করটিয়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইল ভ্রমণ

“বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর,সবার আমি ছাত্র
নানান ভাবে নতুন জিনিস,শিখছি দিবা রাত্র”

শিক্ষার কোন নির্দিষ্ট স্থান নেই,,নেই নির্দিষ্ট কোন কাল।শিক্ষার বিস্তৃতির নেই কোন মাপকাঠি,নেই কোন বাঁধাধরা নিয়ম।হয়ত সেটাই কবি সুনির্মল বসু তার কবিতার মধ্যে দিয়ে আমাদের বুঝাতে চেয়েছেন।নতুন স্থান মানেই নতুন কিছু শেখা,,নতুন অভিজ্ঞতা আর নতুন কিছুর স্বাদ।আর সেটা যদি কেউ তার সখ হিসেবে নেয়, আর খুশি মনে বেরিয়ে আসে নতুনের সন্ধানে তাহলে তো কথাই নেই….!!!

তাই এবারের ভ্রমনের ঝুড়িতে ঠেলে দিলাম নতুন এক জমিদার বাড়ির অভিজ্ঞতা…!!!
“করটিয়া জমিদার বাড়ি”,টাঙ্গাইল।
সো দ্যা জার্নি অফ স্টোরি স্টার্ট নাও…….!!!!

ভ্রমনের বিবরন : নির্দিষ্ট দিনে ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে “নিরালা” পরিবহনে করে টাঙ্গাইল এর করটিয়ার বাইপাসে পৌছাই।ভাড়া জনপ্রতি ১৬০ টাকা।সেখান থেকে রিক্সায় করে পৌছে যাই জমিদার বাড়ির গেটে।সাধারণত গেট বন্ধ থাকালে কিছু টাকা বকশিশ দিয়ে জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করতে হয়।যাই হোক, সব কিছু ঠিকঠাক করে যখন ভিতরে প্রবেশ করি,,নিমিষেই চোখের তারা আটকিয়ে গেল কিছু একটার দিকে।ওই তো মেরুন রং এর কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। কাছে গিয়ে রীতিমত অবাক হলাম,,হট এ বিউটি,ইটস এমেজিং…!!!
হুম ঠিক ধরেছেন এটাই করটিয়া জমিদার বাড়ি।মোগল ও চৈনিক স্থাপত্যের মিশেলে গড়া জমিদার বাড়িটি ছড়িয়ে দিচ্ছে তার সৈন্দর্য।১ কি.মি দের্ঘ্য আর ০.৫ কি.মি প্রস্থের বাড়িটি বিশাল সীমানায় বেস্টিত যেন এই সৌন্দর্যের দাবিদার শুধু বাড়িটা নিজেই…!!!

জমিদার বাড়িতে রয়েছে লোহার ঘর,রানীর পুকুর ঘাট,রোকেয়া মহল,তরফ দাঊদ হল,মসজিদ ইত্যাদি।ভিতরের ছায়া সুনিবিড় গ্রামীণ পরিবেশ মনে করিয়ে দেয় সেই কবিতা

“তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে
আমাদের ছোট গায়
গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়
উদাসী বনের বায়”

কবি জসীমউদদীন এর কবিতা ভাবতে ভাবতেই বেরিয়ে পরি জমিদার বাড়ি হতে।করটিয়া বাজারের বিখ্যাত জেলেপি মুখে পুরে রওনা হই কোলাহলময় ব্যস্ত নগরীর পানে।ঢাকায় এসেও যেন ফ্লাশ ব্যকে ফিরে যাই সেথায়, সেই জমিদার বাড়ির ঘাটে।সত্যিই আমি পরিপূর্ন,,স্বার্থক এইদেশে জন্মেছি বলে।তাই ভালবাসি আমার প্রিয় জন্মভূমি, ভালবাসি দেশের মানুষকে…..!!!
Source: Pranto Moshiur‎ < Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment