বাঁশখালি ইকো পার্ক

বাশঁখালী ইকো-পার্ক এর তথ্য বাতায়ন সমৃদ্ধকরন কর্মসূচিঃ
১) এটা কোথায়? ২) ঢাকা থেকে যাবার সহজ উপায় ? ৩) ট্রেন আর বাস এর সময়সূচি, ভাড়া? ৪) কি কি দেখার আছে? ৫) থাকার ব্যবস্থা? ৬) খাওয়ার ব্যবস্থা? ৭) অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ৮) কি কি করা যাবে/যাবে না ? ৯) ক্যাম্পিং এর সুযোগ-সুবিধা ? ১০) আশেপাশের অন্যকোন ঘুরে দেখার মত স্থান এর তথ্য।

১.এটা চট্টগ্রামের বাশখালিতে

২.ঢাকা থেকে বাসে বা ট্রেনে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপরে বাশখালি যেতে হবে

৩. বাস প্রত্যেক দিন রাতে কলাবাগান, শ্যামলি,কল্যাণপুর বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেড়ে যায়…ভাড়া সম্ভবত

৪৮০-১২০০ টাকার মধ্যে, ট্রেন সকালে, বিকাল ৩:৫০,রাত ১১ টায় চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়…শোভন চেয়ার ভাড়া জনপ্রতি ৩২০টাকা, প্রথম শ্রেণী ৬১০ টাকা… ৭ ঘণ্টার মত সময় লাগে চট্টগ্রাম যেয়ে পৌছাতে যেভাবে যেতে হবেঃ চট্টগ্রাম শহরের নিউ মার্কেট থেকে টেম্পোতে যাবেন নতুন ব্রিজ( ভাড়া ৬ টাকা, সময় ১৫ মিনিট), নতুন ব্রিজ থেকে যাবেন জলদী (সি.এন.জি তে ভাড়া ৮০ টাকা জনপ্রতি,সময় ১:৫০ ঘণ্টা), জলদী থেকে সি.এন.জি তে যাবেন মনছুরি বাজার (১০ টাকা, ১৫ মিনিট), মনছুরি বাজার থেকে রিকশায় গ্রামীণ পথ বেয়ে চলে যান গ্রামের শেষ প্রান্তে ইকো পার্কের গেটে (ভাড়া ৪০-৫০ টাকা, সময় ২০-২৫ মিনিট)… পার্কে ঢুকতে টিকিট কাটতে হবে, প্রবেশ মুল্য ১০ টাকা…

৪.বাশখালি ইকো পার্কে দুটি লম্বা সাস্পেনশন ব্রিজ আছে যার উপর দাঁড়িয়ে চারপাশটা দেখা যাবে, ২ টা ওয়াচ টাওয়ার আছে বেশ উচুতে এটা সাইট সিইং এর জন্যে বেস্ট,একটা তিন খাচার চিড়িয়াখানা আছে যেখানে দুইটা পাজি খরগোশ আর তাদের ছানা, নিঃসংগ একটা হনুমান, দুইটা বন বিড়াল আছে, একটা ঝর্ণা আছে, বসে থাকার জন্যে কিছু বেঞ্চ আছে… হা হা হা…আসলে এভাবে বললে জায়গাটার মধ্যে কিছু আকর্ষনীয় পাওয়া যাবে না… কান্ধে ব্যাগ ঊঠান, আর বেরিয়ে পড়ুন… যখন রোদ পড়ে আসবে আর আপনি এই জায়গাটায় থাকবেন আশা করি আমাকে গালি দিবেন না… নিভৃত এক বিকালের কবি হয়ে যান… নিমন্ত্রণ…

৫.এই জায়গায় থাকার কোন ব্যবস্থা আমার চোখে পড়ে নাই… বরং জায়গায় জায়গায় লেখা ” সন্ধ্যার পুর্বেই পার্ক এলাকা ত্যাগ করুন”… [থাকার জায়গা নিয়ে আরও ইনফো দরকার]

