তিনশত বছর পুরানো তেওতা জমিদার জমিদার বাড়িতে..
তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় থানার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাসবিদের মতে সতেরশ শতকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নােম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
স্থানীয় মানুষদের মুখে শুনা জমিদাররা খুব অত্যাচারী ছিল সাধারণ মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে তাদের লাশ কূপের মধ্যে ফেলে দিত। এবং দিনের পর দিন এই হত্যাযঙ্হ চালিয়ে গেছে, যার কারণে হয়তো সৃষ্টিকর্তা
তাদের এই জমিদারী সাম্রাজ্য অল্পসময়ের মধ্যে ধব্বংস করে দিয়েছে।
এখন বাড়িটি প্রায় সব অংশই ভেঙ্গে গেছে হয়তো আর কয়েক বছর পর এই বাড়ির কোন অস্তিত্ব পাওয়া যাবে না।
বিশেষ করে যারা এখানে এই বাড়িটি দেখতে যায়,তারা বাড়ির ভিতরে ও ছাদের উপর উঠে থাকে, যেটা একেবারে বিপদজনক যেকোন সময় ঘটতে পারে দূঘটনা। তাই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলেও ছাদে ওঠা থেকে বিরত থাকবেন….
যেভাবে যাবেন।
ঢাকা, গাবতলী সাভার, নবীনাগর থেকে অনেক বাস ছেড়ে যায় মানিকগঞ্জ শিবালয় ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা। শিবালয় আরিচা লঞ্চ ঘাট থেকে অটো করে তেওতা জমিদার বাড়ির দূরত্ব ৬ কিলোমিটার।