স্বল্প সময় ও খরচে রাঙামাটি ভ্রমণ

আমরা গ্রুপ মেম্বার ছিলাম ৫ জন। ঢাকা থেকে ইউনিক বাসে করে রওনা হই রাত ১০ টায়, ভাড়া ৬২০ টাকা করে। পরদিন ভোড়ে চলে যাই রিজার্ভ বাজার। বাস থেকে নেমে ৩০ সেকেন্ড হাটার পর হোটেল মতি মহলে উঠি। এতো সুন্দর হোটেল পুরোটাই কাপ্তাই লেকের পাশে। দুই রুম নন এসি নিয়েছে ৮০০ করে।

ফ্রেশ হয়ে বেড়িয়ে পড়ি নাস্তা করতে। নাস্তা শেষে ঘাটে গিয়ে দামাদামি করে সারাদিন স্পট সবগুলো ঘুরাবে এমন ট্রলার ১২০০ টাকায় ঠিক করি।সারাদিন ঘুরি ট্রলারে শুভলং ঝর্না,ঝুলন্ত ব্রীজ, জুম পাহাড়, আদিবাসি পল্লী, চাকমা রাজার বাড়ী, বৌদ্ধ মন্দির, পেদা টিং টিং/চাং পাং( রেস্টুরেন্ট), ডিসি বাংলো পার্ক,এবং নাম না জানা আরো জায়গা।

দুপুরে ট্রলার নিয়ে আসে পাহাড়ি রেস্তোরাঁ “চাং পাং” এ যেটা লেকের উপরেই সেখানে আদিবাসী খাবার খাই। মেচাং,পেদা টিংটিং নামে আরও দুটি রেস্তোরাঁ ছিলো তবে তুলনামূলক এটার রিভিউ ভালো ছিলো। সকাল ৮:৩০ থেকে মোটামুটি সন্ধ্যা ৬ টা বেজে যায়। এর ভেতর পাহাড়ি ডাব কলা পেপে ইত্যাদি খাওয়া চলেই।

সন্ধ্যায় হোটেলে এসে ফ্রেশ হয়ে রাতের বাজার ঘুরে নিজ নিজ কেনাকাটা করি এবং বাজারে সুলভ মূল্যে খাওয়ার অনেক হোটেল আছে ভালো দেখে একটায় বসে যান। সেখানে লেকের চাপিলা মাছ ফ্রাই সহ ডাল ভাত যা লাগে খেয়ে উঠুন। এরপর হোটেলের বারান্দায় এসে সকলে গান আড্ডা করি।

পরদিন সকালে ১১ টায় চেক আউট করে প্রথমে ঢাকার বাসের টিকিট কেটে নাস্তা করে বেড়িয়ে পরি পলওয়েল পার্ক আর রাজবন বিহার ঘুরতে। রিজার্ভ বাজার থেকে সিএনজি ঠিক করি ২৫০ টাকায় (আপ-ডাউন)। বিকেল পর্যন্ত দুটো স্থানে ঘুরে রিজার্ভ বাজারে এসে দুপুরের খাবার খেয়ে নেই; (যদিও তখন ৫ টা বেজে গিয়েছে) পুনরায় বাজারে ঘুরে চা বিস্কিট খেয়ে সন্ধ্যায় বাসে করে চিরচেনা ঢাকায় পাড়ি জমাই আমরা।

আনুমানিক খরচঃ

আপ-ডাউন বাস ভাড়া (৬২০+৬২০) = ১২৪০
হোটেল ভাড়া ১৬০০÷৫ = ৩২০
ট্রলার ১২০০÷৫ = ২৪০
সকালে নাস্তা দুদিন ৬০
পাহাড়ি রেস্তোরাঁয় খাবার খরচ হয় জনপ্রতি ৩২০
রাতে ডিনার ১২০
পরদিন লাঞ্চ ১১০
সিএনজিতে ২৫০÷৫ = ৫০

মোট ২৪৫০ জনপ্রতি। (অন্যান্য খরচ ব্যক্তিগত তাই কমবেশি হতে পারে)

দয়া করে পরিবেশ নোংরা করবেননা।ময়লা আবর্জনা যথাস্থানে ফেলুন, পরিবেশ রক্ষা করুন।

Source:  Sabrin Srabony‎ <Travelers of Bangladesh (ToB)

Share:

Leave a Comment