কেওক্রাডং, চিংড়ি ঝর্ণা, বগালেক, কাপ্তই কায়াকিং, রাঙামাটি ঝুলন্ত সেতু এবং পলওয়েল র্পাক প্যাকেজ ভ্রমণ

ঢাকা থেকে রাত ১১ টার বাসে বান্দরবনের যাত্রা শুরু। আমরা ছিলাম ২জন, উদ্দেশ্য ছিল বান্দরবন থেকে কোন গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে আমিয়াখুম ও নাফাখূম। কিন্তু কোন গ্রুপ না পেয়ে বান্দরবন থেকে যাত্রা শুরু করলাম কেওক্রাডং এর উদ্দেশ্যে। ভোর ৬ টায় বান্দরবন পৌছে, নাস্তা করে অটোতে করে রুমা বাসস্ট্যান্ড। বান্দরবনে পৌছে গাইড সাফুল

মৈনটঘাট – দোহার – নবাবগঞ্জ ভ্রমণ

মৈনট ঘাট (Moinot Ghat) ঢাকার দোহারে অবস্থিত, যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হবেন, বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন পদ্মা নদীর অপরূপ জলরাশির দিকে। এই বিশাল জলরাশি, পদ্মায় হেলেদুলে ভেসে বেড়ানো জেলেদের নৌকা দেখা আর পদ্মার তীরে হেটে বেড়ানো, সব মিলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য আপনার মনে হবে আপনি এখন ঢাকার দোহারে নয়, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আছেন।

ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ঐতিহাসিক টাঙ্গাইল জমিদার বাড়ি ভ্রমণ

-প্রথমে নেশা ছিলো ঐতিহাসিক স্থান বা পর্যটন স্থানগুলোর দেখার। সেই নেশা হালকা হয়ে গেছে। এখন নেশা শুধু ভ্রমণের। বাংলাদেশ দেখার। কোনো জায়গা অদ্ভুত সুন্দর হোক আর না হোক, বাংলাদেশের পথে যানবাহনে বসে দুচোখ ভরে দেখতে থাকলেই কেন যেন মনটা ভরে যায়। বাংলাদেশ দেখবো দেখবো করে ৬০ টা জেলায় পায়ের ছাপ রেখেছি। কোথাও

প্রকৃতির সৌন্দর্যে টানে মায়াবন ভ্রমণ

প্রকৃতি কন্যা সিলেট পরিচিত তার অপরুপ রুপের জাফলং, বিছানাকান্দি, পান্থুমাই, রাতারগুল দ্বারা। রাতারগুল দেশের প্রথম সোয়াম্প ফরেস্ট হলেও তারচেয়ে তিনগুণ বড় মিঠাপানির আরেক বন হলো মায়াবন। সিলেট হতে তামাবিল সড়ক পেরিয়ে ৩৭ কি.মি গেলে সারি ঘাট বাজার। এই বাজারে বামপাশের রাস্তা ধরে ছায়া সুনিবিড় গ্রামীণ জীবনযাত্রা দেখতে দেখতে পাওয়া যাবে বেখড়া খাল!

ফিলিপাইন ভ্রমণ বিতান্ত ও খরচাবলি

সময় সুযোগ পেলেই ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি আমি। সেই অনুযায়ী গত জুলাই মাসে জেনেছিলাম যে, অগাস্টের শেষদিকে সপ্তাহ দু'য়েকের জন্য দেশের বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ আছে। সেই সময় থেকে শুরু করলাম প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ। এখানে বলে রাখা যেতে পারে যে, অনেক আগে থেকেই আমি একটা তুলনা মূলক ছক করে রেখেছি

মালায়শিয়া ভ্রমন বিতান্ত

এই মাসেই ঘুরে আসলাম এশিয়ার ইউরোপ বলে পরিচিত মালায়শিয়া আমি ৫ দিন ছিলাম।২ দিন লাংকাউই ৩ দিন কুয়ালালামপুর। ৩ তারিখ রাত ৩ টার মালায়শিয়া এয়ারলাইন্স এ রওনা হই কুয়ালালামপুর। লোকাল টাইম ৮ টায় ল্যান্ড করি। ইমিগ্রেশন এ তেমন কিছুই জিজ্ঞেস করে নাই।শুধু রিটার্ন এয়ার টিকেট আর হোটেল বুকিং দেখছে। ইমিগ্রেশন মাত্র ২

মেঘের দেশের মেঘ ছোঁয়া স্নোনেংপাডাং

দূরের পাহাড় যখন হাতছানি দিয়ে ডাকে তখন তার ডাক উপেক্ষা করা সত্যি ই খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে যারা ভবঘুরের মতো ঘুরতে ভালোবাসেন। এ যেন এক অমোঘ টান, বার বার ছুটে যেতে মন চায়। কিসের নেশায়, কিসের আশায়? শুধুই প্রকৃতিকে এক পলক দেখার আশায়, তার নির্জনতা কে আলিঙ্গন করার লোভে, তার

কার্তিকপুর জমিদার বাড়ি শরীয়তপুর ভ্রমণ

কার্তিকপুরের ইতিহাস ঘেটে যা পেলাম, মোগলদের বিরুদ্ধে বিপ্লবী কেদার রায়ের চতুর্থ ও শেষ যুদ্ধের নবম দিবসে কেদার রায় আহত অবস্থায় মোগলদের কাছে বন্দী হন, পরবর্তীতে মৃত্যুবরণ করেন। বিক্রমপুরের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রাখতে কেদার রায়ের স্ত্রী মহারাণীর নেতৃত্বে যুদ্ধ অব্যাহত রাখেন রঘুনন্দন রায়, শেখ কালু, কালিদাস ঢালীর বাহিনী। একসময় মানসিংহ মোগল আনুগত্যের শর্ত দিয়ে

ঐতিহ্যের সন্ধানে কিশোরগঞ্জে একদিন

আগের দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া এক্সপ্লোর করে রাতে ভৈরব থেকে বাসে কটিয়াদী চলে আসি। কটিয়াদী বাস স্টপ সংলগ্ন একটি হোটেলে রাতে থেকে ভোরেই বের হয়ে গেলাম কিশোরগঞ্জ এক্সপ্লোরের উদ্দেশ্যে। বরাবরের মতোই এবারও ট্যুরমেট নাদিম।কটিয়াদি বাস স্টেশন থেকে রিজার্ভ নিয়ে নিলাম মোটর চালিত রিকশা। ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেলাম গোপীনাথ মন্দিরে।সকাল সকাল মন্দির দর্শন শেষে একই

একাকী ভোলাগঞ্জ দর্শন

বিছনাকান্দি এবং জাফলং এ বার দুয়েক একাকী ভ্রমণ করেছি। কিন্তু একাকী ভোলাগঞ্জ যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে উঠেনি। গত দুইবার রাস্তা খারাপ এবং বন্যার কারণে চেষ্টা করেও যেতে পারিনি সাদাপাথর (অবশ্য বর্তমানে রাস্তা অনেক ভাল) । এর মাঝে বন্ধুরাও ব্যস্ত থাকায় যেতে অনীহা দেখায়। সেদিন শুক্রবারে হঠাৎ করেই ঠিক করলাম একা একাই যাবো দেখতে