ঐতিহ্যের খোঁজে ফেনী জেলা ভ্রমন
আজ যাচ্ছি ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায়।শহরের এফ রহমান এসি মার্কেটের সামনে থেকে নিয়ে নিলাম রিজার্ভ সিএনজি।ফুলগাজীর অভিমুখে যাত্রাকালে প্রথমেই দেখে নিলাম উপজেলার হাসানপুরে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘শহীদ স্মরণী তোরণ’। সেখান থেকে চলে গেলাম ফুলগাজীর ঐতিহাসিক দোল মন্দির।প্রায় দেড়শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ও নানা রহস্যে ঘেরা এই মন্দির এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকলেও বর্তমানে সংস্কার করা হচ্ছে।মন্দির দেখা শেষে চলে গেলাম পরশুরমে অবস্থিত এম.আর. রাবার বাগান দেখতে।দশ হাজার রাবার গাছের এই বাগানটি দেখতে যেমন চোখজুড়ানো তেমনি এখানে এলে আপনি রাবার সংগ্রহ ও রাবারের মন্ড প্রস্তুতিও দেখতে পারবেন।রাবার বাগান থেকে ২০ মিনিটে চলে এলাম ভাটির বাঘ শমসের গাজী কর্তৃক খননকৃত ৩০০ বছরের প্রাচীন ‘শমসের গাজীর দীঘি’তে। দীঘি পা ভিজিয়ে খানিক বিশ্রাম নিয়ে নিলাম।দীঘি থেকে বেড়াবাড়িয়া রাবার ড্যামে যেতে সময় লাগলো ৫ মিনিট ।শুকনো মৌসুমে জমিতে পানি দেয়ার জন্য এই দৃষ্টিনন্দন ড্যামটি তৈরি করা হয়। এখান থেকে আপনি চাইলে চলে যেতে পারেন উত্তর গুথুমায় অবস্থিত এদেশের প্রথম দিকের ইসলাম প্রচারক হযরত জংলী শাহ (রঃ) ও আবদুল্লাহ শাহ (রঃ) এর মাজার দেখতে।না চাইলে চলে যেতে হবে বিলোনিয়া।বিলোনিয়াই হলো এদিকে বাংলাদেশের শেষ সীমানা।এখানে পাশাপাশি আপনি দেখবেন, বিলোনিয়া যুদ্ধের স্মৃতিতে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ,প্রাচীন পরিত্যক্ত বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন ও বিলোনিয়া স্থলবন্দর। আজকের মত এখানেই শেষ…! শেষ পর্বটি নিয়ে শীঘ্রই হাজির হব।একটা কথা তো বলতে ভুলেই গেছি,পরশুরাম আসলে অবশ্যই খন্ডলের মিস্টি খেতে ভুলবেন না।
Source: Mohammed Arman <Travelers of Bangladesh (ToB)