শিল্প স্থাপত্য ইতিহাস মিথ খাজুরাহো মন্দির

খাজুরাহো আসলে ভারতের মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত একটি ছোট্টগ্রাম। কিন্তু গ্রামটির জন্যে নয় বরং খাজুরাহো পরিচিত এখানকার মন্দিরে ইরোটিক মূর্তিও স্থাপত্যর জন্যে। মূর্তিগুলি প্রায় ১০০০ বছরেরও বেশি পুরানো। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজও ভারতের সাতটি আশ্চর্যর মধ্যে এটি একটি।

হিন্দু পুরাকথা বা কিংবদন্তি অনুযায়ী বারানসীতে হেতম্বী নামে পরমা সুন্দরী এক ব্রাহ্মণ কন্যা ছিলেন। অল্প বয়সেই তিনি বিধবা হন। একবার গ্রীষ্মের এক জ্যোৎস্না আলোকিত রাতে তিনি যখন সরোবরে স্নান করছিলেন, তখন স্নানরতা অবস্থায় তাঁকে দেখে চন্দ্রদেব মুগ্ধ হন ও তাঁকে কামনা করেন। চন্দ্র মানুষের রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসেন এবং হেতম্বী ও চন্দ্রদেব মিলিত হন। শারীরিক মিলনের ফলে হেতম্বী গর্ভবতী হয়ে পড়েন ও নিজের ভুল বুঝতে পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েন। চন্দ্রদেব তখন ভবিষ্যৎবাণী করেন যে হেতম্বীর গর্ভে যে সন্তান আছে, সে হবে বিপুল ক্ষমতার অধিকারী ও খাজুরাহোর প্রথম রাজা।

হেতম্বী বারানসী ত্যাগ করে দূরে খেজুরবনে গিয়ে সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের জন্মের পর হেতম্বী তাঁর নাম রাখেন চন্দ্রবর্মণ। পিতার মতোই সে সাহসী ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। চন্দ্রের আদেশে চন্দ্রবর্মণ ওই এলাকায় মন্দির নির্মাণ করেন ও মন্দিরগাত্রে ‘ইরোটিক’ মূর্তি খোদাই করেন। শোনা যায় হেতম্বী আর চন্দ্রদেবের কাম ও প্রেমের নিদর্শন হিসেবেই খাজুরাহো গড়ে ওঠে। তাই মন্দির জুড়ে শুধু যৌনতা আর কামের ছবি। চন্দ্রের ভবিষ্যৎবাণী ছিল এই মন্দির আসলে হেতম্বীকে তার পাপ থেকে মুক্তি দেবে।

 

Share:

Leave a Comment