাকে যেতে দিবে না,যেইটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আর ক্যাবল কার এর ভাড়া দুই রকম। প্রথম ফেস ৭৪০ রুপি আর দ্বিতীয় ফেসের দাম মনে নাই।
#সোনামার্গ
এইখানে যেতে পারি নাই বরফের কারনে পুরো রাস্তা বন্ধ থাকার কারনে।
#শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রধান শহর এইটা। আর এর প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে ডাল লেক। ডাল থেকে শিকারা নিয়ে ঘুরতে পারেন ৬০০-৭০০ রুপির মধ্যে। কিন্তু যাদের ধৈর্য কম তারা আনন্দের চেয়ে বিরক্ত হবেন বেশি। একটু পরপর আপনার নৌকার পাশে দেখবেন এইটা ওইটা কেনার জন্য বিরক্ত করছে। এছাড়া এইখানে কিছু বাগান আছে আর হযরত বাল মসজিদ দেখতে পারেন।
আমরা ডাল লেকের পাশেই Walisons হোটেলে ছিলাম ১৭০০ রুপি করে।
#যাতায়াত : কোলকাতা-শ্রীনগর (ওয়ান ওয়ে) ৫৩০০ টাকা(ইন্ডিগো)।
পুরো কাশ্মীর ঘুরা ৫দিনের জন্য ইনোভা গাড়ি ১৫০০০ রুপি।
বি:দ্র
১.যারা শুধু বরফ দেখতে যাবেন তাদের জন্য এইটাই বেষ্ট সময় যদিও অনেক স্পটে যেতে পারবেন না বরফের কারনে।
২. ঠান্ডার সময় কাশ্মীরের হেটেল গুলোর সবচেয়ে বড় সমস্যা পানির সমস্যা। সব বরফ হয়ে যায়,তাই বাথরুমের সমস্যা হবেই।
৩. কাশ্মীরের সবগুলো স্পট ঘুরতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে।
source: Arman Anwar < Travelers of Bangladesh (ToB)