উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জে ভ্রমণ পিয়াসীদের দৃষ্টিনন্দিত চায়না বাধ
তাঁতশিল্পের জন্য বিশ্বের দরবারে পরিচিত হওয়া উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এই চায়না বাঁধ। যমুনা নদীর বুকে তৈরি করা এই বাঁধটি এখানকার ও দূরের ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের কাছে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে যমুনা নদীর তীরে গড়ে তোলা হয় এই বাঁধটি। বাঁধের মূল প্রকট থেকে নদীর ২ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত নির্মাণ করা হয় এই বাঁধ। নদীর গভীর পর্যন্ত চলে যাওয়ায় এর দু পাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য একে সকলের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছে। দু পাশ দিগন্ত জোড়া নদীর পানি আর উপরে আকাশ, মাঝখানে বাঁধে বসে এইরূপ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন এখানে। নদীর বুক জুড়ে বহমান প্রশান্ত হাওয়ায় এখানে পর্যটকদেরও ছুঁয়ে যায়। এ যেন প্রকৃতির এক অপরূপ খেলা। চাইলে নৌকায় করে ঘুরতেও পারবেন যমুনার বুকে। বাঁধের উপর নির্মাণ করা হয়েছে পিচ ঢালা রাস্তা। এমন রাস্তা থাকায় যেকোনো যানবাহনে করেই একদম বাঁধের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত চলে আসতে পারেন। চারদিকে জল আর নি শূন্য জনপদ, ঝিরঝির হাওয়া আর কোলাহল হীন শান্ত পরিবেশ মুগ্ধ করে সবাইকে। তাই সকাল বিকেল এখানে পর্যটকদের ভিড়ও লেগে থাকে অবিচল। সিরজগঞ্জের এই চায়না বাঁধ ক্রসবার ৩ নামেও পরিচিত। কিভাবে যাবেন: ঢাকা লাইন পরিবহণ, অভি ক্লাসিক, স্টার লিট পরিবহনের বাস রয়েছে সিরাজগঞ্জে যাবার। এসি বাস ভাড়া ৩৫০ টাকা এবং নন এসি বাস ভাড়া ২৫০ টাকা। মিরপুর ২, ট্যাকনিকাল, সাভার, মালিবাগ, আব্দুল্লাহপুর বিভিন্ন জায়গাতেই এসব বাসের কাউন্টার রয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহরে নেমে অটোরিকশায় করে ১০ মিনিটের মধ্যেই চায়না বাঁধ চলে যেতে পারবেন খুব সহজেই। এছাড়া যেতে পারেন ট্রেনে করেও। ট্রেনে করে কাড্ডার মোড়ে নেমে সেখান থেকে সিএনজি তে করে বাজার ষ্টেশন। সেখান থেকে আবার ৫-৭ মিনিটে রিকশায় পৌঁছে যাবেন চায়না বাঁধ।