ভারতের দক্ষিণের প্রদেশ “কেরালা”
হুম, আসলেই তাই। বড্ড বেশি রকমের বাড়াবাড়ি। তবে সেটা নামে নয়, সেটা হচ্ছে তার রুপে।
বলছিলাম ভারতের দক্ষিণের প্রদেশ “কেরালা”র কথা। প্রায় ৩৯ হাজার বর্গকিঃমিঃ আয়তনের এই পুরো প্রদেশ জুড়েই প্রকৃতি সাজিয়ে রেখেছে তার রুপের পসরা, যেখানে কার্পণ্যের বিন্দুমাত্র খুঁজে পাওয়াটাও বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝে জমাট বাঁধা লেকের নীল পানিতে প্যাডেল নৌকায় ভাসতে ভাসতে, তরঙ্গের মত সাজানো চা-বাগানের সবুজ গালিচায় হাত বুলিয়ে হেঁটে বেড়াতে, ব্যাকওয়াটারের ধীরস্থির পানিতে ভাসমান বাড়ির বারান্দা থেকে সামনের উন্মুক্ত জলরাশির বিশালতায় উদাসীন হয়ে, ঘন গাছ-গাছালীতে আচ্ছাদিত বনে আলো-আঁধারির অদ্ভুত গা ছমছমে পরিবেশে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে আবার কখনোবা পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তায় চলতে চলতে হটাৎই অভিমানে পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা মেঘের শুভ্রতায় হারিয়ে অথবা কয়েকশো ফুট উঁচু গিরিখাত থেকে প্রবল ক্রোধ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া পানির তোড়ে সৃষ্ট অতিদানবীয় ঝর্নার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে নিজের ক্ষুদ্রতা অনুধাবনে, কিংবা গোধূলির শেষ বেলায় ফোর্টের বাঁধানো বেঞ্চিতে উন্মত্ত আরব সাগরের প্রলাপ শুনতে শুনতে আপনি নিজেই সেই বাড়াবাড়ি নামকরণের কারণটা উপলব্ধি করতে পারবেন। প্রকৃতির এত এত বৈচিত্র্যময়তার উদার নিদর্শন আপনাকে বেধে ফেলবে সম্মোহনীর মায়াজালে।
আয়তনের হিসাবে কিংবা ম্যাপের সাইজ দেখে কেরালাকে ছোট মনে করার কোন কারণ নেই কেননা পুরো কেরালাকে ভালোভাবে দেখতে চাইলে অন্ততপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। তবে সময় এবং বাজেট কিংবা পৃথক স্বল্পতায় যারা ৫-৬ দিনে ট্যুর শেষ করতে চান তারা মূলত আমার মতই মুন্নার, ত্রিসুর, ঠেক্কাডি, আলেপ্পি, এরনাকুলাম, কন্যাকুমারীকে ঘিরেই তাদের ট্যুর প্লান সাজান। পাহাড়, নদী, সাগর আর জঙ্গলের অসাধারণ কম্বো প্যাকেজের কেরালা ঘোরার খরচটাও কিন্তু সাধ্যের ভেতরেই। কেরালায় ৫/৬ রাত থাকা-খাওয়া ও ঘুরাঘুরিসহ ঢাকা-ঢাকার পুরোটাই সেরে ফেলা সম্ভব ১২-১৫ হাজার টাকার ভেতরে যদি কলকাতা-কেরালার ভ্রমণ মাধ্যম হয় ট্রেন। কেরালা ভ্রমণের পরিকল্পনা আর খরচের পূর্ণ ধারণা পেতে দেখে নিতে পারেন এই ভিডিওটি
(https://www.youtube.com/watch…)।