পারকী সমুদ্র সৈকত

সমুদ্রের সাথে প্রেমটা বুঝি অার শেষ হলনা।যেতে না চাইলেও প্রতিনিয়ত সে কাছে টেনে নেয়।মূলত চট্টগ্রামে অনেকগুলো সমুদ্র সৈকত রয়েছে।যেমন-পতেঙ্গা, কাট্টলি, সাগরিকা, গুলিয়াখালী, বাঁশবাড়িয়া, পারকী ইত্যাদি।সবগুলোতেই অাগে যাওয়া হয়েছে।এবার ঘুরে এলাম, পারকী সমুদ্র সৈকত থেকে।এতটাই ভাল লেগেছিল, ভুলে গিয়েছিলাম বাসায় ফিরতে হবে।ভুলো মন বলছিল থাকনা অাজকের রাতটা নাহয় কাটিয়ে দিই এই সমুদ্রের সাথে।

পারকী সমুদ্র সৈকত যাওয়ার পথে দেখা মিলে আঁকা বাকা পথ ধরে ছোট ছোট পাহাড়ের মিশে যাওয়া। চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিঃ (সিউএফল) এবং কাফকোর দৃশ্য যা পর্যটকদের প্রাণ জুড়ায়। পারকী বীচে যাওয়ার পথে কর্ণফুলী নদীর উপর প্রমোদতরীর আদলে নির্মিত শাহ অামানত ব্রীজ চোখে পড়ে। সমুদ্র সৈকতে ঢুকার পথে সরু রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছ, সবুজ প্রান্তর আর মাছের ঘের দেখা যায়। বীচে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো অসংখ্য ঝাউ গাছ আর ঝাউবন রয়েছে।

পারকি সৈকতে গেলেই একটি বিশাল দৈত্যাকার জাহাজ স্বাগতম জানাবে অাপনাকে। এই বিশাল দৈত্যাকার জাহাজ গতবছর ভারতের কলকাতা থেকে অাটলান্টিকের উদ্দেশ্য ছেড়েছিল, কিন্তু ঘূর্নিঝড় ‘মোরার’ আঘাতে নাবিক ধরে রাখতে না পারায় বাতাসের বেগ পারকি উপকূলে তুলে দিয়েছিল জাহাজটিকে। সেই হতে জাহাজটি অাটকে অাছে বিচের বালুকায়।

একটা সময় প্রশান্ত, আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর চষে বেড়ানো সেই ‘ক্রিস্টাল গোল্ড’ অাজ পারকি সৈকতে আসা প্রতিটা পর্যটককে হাসিমুখে স্বাগতম জানায়।

যেভাবে যাবেন-চট্টগ্রাম শহর থেকে পারকী বীচের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি.। যেতে সময় লাগবে ১.৩০-২ ঘন্টা। এটি মূলত কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত।শহর থেকে সিএনজি অটো নিয়ে যাওয়া যায়।অথবা চট্টগ্রামের শাহ অামানত সেতু থেকে বাসে অানোয়ারা চৌমুহনী গিয়ে, সেখান থেকে সিএনজি অটো পাওয়া যাবে।অামরা ৫ জন নতুন ব্রিজ থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে গিয়েছিলাম, ৪৫০ নিয়েছিল।অন্যান্য খরচ নিজের উপর।

অনুরোধ-সৈকতে ময়লা ফেলবেন না। এই সৈকত ও সমুদ্রের উপর জীববৈচিত্র্য নির্ভরশীল, তাদের জীবন ময়লা ফেলে হুমকির মুখে ফেলবেন না।

Source: Dipta Dhar‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment