বিরিশিরি ভ্রমণ বিতান্ত

বিরিশিরি তে যাওয়ার পথ ও কিছু উল্লেখযোগ্য করণীয় আত্ন অভিজ্ঞতাতা থেকে নিম্নে বিবৃত হল–

*বিরিশিরি ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত। ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে থেকে প্রতিদিন প্রধানত দু’টি বাস সরাসরি বিরিশিরির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
১)মা-মনি
২)নিশিতা।
দু’টি বাসই দৈনিক দু’বেলা যাত্রা করে। সকালে ও রাতে। রাতে ছাড়ার সময় আনুমানিক ১২টা থেকে ১টার মাঝে।

মহাখালী থেকে বিরিশিরির ভাড়া মাথাপিছু ৩৫০ টাকা।

*ঢাকা থেকে রওনা দিলে, রাতের বাসে বিরিশিরি পৌঁছাতে খুব একটা সময় লাগে না। দিনের বেলায় অবশ্য ভিন্ন ব্যাপার।
আমাদের বাস রাত ১২.৩০ যাত্রা করে এবং ভোর প্রায় ৫.১৫/৫.৩০ এ বিরিশিরি পৌঁছে যায়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা থেকে ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। যদি রাতেই ফেরত যেতে চান তাহলে বাস থেকে নামার সময় রাতের টিকিট কেঁটে নিতে পারেন।

*বিরিশিরি বা সুসং দূর্গাপুর নেমে সেখান থেকে অটো বা মোটরসাইকেল ভাড়া না করাই শ্রেয়। সেখার থেকে ভাড়া করলে বাইক প্রতি ভাড়া ৪০০ থেকে ৬০০ দিতে হবে। আমার পরামর্শ দূর্গাপুর ব্রীজে নেমে গিয়ে সেখান থেকে অল্প হেঁটে সোমেশ্বরী নদী বা কংস নদী নৌকায় পাড় হয়ে বাইক বা অটো ভাড়া নেওয়া। এতে খরচ কম পড়বে। অটো ভাড়া আনুমানিক ৬০০/৬৫০ হবে। এক অটোতে ৪ থেকে ৮ জন চড়া যায়।
প্রয়োজনে ঐ অঞ্চলের দুইজন বাইক চালকের নাম্বার নিচে দেওয়া হলো-
আবুল কাসেম- 01835984365
মোঃ সাহেব উদ্দিন- 01814-297611

*যদি থাকার প্ল্যান নিয়ে যান তাহলে পরামর্শ দিব হোটেলে রিজার্ভেশন নিয়ে যেতে বা হোটেলে খালী রুম আছে কিনা তা জেনে যেতে। নয়ত পছন্দসই হোটেলে রুম নাও পেতে পারেন। বিরিশিরির হোটেল গুলোর মধ্যে YMCA ই মানের ও অর্থের দিক থেকে ভাল।
YMCA-01743-306230
পুরো রুম ভাড়া ৭০০-১০০০ টাকা।
পুরো রুমে ৬ থেকে ৭ জন শোয়া যায়।

*থাকার প্লেন নিয়ে না গেলে, বা দুপুরের মধ্যেই ফেরত যেতে চাইলে দূর্গাপুরের জারিয়া থেকে লোকাল বাসে ময়মনসিংহ যেতে পারেন। ভাড়া মাথাপিছু ৮০ টাকা। সেক্ষেত্রে বিরিশিরি ঘুড়ার জন্য যে অটো বা বাইক ভাড়া নেবেন তাদের আগেই জানিয়ে দেবেন আপনারা জাড়িয়া যাবেন। নয়ত পরে ভাড়া বাড়ানোর জন্য তাল-বাহানা করবে।
ময়মনসিংহ পৌঁছার পর, এনায় ঢাকা যেতে চাইলে, সেখার থেকে অটো নিয়ে যেতে হবে মাস্কান্দা বাসস্ট্যান্ডে। অটোতে মাথাপিছু ভাড়া ১০ টাকা। মাস্কান্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে কিছুক্ষণ পরপরই এনা বাস ছাড়ে ঢাকা মহাখালীর উদ্দেশ্যে। মাথাপিছু ভাড়া ২২০।

*বিরিশিরির পর্যটন স্থান গুলো আগেই জেনে নিবেন। তাহলে ঠগবার সম্ভাবনা নেই।
১ বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি কালচারাল একাডেমী।
২ বিজয়পুর সাদা মাটির খনি এবং নীল/সবুজ পানি।
৩ সোমেশ্বরী নদী।
৪ বিজয়পুর বর্ডার এবং বিজিবি ক্যাম্প।
৫ কমলা রাণী দিঘী।
৬ রানীখং মিশন।
৭ হাজং মাতা শহীদ রাশিমনি স্মৃতিসৌধ।

*নিজের ঘরকে কেউ নোংরা করে না আর করলেও তাকে পরিষ্কার করে। তেমনি দেশটাও ত আমাদেরই, তাকে পরিষ্কার করার দায়িত্বও ত আমাদেরই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ “স্বচ্ছ ভারত” অভিযানে নেমেছে আর আমরা তাদের অধিকাংশ জিনিস অনুসরণ করলেও এই ভাল জিনিসটা করি না, কেন? আসুন নিজেদের পর্যটন স্থানগুলো পরিষ্কারের মাধ্যমে দেশের পরিচ্ছন্নতায় নিজের অবদান রাখি।

Source: Tour Bank

Share:

Leave a Comment