স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড ভ্রমণ

স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ড,দুটো দেশ যুক্তরাজ্যর অংশ,যুক্তরাজ্য বা ইউনাইটেড কিংডম ৪ টি দেশ নিয়ে গঠিত- ইংল্যান্ড,স্কটল্যান্ড,ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড। আয়তনে ইংল্যান্ড সবচেয়ে বড়,তারপরেই রয়েছে স্কটল্যান্ড।

উত্তর ইউরোপের দেশ গ্রেট ব্রিটেনের আবহাওয়া সারাবছরই কম বেশি ঠান্ডাই থাকে,প্রশ্নটা কম অথবা বেশি ঠান্ডার,এপ্রিল – আগস্ট/সেপ্টেম্বর হল এদেশে বসন্ত + গ্রীষ্মকাল, এসময়টা তাপমাত্রা একটু বেশি থাকে,তবে ব্রিটিশ আবহাওয়ার বিশেষ দিক যখন তখন বৃষ্টিপাত।

পেশাগত কাজে কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম ইংল্যান্ড এবং স্কটল্যান্ড। দুটো দেশেরই নয়নাভিরাম সৌন্দয্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। স্কটিশদের আমার কাছে ইংলিশ দের চেয়ে বেশি অতিথিপরায়ণ মনে হয়েছে। মোট ৫ টি শহর ভ্রমণ করেছি আমি এ যাত্রায় – এডিনবার্গ, গ্লাসগো,ম্যান চেস্টার,বারমিংহাম এবং লন্ডন।কাতার এয়ারলাইন্সের বিমানে চড়ে প্রথমে ঢাকা থেকে দোহা এরপর দোহা থেকে সরাসরি এডিনবার্গ এ অবতরণ করলাম। নামতেই ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের হিমশীতল বাতাস আমাকে অভিবাদন জানালো।ঢাকা থেকে সাধারণত কাতার,এমিরেটস,টারকিশ এবং ইতিহাদ, এই চারটি এয়ারলাইন্স এ চড়ে যেতে পারেন ব্রিটেন,খরচ সবচে কম টারকিশ এবং এমিরেটস এ বেশি পরবে। তবে সবচে ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইট পাবেন এমিরেটস এবং কাতারে।

প্রতিটি শহর নিয়ে দু লাইন লেখার চেস্টা করছি

এডিনবার্গ – স্কটিশদের রাজধানী। ৮০০ বছরেরও পুরোনো এই শহর। একপাশে সমুদ্র এবং শহরটির অবস্থান উচু নিচু পাহাড়ি টিলার উপর। অনেক ঐতিহ্যবাহী দূরগ রয়েছে শহরটিতে,সাজানোগোছানো ছিমছাম একটি নগরী

গ্লাসগো – ক্লাইড নদীর তীরে অবস্থিত গ্লাসগো স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে বড় নগরী। শিল্পবিপ্লবের সময়কালীন গোটা দুনিয়ার ২৫% জাহাজ এ নগরীতে তৈরী হত। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার নান্দনিক মিশেলে গড়ে উঠেছে নগরীটি

ম্যানচেস্টার – দুটো বিখ্যাত ফুটবল ক্লাবের নগরী। মধ্য ইংল্যান্ডের এই নগরীটি বিখ্যাত তার ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য ও। প্রায় ১০০০০০০ মানুষের বাস এই নগরীতে

বারমিংহাম – মধ্য ইংল্যান্ডের আরেকটি নগরী। এই নগরীর প্রায় ২০% জনসংখ্যা এশিয়ান বংশোদ্ভূত।প্রচুর বাংগালি মানুষের বসবাস এই নগরীতে। জীবন যাপনের খরচ তূলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় এবং ইংল্যান্ডের একদম মাঝামাঝি অবস্থানের কারণে সাম্প্রতিক কালে দ্রুত বাড়ছে এই শহরের জনসংখ্যা।

লন্ডন – পৃথিবীর অন্যতম মেগাসিটি। বেশ ব্যয়বহুল ও বটে। একে উদ্যানের শহর ও বলা যেতে পারে। হাইড পার্ক,রিজেন্ট পার্ক সহ আরো অনেক উদ্যানের শহর। টেমস নদীর তীরে অবস্থিত এই নগরী থেকে এককালে তার বিশাল রাজ্য শাসন করত ব্রিটিশ রাজাধিরাজরা। তার কিছু জৌলুশ দেখতে পাওয়া যায় বাকিংহাম প্যালেস,কেন্সিংটন প্যালেস এগুলো দেখতে গেলে। লন্ডল আই,রিভার ক্রুজ,বিগ বেন এগুলো দেখতে ভুলবেন না। তবে লন্ডন বিশাল এক নগরী। লন্ডনের ভেতর যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে ভাল উপায় মনে হয়েছে আন্ডারগ্রাউন্ড রেল যাকে ওরা আদর করে “টিউব” নামে ডাকে।

ব্রিটেনে যাতায়াত ব্যবস্থা বেশ চমৎকার। ট্রেন,বাস অথবা প্লেনে করে খুব সহজেই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারবেন। প্রয়োজন ভেদে ১ দিন/৭ দিন / ১ মাসের বাস/ ট্রেন পাসের ব্যবস্থাও রয়েছে।বড় সুবিধা হল যে কোন দুটো বড় শহর একে অপরের ২-৩ ঘন্টার দূরত্তে অবস্থিত।

ব্রিটেনে খাওয়া দাওয়া একটু খরুচে। যদিও উপমহাদেশীয় খাবার প্রতিটি শহরেই পাবেন,তবে টেস্ট ভিন্ন,ঝাল বলে কোন বস্তু যে আছে,তা অনুপস্থিত।

মোবাইল থেকে টাইপ করা। বানানজনিত ভূলত্রুটির জন্য মাফ চেয়ে নিচ্ছি আগেই। এই গ্রুপে এটিই আমার প্রথম লেখা।

যেখানেই যাবেন পরিবেশের দিকে নজর রাখবেন। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না।

Source:  Faisal Haque Zihan‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment