মানিকগঞ্জের তেওতা জমিদার বাড়ি ভ্রমণ

অনেকদিন ধরে ইচ্ছে ছিল এটায় যাওয়ার। যদিও অনেকের কাছে এটা দেখার মত কিছু না, পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে চলে কিন্তু আমার কাছে জমিদার বাড়ি মানেই শ’খানেক বছর আগের জীবনকে অনুভব করা, বাড়ির প্রতিটি ইটের গাঁথুনিতে অন্য সময়ের গল্প লিখা। সেই গল্প সাধারণ চোখে দেখা যায় না।

♣️ তেওতা জমিদার বাড়ির ইতিহাসঃ
তেওতা জমিদার বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রাচীন একটি জমিদার বাড়ি ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার তেওতা নামক গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাসবিদদের মতে, সতেরশ’ শতকে এই জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন পঞ্চানন সেন নামক একজন জমিদার। জনশ্রুতি অনুসারে, পঞ্চানন সেন এক সময় খুবই দরিদ্র ছিলেন ও দিনাজপুর অঞ্চলে তিনি তামাক উৎপাদন করে প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হওয়ার পর এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তিতে এখানে জমিদারি প্রতিষ্ঠিত করে জয়শংকর ও হেমশংকর নাম দুজন ব্যক্তি। ভারত বিভক্তির পর তারা দুজনেই ভারত চলে গেলে বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়।

♣️ অবকাঠামোঃ
তেওতা জমিদার বাড়িটি মোট ৭.৩৮ একর জমি নিয়ে স্থাপিত। মূল প্রাসাদের চারপাশে রয়েছে আরও বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা ও একটি বড় পুকুর। প্রাসাদের মূল ভবনটি লালদিঘী ভবন নামে পরিচিত। এখানে একটি নটমন্দিরও রয়েছে। এছাড়াও এখানে রয়েছে নবরত্ন মঠ ও আর বেশ কয়েকটি মঠ। সবগুলো ভবন মিলিয়ে এখানে মোট কক্ষ রয়েছে ৫৫টি।

♣️ যাতায়াত ব্যবস্থাঃ
গাবতলী থেকে পাটুরিয়াগামী বি আর টি সি / সেলফী পরিবহন বাসে মানিকগঞ্জের উথলী নেমে সেখান থেকে ১০ টাকা ভাড়ায় আরিচা ঘাট আসা যায়। আরিচা থেকে অটো বা রিকশায় সরাসরি এখানে আসা যাবে।

♣️ খাবারঃ দুপুরের খাবারের জন্য আরিচা ঘাটে বৈশাখী হোটেল বেশ ভালো মানের।
বিঃ দ্রঃ যেখানেই যান সেখানকার পরিবেশ যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।। ময়লা নির্ধারিত স্থানে ফেলুন। এখানকার পরিবেশ রক্ষায় সচেতন থাকবেন সবাই।

Share:

Leave a Comment