নাফাখুমের পথে ট্যুরন্ত

বাংলাদেশের যে কয়টি সুন্দর জল্প্রপাত আছে তার মধ্যে অন্যতম নাফাখুম। প্রতিটি মানুষের উচিত একবারের জন্য হলেও নাফাকুমের এই নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে যাওয়া, যাত্রাপথের এই রোমাঞ্চকর অনূভুতি, ভয়টা গ্রহন করা। আমরা ভ্রমন পিপাসুরা আবারও যাচ্ছি ইনশাল্লাহ।

১০০% সিওর হয়েই ইভেন্ট গোয়িং-এ ক্লিক করবেন, আর যারা যাবেন কিনা সিউর না, তারা Interested এ ক্লিক করে রাখলে সব আপডেট পাবেন। যারা সিওর যাবেন তারা ইভেন্ট টি নিজ ওয়ালে শেয়ার করে রাখতে পারেন তাহলে আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের কেউ আপনার সাথে ট্যুরে অংশগ্রহন করতে পারে যা আপনার ট্যুরকে আরো প্রানবন্ত করে তুলতে পারে।

আমাদের যাত্রার তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০ঃ০০।
আর ফেরার তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৬ঃ৩০ টা।
ভ্রমনের খরচঃ ৫২৫০ টাকা প্রতিজন।
মোট আসন সংখ্যাঃ ২৪ জন

এই ট্যুরে আমরা যা যা দেখবোঃ
১। বড় পাথর
২। রাজা পাথর
৩। তিন্দু
৪। রেমাক্রি ফলস
৫। নাফাকুম জলপ্রপাত

ভ্রমনের বিস্তারিতঃ
২৬ সেপ্টেম্বরঃ রাত ১০টায় বাস কাউন্টার থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু।

২৭ সেপ্টেম্বরঃ সকালে বান্দরবান পৌছে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা খেয়ে নিব। তারপর চান্দের গাড়িতে অথবা বাসে করে থাঞ্চির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। থাঞ্চিতে পৌছে থানায় এবং বিজিবিতে নাম এন্ট্রি পর্ব সেরে নিব। বিজিবি ক্যান্টিনে দুপুরের খাবার খাব। তারপর বোটে করে রেমাখ্রির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব যেটা আপনার জীবনের জন্য এক স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। দুপাশে পাহাড় আর আপনি সেই পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে নৌকায় করে যাচ্ছেন। নৌকায় যাওয়ার সময় আমরা বড় পাথর, রাজা পাথর দেখবো এবং তিন্দুতে কিছু সময়ের জন্য বিরতি দিব। তিন্দু থেকে রেমাখ্রি ফলসে আবারো বিরতি দিব। এরপর আমরা নাফাকুমের উদ্দেশ্যে শুরু করব। ২ – ২ঃ৩০ ঘণ্টার ট্রেকিং শেষে যখন আপনার মধ্যে ক্লান্তি ভর করবে তখনি আপনার জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিবে নাফাকুম, যাকে দেখে কিছু সময়ের জন্য আপনি স্তব্ধ হয়ে যাবেন, যার পানে আপনি তাকিয়ে থাকবেন অপলক দৃষ্টিতে। যার জন্য এত কষ্ট করে আসছেন আশা করি সেই সুন্দরীকে দেখে হতাশ হবেন না। নিজেদের ছবি তুলবো এবং কিছু গ্রুপ ছবি তুলবো। এদিন আমরা নাফাখুমের পাশেই পাড়াতে রাত কাটাবো।

২৮ সেপ্টেম্বরঃ ভোর বেলা নাফাখুমে কিছুটা সময় পার করে আবারো আমরা রেমাখ্রি ফিরে আসব। রেমাখ্রি দুপুরের খাবার খেয়ে আবারো থাঞ্চির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। থাঞ্চি থেকে চাদের গাড়ি যোগে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করব। রাতে বাসে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো।

২৯ সেপ্টেম্বরঃ ইন শা আল্লাহ সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকায় থাকবো ।

যা যা থাকছে এর মধ্যেঃ
১। ঢাকা-বান্দরবান – ঢাকা (নন-এসি বাসের টিকিট)
২। ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর রাত পর্যন্ত প্রতি দিন ৩ বেলা খাবার খরচ।
৩। চাদের গাড়ির খরচ।
৪। বোটের খরচ।
৫। সকল ধরনের গাইড খরচ।
৬। কটেজ খরচ।

যা পাবেন নাঃ
১। কোন ব্যাক্তিগত খরচ।
২। যাত্রাপথে বাসের বিরতিতে কোন খাবার
২। ঔষধের খরচ।

যা যা নিতে হবে :
# জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট অথবা স্টুডেন্ট আইডি এর ফটোকপি অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
১) হালকা ব্যাগপ্যাক..
২) ৩/৪ দিন এর উপযোগী হালকা কাপড়..
৩) লুঙ্গী, গামছা..
৪) সানগ্লাস, ক্যাপ
৫) ক্যামেরা ( ছবি তো তুলতেই হবে)
৬) পলিথিন.. ( মোবাইল, ক্যামেরা বৃষ্টির হাত থেকে বাচানোর জন্য)
৭) হালকা খাবার( চকলেট, বিস্কিট, মাংগোবার, খেজুর, বাদাম, স্যালাইন, নুডলস, কফি, সুপ)
৮) টর্চ ও লাইটার
১০) পানির বোতল
১১) স্টিলের মগ ও চামচ
১২ টুথপেস্ট, ব্রাশ
১৩) ট্রেকিং উপযোগী হাল্কা জুতা বা স্যান্ডেল
১৪) এংলেট, নি-গার্ড
১৫) ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধক (Doxicap Capsule)
১৬) টয়লেট টিস্যু

