কক্সবাজার

এমন একটা জায়গা যেখানে প্রতি বছর গেলেও অতৃপ্তি থেকে যায়। তবে এবারে সবচেয়ে বেশী মুগ্ধ হয়েছিলাম সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে। সেই ভোর ৬ টা বলেন কি রাত ১১ টা, বীচের প্রত্যেকটা পয়েন্টেই ট্যুরিস্ট পুলিশ টহলরত অবস্থায় ছিল।

পরিবার নিয়ে দুইরাত ছিলাম লাবণী পয়েন্টে অবস্থিত হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালে। মিডরেঞ্জের হোটেল হিসেবে অসম্ভব ভাল সার্ভিস ছিল। যেসব জায়গায় গিয়েছিলাম::

১) লাবণী বীচঃ তুলনামূলক ভীর কম এবং হোটেল কাছে ছিল বলে এখানেই গোসল করা এবং সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করার কাজটা সেরে ফেলেছিলাম। তাছাড়া হোটেলের অপোজিটেই ছিল “ঝিনুক মার্কেট”। দাম কিছুটা বেশী হলেও ঝিনুক এবং শামুকের তৈরী অনেক জিনিসপত্র আছে কিনার মত বিশেষ করে কাউকে উপহার দেবার জন্য।

২) সুগন্ধা বীচঃ প্রচন্ড ভীড় হলেও উপভোগ করা এবং চাহিদাসম্পন্ন সব জিনিসের সমাহার এখানেই। 9D, ওয়াটার বাইক, কোয়াড বাইক, ঘোড়া এগুলো চড়তে হলে আপনাকে এখানে আসতে হবে। একশ টাকার টিকেট কেটে প্রথমবারের মত 9D দেখে ভালই মজা পেয়েছি 😃
তাছাড়া সুগন্ধা পয়েন্টের মেলা টাইপের মার্কেটে মহিলাদের কেনাকাটার ব্যাপক জিনিসপত্র ছিল। ফিশ মার্কেটে শুটকী কেনার দোকানও ছিল। লাইভ ফিশ রেস্টুরেন্টগুলোতে বিশাল কাকড়া, গলদা চিংড়ি, অক্টোপাস, রূপচাঁদা মাছ, সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে দুইদিন শুধু এগুলোই খেয়ে পেট ভরিয়েছি 😃

৩) বার্মিজ মার্কেটঃ সাথে যেহেতু মহিলা মানুষ গিয়েছিল, এই মার্কেট তো আর উনারা মিস দিবেন না! 😜 শুটকি, বার্মিজ আচার সহ হাবিজাবি কিনার জন্য ওখানে যাওয়া হয়েছিল সন্ধ্যার পর।

৪) ইনানী বিচঃ সাম্পান দেখার জন্য, পানিতে ভেজা পাথরে পা রাখার জন্য, জাহাজ দেখার জন্য এবং অনন্যসুন্দর মেরিন ড্রাইভ রোডে ভ্রমণের জন্য কক্স থেকে ২৫ কি.মি. দূরে ইনানী বীচে আপনাকে যেতেই হবে। কিছুক্ষণ পরপর অনেক নিচ দিয়ে পেট্রোলিং হেলিকপ্টারগুলো দেখাও উপভোগ করেছি এবার যদিও এটা সবসময় থাকে কিনা জানিনা।

৫) হিমছড়িঃ খাড়া পাহাড়ে সিড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হলেও কষ্ট টা বৃথা যাবার কথা না। বিশাল সমুদ্রকে পাহাড়ের উপর থেকে উপভোগ করার জন্য এটা আদর্শ জায়গা। পাশাপাশি দূরবীনওয়ালাকে পেলে মাত্র ২০ টাকা দিয়ে দেখে নিতে পারবেন অদূর সমুদ্রে জেলেরা কীভাবে মাছ ধরছে, যেটা এবার আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা ছিল। তাছাড়া নামার পথে হিমছড়ি ঝর্ণাও দেখে আসবেন, হাপিয়ে গেলে নিচে এসে সুস্বাদু ডাবের পানি খেতে পারেন।

প্রথমবারের মত কক্স ভ্রমণে গেলে এই জায়গাগুলো একেবারে আদর্শ। আর বড় সময় নিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, রামু, সেন্টমার্টিন, মহেশখালী এসব জায়গা ঘুরে আসতে পারেন।
ভিডিওটা মোবাইলে শখ করে করা, ভাবলাম আপলোড দিয়ে দিই, হেডফোনে ফুল সাউন্ড দিয়ে সমুদ্রের গর্জন শুনুন, আশা করি ভাল লাগবে 
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং

Post Copied From:

Motiour Rahman Shawon < Travelers of Bangladesh (ToB)
Share:

Leave a Comment