মহানন্দা নদীর তীর ঘেঁষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অবস্থান। সুলতানি আমলে ১৪৫০ থেকে ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। সে সময় গৌড় নগরীতে গড়ে ওঠে নানা রকম স্থাপনা। ১৫৭৫ সালে এক ভয়াবহ মহামারীর ফলে নগরীটি পরিত্যক্ত হয় এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় এর নিদর্শনগুলো। প্রাচীন গৌড় নগরীর ধ্বংসাবশেষ ও টিকে থাকা গৌড়ের নানা
আমবাগানের ভেতরে শুনশান নীরবতা। মাঝে বিশাল এক পোড়ো স্থাপনা। ধ্বসে পড়া ছাদ খোলা আকাশ। পিছনেই একটা মরা নদী। নদীর নাম পাগলা। ওপারেই ভারতের কাটাতার। আমার মতে বাংলাদেশে যত পূরাকীর্তি আছে তার মধ্যে সবচে আন্ডাররেটেড পুরাকীর্তি এটি। আসলে মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন ও একদম ভারত সীমান্তের সন্নিকটে আম বাগানের ভেতরে অবস্থান বলেই হয়তো
প্রাচীন বাংলার গৌড় সম্রাজ্যের রাজধানীর এক কোণে আছে সবুজ ঘাসের গালিচায়, তাল বাগানের ছায়ায় ধুনিচক মসজিদ মসজিদটির প্রকৃত নির্মাণকাল বা নির্মাতার নাম জানা যায়নি। মালদার তাঁতীপাড়া মসজিদ (১৪৮০ খ্রি.), মুন্সিগঞ্জের রামপালের বাবা আদম মসজিদ এর (১৪৮৩ খ্রি.) সঙ্গে স্থাপত্যিক ও আলংকারিক মিল থাকায় বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, এটি সম্ভবত ১৫ শতকের শেষের