কনফার্ম করার নিয়মঃ
* ১২ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আমাদের কনফার্ম করতে হবে।
* বিকাশে পেমেন্ট করলে ২০৪০ টাকা দিতে হবে। বিকাশ একাউন্ট নাম্বার- ০১৭১১০৮২৯৪৭ নাম্বার। (পারসোনাল)
* কোন ব্যাংকে পেমেন্ট করলে এক্সট্রা টাকা দিতে হবে না। সিটি ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক –এই ব্যাংকগুলোতে টাকা প্রদান করতে হবে।
* টাকা পেমেন্ট ছাড়া কোন ধরনের বুকিং রাখা হবে না ।

ভ্রমনের পূর্বে যা যা মাথায় রাখবেনঃ
– প্রথমেই একটি ভ্রমণ পিপাসু মন থাকতে হবে।
– খুব হালকা ব্যাগ প্যাকিং করতে হবে। ব্যাগ ভারী হলে ট্যুরে যেয়ে প্যারা খাবেন। আর নিজের ব্যাগ নিজেকেই ক্যারি করতে হবে। পোর্টার দ্বারা ব্যাগ ক্যারি করালে পোর্টারের আলাদা চার্জ আপনাকে বহন করতে হবে।
– যেখানে সেখানে ময়লা, শুকনো খাবারের প্যাকেট, পাস্টিক বোতল/জার, কলার খোসা, ইত্যাদি ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। প্রতিটি জায়গা আমাদের নিজেদের, তাই তার সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা আমাদের প্রকৃতিকে সুস্থ রাখার ব্যাপারে বদ্ধ পরিকর।
– ভ্রমণকালীন যে কোন সমস্যা নিজেরা আলোচনা করে সমাধান করতে হবে।
– ভ্রমণ সুন্দর মত পরিচালনা করার জন্য সবাই আমাদেরকে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে।
– আমরা শালীণতার মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ আনন্দ উপভোগ করব।
– অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যে কোন সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে, যেটা আমরা সকলে মিলেই ঠিক করব।
– স্থানীয়দের সাথে কোন রকম বিরূপ আচরণ করা যাবে না। নতুন কারো সাথে কথা বলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ট্রিপ হোস্টের সহায়তা নিতে হবে।
– কোনভাবেই কোন প্রকার মাদক সেবন বা সাথে বহন করা যাবে না। সাথে পাওয়া গেলে তাকে বা তাদেরকে তৎক্ষণাৎ ট্রিপ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে গ্রুপের অন্য সবার সাথে স্বীদ্ধান্ত নিয়ে।
– দলনেতার কথা নিজের প্রয়োজনেই মেনে নিতে হবে।
– লাইফ জ্যাকেট নিয়ে নেবেন।
– বাসের সিট বণ্টন করা হবে এডভান্স পেমেন্টের ভিত্তিতে। অর্থাৎ যে আগে পেমেন্ট করবে সে অগ্রাধিকার পাবে।
– আদিবাসীদের ঘরে আমাদের শেয়ার করে থাকতে হবে। মেয়েদের থাকার জন্যে আলাদা ঘরের ব্যবস্থা থাকবে।

** এই গ্রুপ সম্পূর্ণ ভ্রমণপিপাসুদের গ্রুপ। এখানে কোন প্রকার অশ্লীলতার কোন রকম সুযোগ নেই। কোন রকম অসৎ উদ্দেশ্যে যদি কেও আমাদের সাথে ভ্রমণে যান, সেটি বুঝে যেতে আমাদের খুব বেশি সময় লাগে না। এবং সেই মোতাবেক আমরা ব্যবস্থা নিবো।

** ভ্রমণের জন্য যে কেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ছেলে/ মেয়ে সকলেই যেতে পারবেন, তবে অবশ্যই পুরোটা পড়ে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কনফার্ম করতে হবে।

আমাদের ট্যুরের ক্যান্সেল পলিসিঃ
*** বুকিং মানি টোটালি অফেরতযযোগ্য। কারন আপনার বুকিং মানির উপরই বাসের টিকিট, হোটেল রিসর্ট, লোকাল ট্রান্সপর্ট, গাইড সব কিছু এডভান্স করা হয়।
*** কেউ যদি না যেতে পারেন সেক্ষেত্রে তার রিপ্লেসমেন্ট তাকেই মেনেজ করতে হবে। গ্রুপ থেকে অবশ্যই চেস্টা করা হবে তার রিপ্লেসমেন্টের যদি মেনেজ হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আর এক্সট্রা পেমেন্ট করতে হবেনা।
*** যদি প্রাকৃতিক দূর্যগ বা খারাপ আবহাওয়ার জন্য ট্যুর কেন্সেল হয় সেক্ষেত্রে ট্যুরের বুকিং মানি থেকে যা যা খরচ বা রিটার্ন হবে সেটা ফেরত দিয়ে দেয়া হবে।

Share:

Leave a Comment