আড়িয়াল বিল ভ্রমণ বৃত্তান্ত

আড়িয়াল বিল (Arial Beel) ঢাকার দক্ষিণে পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝখানে অবস্থিত প্রায় ১৩৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি অবভূমি। এটি মুনশিগঞ্জের স্রীনগরে অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর বাজার থেকে একটি সড়ক এঁকেবেঁকে সোজা চলে গেছে আড়িয়াল বিলের দিকে। এ পথে শ্যামসিদ্ধি গ্রাম পেড়িয়ে আরও সামনে গেলে গাদিঘাট। আড়িয়াল বিলের শুরু মূলত গাদিঘাট থেকেই। বর্ষায়

বালি, ইন্দোনেশিয়া ভ্রমন বিতান্ত

বালি, ইন্দোনেশিয়ার একটা দ্বীপ। অত্যন্ত সুন্দর সেখানকার বিচ আর পানিগুলো। অন এরাইভাল ভিসা, কম খরচ আর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য ইদানিংকালে বালিতে টুরিস্টদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইন্দোনেশিয়া মুসলিম দেশ হলেও একমাত্র বালিতে মুসলমান নেই বললেই চলে। যাত্রাঃ আমরা এয়ার এশিয়া তে সিঙ্গাপুর থেকে বালি গিয়েছিলাম। এয়ার এশিয়া সরাসরি বালি যায়,

গোলাপের গ্রাম সাভারের বিরুলিয়া

রাজধানীর মিরপুরের তুরাগ নদীর পাড় ঘেঁষে দ্বীপের মতো গড়ে উঠেছে একটি গ্রাম। যার নাম বিরুলিয়া। এই গ্রামের নামেই ইউনিয়নটির নামকরণ করা হয়েছে বিরুলিয়া ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মেঠো পথ ধরে হাঁটলে মনে হবে এ যেন গোলাপের রাজ্য। বাণিজ্যিক বা সখের বসেই হোক না কেন এ গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই যেন গোলাপের অস্তিত্ব

অপার্থিব সৌন্দর্যের খোঁজে যেতে পারেন সোনার চর

সূর্যের আলোতে প্রতিটি বালুকণা সোনার মত দেখায় বলেই এ চরের নামকরণ হয়েছে সোনার চর। সকাল-দুপুর-বিকেল পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা দ্বীপ। নদী আর সাগরের জল আছড়ে পড়েছে চারপাশে। সুর্যের আলোয় চিকচিক করে বালি। প্রকৃতির সাজে সজ্জিত এই দ্বীপটিতে উড়ে আসা অতিথি পাখিদের কলকাকলি সমুদ্র সৈকতের অপরূপ রূপকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

এক দিনে যশোর ভ্রমন গল্প

একদিনে সিলেট আর পঞ্চগড় ভ্রমন করার পর এক আত্মবিশ্বাস জন্মাল যে একদিনেও যশোর ঘুরে আসা সম্ভব ।সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুরু করলাম কীভাবে ২৪ ঘণ্টায় যশোর ভ্রমন করা যায়। গল্পটা ২০১৭ সালের নভেম্বরের। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হেমন্তের একরাতে যাত্রা শুরু যশোরের উদ্দেশে ।সকালে সাগরদাঁড়ি গ্রামে মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, দুপুরে যশোর শহর

রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ি ভ্রমণ

পাঁচআনি জমিদারবাড়ী হচ্ছে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবীর বাসভবন। বাংলার প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী অন্যতম। ১৮৯৫ সালে মহারানী হেমন্তকুমারী দেবী আকর্ষনীয় ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যরীতিতে আয়তাকার দ্বিতল বর্তমান রাজবাড়ীটি নির্মাণ করেন। সপ্তদশ শতকে মোগল আমলে তৎকালীন বাংলার বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে পুঠিয়া জমিদারি ছিল প্রাচীনতম। কথিত যে জনৈক নীলাম্বর মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীরের (১৬০৫—২৭ খ্রি.)

মর্মর নগরী মুর্শিদাবাদ ভ্রমণ

বিএসএফের বিরাট লম্বা পাঞ্জাবি অফিসারটি সোজা সাপ্টা বলে দিল “যাবতাক হামারা বড়া সাব নেহি আয়েগা, তাবতক এ ক্যামরা নেহি দে সাকতে”। সকাল সকাল কেমন লাগে, গেদে সীমান্তে সহযাত্রী জুবায়ের তাঁর ডিএসএলআর শুধু তাক করেছিল, আর সাথে সাথে ছো দিয়ে কেড়ে নিয়েছে সে। আমরা অন্য তিনজন ততক্ষণে বিএসএফের চেকিং শেষ করে এপারে ওর

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃংগ তাজিংডং না কেউক্রাডং

কেউক্রাডং -৩২৩৫ ফুট, তাজিং ডং - ২৭২২ ফুট।কেউক্রাডং বা তাজিংডং কোন টা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পিক নয়, হিসেব করতে বসলে সাকা হাফং (৩৪৬৫ ফুট) বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পিক, কেউক্রাডং ৫ নং এ, তাজিংডং সেরা ১৫ তে নেই । তবে নিঃসন্দেহে কেউক্রাডং এর চুড়া বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর একটি চূড়া এর ৩৬০ ডিগ্রী প্যানারোমিক ভিউ এর

বাজেট ট্যুর দার্জিলিং, মিরিক, কালিম্পং

অপরুপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাত ছানি দিয়ে ডাকে দার্জিলিং। যতদূর চোখ যায় যেন পাহাড়ের গায়ে পাহাড় হেলান দিয়ে আছে। শহরে যেমন উঁচু উঁচু দালান আকাশ ছুঁয়ে যায় ঠিক তেমনি দার্জিলিং এ উঁচু উঁচু পাহাড় আকাশ ছুঁয়েছে। মেঘ যেন ভেসে ভেসে পাহাড়কে সাদা চাদরে মুড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। মেঘ পাহাড়ের এই খেলা দেখতে হলে আসতে

ইদ্রাকপুর দুর্গ মুন্সিগঞ্জ ভ্রমণ ও খরচাবলি

ইদ্রাকপুর দুর্গ মুন্সিগঞ্জ সদরে অবস্থিত। শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালের পশ্চিমপাড়ে এবং দেওভোগ গ্রামের পূর্বপ্রান্তে দুর্গটির অবস্থান। এই জল-দুর্গটি একসময় ইছামতী ও মেঘনা নদীর সংগমস্থলে সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মিত হয়েছিল। তখন দুর্গের নির্মাণস্থলের নাম ছিল ইদ্রাকপুর। এ এলাকায় পরবর্তী সময়ে যে শহরটি গড়ে উঠে একসময় তার নামকরণ হয় মুন্সিগঞ্জ। শহরের উপকণ্ঠে এখনও