ঘুরে আসুন ইলিশের শহর চাঁদপুর থেকে

ইলিশের এখন ভরা মৌসুম চলছে। হটাৎ চাঁদপুর যাওয়ার কথা মাথায় এলো। তাই, বন্ধু কে রাজি করিয়ে শনিবার রাতে প্ল্যান করে রবিবার সকাল সকাল রওনা দিলাম। সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা, সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা জার্নি ছিলো।

আমরা ফেনী থেকে ফেনী-কুমিল্লা-চাঁদপুর রুটে গিয়েছি। সড়কপথে চাঁদপুর না যাওয়াই বেটার। যাইহোক, আমরা বাস থেকে নেমে অটো নিয়ে প্রথমেই বড় স্টেশন চলে আসি। সেখানে মাছের আড়তে বেশকিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে হাটঁতে হাটঁতে চলে যাই মোহনায়। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে আবার আড়তে চলে আসি।

দুপুরে আড়তের পাশেই একটা হোটেলে দুজন মিলে পেটপুরে খেয়েছি। ইলিশ ভাজা, সরষে ইলিশ, ডিম, ভর্তা, ডাল, মিনারেল ওয়াটার মিলিয়ে ২জনের ৪৩০টাকা বিল এসেছে।

খাওয়া শেষে, আবার মোহনায় চলে যাই। সেখান থেকে বোটে জনপ্রতি ৫০ টাকা (যাওয়া-আসা) ভাড়ায় চলে যাই চরে। চরে আধঘন্টা সময় কাটিয়ে আবার ব্যাক করি। ফিরে এসে লঞ্চঘাটে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আবার আড়তে আসি।

এবার মাছ কেনার পালা৷ অনেক ঘুরে দামাদামি করে দুজন মিলে ২০-২৫ কেজি মাছ নিয়ে প্যাকিং করে নেই। পরিশেষে বাড়ি ফেরা।

১. মাছ বাজারে দালালের অভাব নেই। তাই সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক, নইলে ঠকার চাঞ্চ আছে।
২. যে কোন খরচ করার আগে দামাদামি করে নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. বোট নিরাপদ, তবে সাতার না জানলে আগে থেকে লাইফ-জ্যাকেট কাছে রাখবেন।

চাঁদপুর অনেক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন একটি জায়গা। আমরা বেড়াতে গেলে অবশ্যই পরিচ্ছন্নতার ব্যপারে সচেতন থাকবো। আমার দ্বারা কোন নোংরা যেন সৃষ্টি না হয়।

Source: Ramzan Ali <Travelers Of Bangladesh (TOB)

Share:

Leave a Comment