মিশন ইলিশরাজ্য চাঁদপুর ভ্রমণ

গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ জীবন আর ঈদের ছুটিতে কোথাও যেতে না পারায় হঠাৎ করেই ডিসিশন নিলাম চাঁদপুর যাব।
৭ জন বন্ধু নিয়ে উঠে পরলাম লঞ্চে আর উপভোগ করে আসলাম ইলিশ রাজ্য আর মিনি কক্সবাজার খ্যাত চাঁদপুরে।

রাতে ১০:০০, ১০:৩০, ১১:০০, ১১:৩০, ১২:০০ টায় লঞ্চ রয়েছে। ডেকের ভাড়া ৭০-১০০,
চেয়ার কোচের ভাড়া ১৫০,
কেভিনের ভাড়া ৪০০-৬০০।

আমরা রাতের খাবার খেয়ে ১১:৩০ টার লঞ্চে রওনা হই।
একদম ঘড়ির কাটায় কাটায় লঞ্চ ছেড়ে যায়।
আমরা চাঁদপুর লঞ্চঘাটে পৌছাই রাত ০৩:০০ টায়।

রাতে নেমে ঘাটে হাল্কা চা নাস্তা করার পর ভোরের অপেক্ষা করি।
ফজরের নামাজের পর ঘাট থেকে অটোতে করে সূর্যদয় দেখতে চলে যাই মোহনায়। ভাড়া জনপ্রতি ১০ টাকা।

সকালের মিস্টি বাতাস আর পদ্মা-মেঘনার মোহনার স্রোতের আওয়াজে মন একদম ফ্রেশ হয়ে যায়।
সকালের নাস্তা শেষ করে মোহনা থেকে ট্রলার ভাড়া করে চলে যাই মিনি কক্সবাজার।
ট্রলার ভাড়া জনপ্রতি আপ-ডাউন ১০০ টাকা।

কক্সবাজার এর মতন না হলেও ফিলিংটা পাবেন একই রকম। তীরে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউ আর ইউ টাইপ বালুকাময় তীর কক্সবাজার এর মতনই।

স্বচ্ছ পানি থাকার কারনে এখানে গোসল না করে থাকতে পারলাম না। তবে যারা সাতার জানেন না তাদের জন্য একটু রিস্কি জায়গাটা। তাই তীর থেকে বেশী দূর যেতে পারলাম না।

গোসল শেষ করে আবার মোহনার উদ্দেশ্যে যাত্রা। এরপর ১৫ টাকা ভাড়ায় অটো করে গেলাম কালীবাড়ীর বিখ্যাত ওয়ান মিনিট মিস্টির দোকানে। এখানকার আইসক্রিম ও মিষ্টি না খেলে ট্যুরটাই মাটি হত। আইসক্রিম প্রতি কাপ ৪০ টাকা আর ছানার তৈরী মিস্টি ২০০ টাকা কেজি।

খাওয়া শেষ করে আবার অটোতে ফিরলাম ঘাটে, ভাড়া ১০ টাকা।

ঘাটে এসে বসলাম দুপুরের খাবারের জন্য ঘাটের পাশে দোকানে। ইলিশ ভাজা ও ইলিশ ভর্তা দিয়ে গরম ভাত এক কথায় অসাধারণ। প্রতি পিছ ইলিশ ১২০ টাকা, ভর্তা ৩০ টাকা, ভাত ১০ টাকা করে।

এরপর ফিরার পালা, দুপুর ০১:০০ টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে উঠলাম। পৌছালাম ০৩:৪৫ এ।

অসাধারণ একটা দিন কাটালাম। একদিনের ছোট ট্যুরের জন্য বেছে নিতে পারেন ইলিশ রাজ্য চাঁদপুরকে।

পরবর্তী কোন ট্যুরে আবার দেখা হবে,
সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন।

দেশটা আমাদের, এই নদী, এই সবুজ-শ্যামলের বাংলাদেশটা আমাদের।
দয়া করে যত্রতত্র ময়লা বা অপচনশীল প্যাকেট ফেলে আমাদের দেশের এই সৌন্দর্য নস্ট করবেন না।

Source: Raihanul Faysal‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment