মৈনটঘাট – দোহার – নবাবগঞ্জ ভ্রমণ

মৈনট ঘাট (Moinot Ghat) ঢাকার দোহারে অবস্থিত, যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হবেন, বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশির দিকে। এই বিশাল জলরাশি, পদ্মায় হেলেদুলে ভেসে বেড়ানো জেলেদের নৌকা দেখা আর পদ্মার তীরে হেটে বেড়ানো, সব মিলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হবে আপনি এখন ঢাকার দোহারে নয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আছেন। মূলত এই কারণেই অনেকে মৈনট ঘাটকে বলে থাকেন মিনি কক্সবাজার। (লোককথা)

আমার মতে দুধচা রঙের এই পানি দেখতে গিয়ে রোদে চামড়া পুরানোটা অনর্থক। মানুষ কিভাবে এটাকে কক্সবাজারের সাথে তুলনা করে বুঝিনা। তাও অসংখ্য ভালো-খারাপ মিলেই দিনটা ছিলো। সংক্ষেপে ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

(ভিডিওতে কোন ইফেক্ট ইউজ করা হয়নি, এতে যদি আপনার এক্সপেকটেশন ফুলফিল হয় তাহলে ঘুরে আসতে পারেন)

যা যা ভালো লেগেছেঃ

👉মোহাম্মদপুর বসিলারোড় ক্রস করে মৈনটঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুপাশের ভিউ। কোথাও কোথাও সম্পূর্ণ গ্রাম্য ফিল পাওয়া যাবে আবার কোথাও দুপাশে বিস্তৃত বিল। শুধুমাত্র এইটুকু উপভোগ করতে পারলেই দিনটা সার্থক মনে হবে।

👉স্পীডবোড ভ্রমণ অথবা নৌকা ভ্রমন যেই জায়গায় হোকনা কেন ভালো লাগবেই! কাজেই স্পীডবোর্ডে ১৫মিনিটের জার্নি ছিলো অসাধারণ।

👉নবাবগঞ্জে উকিলবাড়ি, আনসার ক্যাম্পের জমিদার বাড়িগুলো, আদনান প্যালেস অসম্ভব নজরকাড়া।

যা যা খারাপ লেগেছে-

👉অসম্ভব ঘোলা পানি।

👉খাবার। ভেবেছিলাম পদ্মাপাড়ে তাজা ইলিশ কবজি ডুবিয়ে খাবো। এরকম টেস্টলেস ইলিশ জীবনে খাইনি।

👉অসংখ্য ভাঙা ও অমসৃণ রাস্তায় ভরা।

যারা বাইকে যাবেন অবশ্যই ফুল স্লীভে থাকবেন আর হেলমেট পড়া থাকবেন। এই টুরের জন্য শরীর পুরানো নিরর্থক।

ময়লা আবর্জনা ছাড়া পরিপাটি পরিবেশ থাকলে অসুন্দর জায়গাতেও শান্তি পাওয়া যায়। দিন দিন ময়লা আবর্জনার কবলে পরে হারিয়ে যাচ্ছে ভ্রমণ পরিবেশ। আমরা সবাই ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকি।

Source: Rajon Mirza< Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment