জাফলং ভ্রমনের তথ্য

১. জাফলং-এ দর্শনীয় স্থান কি কি আছে? জায়গাটা কেন বিখ্যাত?

– অগণিত লোক নদীর নিচ থেকে পাথর তুলছে আর এটাই তাদের জীবিকা…এত পাথর কই থেকে আসে তার যদিও কোন উত্তর মিলে না… দেখার মত আছে পাহাড়ের (সবই ভারতের) গা ঘেষে বয়ে যাওয়া জাফলং নদী

২. এটি কোথায় অবস্থিত?

৩. কিভাবে যেতে হয়? ভাড়া কত?

– ঢাকা টূ সিলেট ট্রেন ভাড়া এখন শোভন চেয়ার ৩২০ টাকা, শোভন ২৬৫টাকা। যেতে লাগে ৬-৬.৫ ঘণ্টা। সেখান থেকে সোবহানী ঘাটে যেতে হবে। সোবহানী ঘাটে থেকে বাস ছাড়ে…ভাড়া জনপ্রতি ৬০ টাকা…সময় লাগে ২ ঘণ্টা থেকে ২.৫ ঘণ্টা…যেখানে নামিয়ে দেয় সেখান থেকে রিকশায় নদীর পাড় পর্যন্ত ১০ টাকা।

৪. থাকার জায়গা আছে কোথায় কাছাকাছি?

– জাফলং এ থাকার তেমন কোন জায়গা নেই। ক্যাফে সিংগ্রাম্পুঞ্জি নামের একটা রেস্টুরেন্ট আছে খাবারের জন্য কিন্তু বিকালের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়।

৫. কি রকম খরচ হবে?

৬. জাফলং-এর কাছাকাছি আর কি কি দর্শনীয় স্থান আছে?

– নৈসর্গিক দৃশ্যের লীলাভূমি ভোলাগঞ্জ 

যারা সিলেটের জাফলং দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন তাদের জন্য আদর্শ জায়গা ভোলাগঞ্জ। মালনীছড়ার চা বাগানের ভেতর দিয়ে যেতে যেতে যা চোখে পড়ে তা ভুলবার নয়। প্রায় ৫০ কি.লো পথজুড়েই মেঘালয়ের আকাশচুম্বি পাহাড়ের খেলা। সেই মেঘালয় পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য ছোট বড় দুমা ফলস। পথের দুধারেই নদী। তার পানি দেখলেই শরীর ঠান্ডা হয়ে আসে। নদীর নীল আর পাহাড়ের আবছা নীল যেন মিশে একাকার হয়ে গেছে। যেতে যেতে মনে হবে এ বোধহয় আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়ের একটি। নিজের অজান্তেই গেয়ে উঠবেন প্রিয় কোন গান। ভোলাগঞ্জে যাবার পর পৌছে যাবেন একেবারে সীমানার দিকে। দেখবেন বর্ডার গার্ডস এর সৈন্য সামন্ত দাঁড়িয়ে আছে। অদূরেই ভারতের চেরাপুঞ্জি।

Share:

Leave a Comment