৬. খাওয়ার ব্যাবস্থা দুঃখজনক… পার্কে কিংবা মনছুরি বাজারে ফুলকলি চানাচুর,চিপ্স,বিস্কুট এগুলা ছাড়া তেমন ভারী খাবারের ব্যবস্থা নেই… “জলদী” বাজারে নেমে খেয়ে নিতে হবে… কিংবা খাবার নিয়ে যাতে পারেন… তবে বেঞ্চ গুলার পাশেই ডাস্টবিন আছে…ওকে ব্যবহার করুন…

৭. ফ্যামিলি নিয়ে যাওয়া নিরাপদ… তবে কোন পরিবার নিয়ে যাবেন সেটাও একটা কথা…আপনার বাবার পরিবার (মানে আপনি, আপনার ভাই,বোন,মা…আরো)নিয়ে গেলে তারা জার্নি করতে পারে কিনা শুধু এটা মাথায় রাখুন… আর আপনার পরিবার (বিবি, বাচ্চা,শালী…আরো) নিয়ে যাওয়াও নিরাপদ…কোন সমস্যা হবে না আশা করি…আরো কিছু জ্ঞানের কথাঃ নতুন ব্রিজ থেকে “বাশখালি স্পেশাল সার্ভিস” নামে একটা বাস ছাড়ে মনছুরি বাজার পর্যন্ত ভাড়া ৭৫ টাকা জনপ্রতি… এটা আসলেই ইস্পিশাল…কোটা সিস্টেমে সিট বুক, ধীর গতি, ঝাকি, মাছের গন্ধ, বাচ্চা পোলাপানের কান্না কি নেই এতে… আপনি এগুলো ভালোবাসলে এই বাস আপনারই জন্য…… আর আপনি যদি বোরিং টাইপ হন তাহলে সি.এন.জি তে উঠে এক টানে জলদী বাজার চলে যান( সি.এন.জি রিজার্ভ ৪০০ টাকা) তবে লোক কম হলেও সমস্যা নেই আপনি একাও ৮০ টাকায় দিব্যি চলে যাবেন অন্যদের সাথে …কারন প্রচুর লোক ঐ দিকে যাতায়াত করে… জলদী বাজার নেমেই কিছু খেয়ে নিন অথবা কিনে নিন…কারণ মনছুরি বাজার বিঊটি পার্লার পাবেন কিন্তু ভালো হোটেল পাবেন না…আম্রার দ্যাশটা বড়ই আজীব… খাওয়ার পানি কিনতে কিনতে আমার অবস্থা খারাপ হইয়া গেছিল… আপনারা ২ লিটারের বোতল নিয়া রওনা করবেন… মনছুরি বাজারে একটা টিঊবওয়েল আছে যার পানি অতিশয় ঠান্ডা… হাত মুখ ধুয়ে নিন…আমি যদিও মাথা পর্যন্ত ভিজায়া ফেলছিলাম… সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ: কোমরে বা পিঠে সমস্যা থাকলে মঞ্ছুরি বাজার থেকে পার্কে যাওয়ার পথটূকু সতর্ক থাকুন…রাস্তা বেশি জুইতের না…

৮. পরিবেশ বিরোধী যে কোন আচরণ না করলেই হল…বাকি সব জায়েয আছে…

৯. যেহেতু পার্কে সন্ধ্যার পর থাকা যায় না তাই সম্ভবত তাবু ফেলা যাবে না…

১০.বাশঁখালীতে জলদী যাবার আগে দুইটা বিচ আছে। একটা গুনাগারী নেমে রত্নপুর যেতে হয়। গুনাগারী থেকে সিএনজি সবসময় পাওয়া যায়। ভাড়া ২৫-৩০ টাকা। আরেক টা সদর আমিন হাটের একটু আগে “ছলিমার বাপের পুল/ছলিয়ার বর পোল(বাশঁখাইল্লা আঞ্চলিক পরিচিতি)” নামতে হয়। সেখান থেকে টেম্পো আর সিএনজি এভেইলেবল। ভাড়া ২০-২৫ টাকা।

Share:

Leave a Comment